আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
340 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম।শায়েখ আমার একটি বিষয় জানার ছিলো।কিছুদিন আগে মধ্যরাত এ হঠাত ঘুম ভেঙে যায়, তখন -২:৪৪বাজে ,আর ঘুম ভাংগে আমার একটা শব্দে, আমি ডান পাশ থেকে বাম কাত হতে নিছি আর মুখ থেকে একটা শব্দ হলো  ,গোঙানির শব্দ  ,তারপর মনে হইতেছে যে ওইটাই আমার শেষ রাত ,মনে হচ্ছে মালাকুল মউত আসতেছে  আমার হাতে সময় নেই ,খুব অস্থির লাগছিলো ,,তারপর ভাবতেছি ঘুমাবো নাকি উঠে নামাজ পরবো  ঘুমালে যদি মরে যাই তাহলে তো অনেক আজাব আসবে ,তাই তারাতারি উঠে অজু করতে যাই ,আর লা-ইলাহা পরতে ছিলাম,মনে একটা ভয় কাজ করতে ছিলো মরনের ভয়,,,অজু করতেছি হাত পা কাপতেছে ,মনে হচ্ছে এই বুঝি প্রান টা গেলো ,তারপর কাঁপতে কাপতে নামাজে দাড়াই ,,বার বার মনে হচ্ছে পিছনে মালাকুল মউত দাঁড়িয়ে আছে ,এইবুঝি প্রান টা টেনে নিলো ,,নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো।,,নামাজ পরতেছি তাও অস্থিরতা কমছে না ,,সুরা পরে ফু দিলাম তবুও।,,আযান এর পর একটু সাভাবিক লাগছিলো।,,তারপর আম্মু কে বললাম,,অনেক কান্না করছি কেন জানি খুব কষ্ট অনুভব করলাম ,,,আবার গতপরশু রাত এ আমি চুল তেল দিতেছি খাটে বসে হঠাত মনে হচ্ছে মালাকুল মউত আসছে আর আমার আবার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো খুব ,,তারপর হাত পা ও ঠান্ডা হয়ে ছেড়ে দিছে  আম্মু পিঠে মালিশ করে দিছে ,,তারপর একটুপর সাভাবিক হয়েছি তখন ও আমার কান্না পাচ্ছিলো।,,,সেইম কাহিনি ,,কাল দুপুর মানে -১২টা র দিক মেবি ,,আবার ও ওমন মনে হচ্ছিলো।,নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিলো।খুব।।সুরা পরলাম তারপর একটু ভালো লাগছিলো ,,যখন ই এমন হয় ভিতর থেকে।খুব কষ্ট হয় আর কান্না আসে খুব।
আফওয়ান এত বড় করে লিখার জন্য।

আমার প্রশ্ন এমন হওয়ার কারন কি,, বা কিসের লক্ষন,,এর প্রতিকার কি??

আমার হার্ট এ কোনো সমস্যা নেই,আলহামদুলিল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (562,350 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
এগুলো স্রেফ আপনার মনের ভয় মাত্র।
মনের ভয়ের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কের দুর্বলতা, তাঁর প্রতি আনুগত্য ও তাওয়াক্কুল-ভরসা কমে যাওয়া। 

কারণ আল্লাহ বলেছেন-
أَلا إِنَّ أَوْلِيَاء اللّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ 

‘‘মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে , না তারা চিন্তান্বিত হবে।” 
(সূরা ইউনুস ৬২ ) 

সুতরাং আপনার প্রথম কাজ হল, আল্লাহর উপর ভরসা করা। 
আল্লাহ বলেছেন–
وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ 

‘‘আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” 
(সূরা তালাক ৩)

★যিকির না করার কারনে কলব মরে যায়।
কলব মরে গেলেও ভয় লাগতে পারে।
বেশি বেশি যিকির করতে হবে,কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
তাহলে ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা থাকবেনা। 
,
কিছু দোয়া রয়েছে। এগুলো বেশি করে বিশেষভাবে ভয়ের মুহূর্তে ও যথাসময়ে পড়লে উপকার পাওয়া যাবে। এতে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে, তাওয়াক্কুল-ভরসা বাড়বে ও ধীরে ধীরে মনের ভয়ও দূর হবে, ইনশাআল্লাহ।

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...