আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
474 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)

#জরুরিমাসআলা

আসসালামু আলাইকুম এডমিন মহোদয়গণ পোস্টটি এপ্রুভ করার জন্য অনুরোধ নিন্মোক্ত ঘটনাগুলো মাসআলা সুস্পষ্ট দলিল প্রমাণের আলোকে দিলে খুব উপকার হতো

আমার বাবা পাচ ওয়াক্ত নামাজি কয়েক বছর আগে হজ করে এসেছেন

ঘটনা ---1

কিন্তু তিনি অনেক আগে থেকেই গান শুনেন গান শুনার ক্ষেত্রে তার যুক্তি হলো : গান শুনলে মন ভালো থাকে

গান শুনলে অনেক কিছু শেখা যায় যার কারণে গান শুনা এবং শুনানোটাকে তিনি গুনাহ বলে মানেন না

মাঝেমধ্যে তিনি একটি গান বলেন : প্রেম কইরাসে ইউসুফ নবী তার প্রেমে জুলেখা বিবিগো ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিল জেল খাটিল প্রেমের দায়ে জেল খাটিল তবু সে প্রেম ছাড়ল না দরদী

ঘটনা ---2

আমার বাাবাকে একবার বলা হয়েছিল কারো কাছে ধার দেনা রেখে মারা গেলে আখিরাতে শাস্তি পেতে হবে তখন সে ঔদ্ধত্ব প্রদর্শন করে বলেছিল কবরে শাস্তি পাইলাম তো কি হইসে

ঘটনা ---3

আমার টেবিলের ওপর বিভিন্ন কুরআন হাদীসের বই থাকে একদিন আমি বাসায় না থাকায় আমার বড় বোনের সামনে সে বলে ,“ আমার মনে চায় আমি এসব (কুরআন হাদীসের বই) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেই “

ঘটনা ---4

সে প্রায় সময়ই দুনিয়ার অপরিহারযতা বোঝানোর জন্য বিভিন্ন নীতিকথা বলে বেড়ায় তার একটি হলো : “শিক্ষাই জীবন , পরিশ্রমই উন্নত “ একথাটি বলে তারপর বললেন এ কথাটি আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন

ঘটনা ---5

আমি রুহের চিকিৎসা নামক বই থেকে হাদীস পড়ছিলাম তিনি তখন বলে উঠলেন “ এসব কাঠমোল্লাদের বানানো হাদীস “ এরকম ভাবে যখনই কোন হাদীস তার মনমতো না হয় সে বলে এগুলো হুজুরদের বানানো

ঘটনা ---6

আমি তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন থেকে পড়ছিলাম তখন তিনি খুব সাহসিকতার সাথে বললেন “এগুলো হুযুরদের বানানো হুজুররা টাকাপয়সা ইনকামের জন্য একেকজন একেকরকম লেখে ”

ঘটনা ---7

ঢাকার মালিবাগে থাকার সময় ছোট বাচ্চাদের বোরকা পরা দেখলে তিনি বলেন , “ এগুলো বাড়াবাড়ি ইসলাম এতো কঠিন নয় “

ঘটনা ---8

মেয়েদের ফরজ পর্দা করতে দেখলে তিনি এটাকেও বাড়াবাড়ি বলেন আরও বলেন , এতো ধার্মিকতা ভালো না ইসলমা কি আমরা পালন করি না ? “ তাছাড়া তিনি বালেগা মেয়েদের ফরজ পর্দা করার কঠোর বিরোধী তার মত হলো মেয়েরা সকলের সামনে যাবে সকলের সাথে কথা বলবে , হাসি ঠাট্টা করবে স্বাভাবিক থাকবে

ঘটনা ---9

তিনি একবার মুফতি আবু সাইদ সাহেব (ফরিদাবাদ মাদরাসা) এর ব্যাপারে বলেছে < হুজুর খালি নিজের কাহিনী বর্ণনা করে এর কিছুক্ষণ পর সে হুজুরকে ফাসেক আখ্যায়িত করে

ঘটনা ---10

সে প্রায়ই সময় বলে , “আমি মইরা গেলে কত যে লাথি উষ্টা খাবি কেউ চাইর আনা পয়সা দেবে না , আমি বাইচা আসি কইরা নে মইরা গেলে এক পয়সাও ভাইরা দেবে না ” ( যদিও বর্তমানে ভাইয়েরাই খরচাপাতি দেয়) সম্ভবত সে নিজেকে রিজিকদাতা মনে করে তার আশঙ্কা সে মারা গেলে আমি না খেয়ে মারা যাব কিংবা আমাকে রক্ষা করার , রিযিক দেয়ার কেউ থাকবে না

ঘটনা ---11

আমার মা লাইফ ইন্সুরেন্স করেছিলেন মৃত্যুর আগে তিনি বলে গিয়েছিলেন সুদের সব টাকা দান করে দিতে কিন্তু আমার বাবা সে টাকা দান করতে অস্বীকার করে এবং সুদের টাকাকে সে সুদ বলে না বরং সে বলে আগেকার টাকার দাম আর এখনকার টাকার দাম এক না তাই এটা সুদ নয় উপরন্তু সুদকে সে খারাপ মনে করে না বরং সুদী ব্যাংকে চাকরি করাটাকে খুব ভালো কাজ, গৌরবের কাজ, সম্মানের কাজ মনে করে সুদী ব্যাংকে চাকরি করাটাকে গর্বের বিষয় মনে করে

ঘটনা ---12

অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে সে কোন হালাল হারামের তোয়াক্কা করে না তার বক্তব্য হলো অর্থ উপার্জনের জন্য যেকোন পথ অবলম্বন করা যায় টাকা পয়সা আসলেই হলো

ঘটনা ---13

জুমুআর বয়ানে খতিব সাহেব বলেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে শেষ দশদিনে কোমর বেধে ইবাদত করতেন সারারাত্র ইবাদত করতেন এবং পরিবারকেও জাগিয়ে দিতেন এতে তিনি বাসায় এসে রেগে গিয়ে বলেন .“ সারারাত ইবাদত করলে অর্থ উপার্জন করত কোন সময় খাওয়া দাওয়া করতো কোন সময় ?

 

জানার বিষয় হলো এখন উনাকে ইসলামের দৃষ্টিতে কি বলা হবে ? উনাকে মুসলমান বলা যাবে কি না ? না হলে মৃত্যুর পর কি করতে হবে ?

বি:দ্র : উনি আখিরাতের আযাবের  পরোয়া করেন না

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


পর্দা মহান আল্লাহ তায়ালার ফরজ বিধান,যাহা অকাট্য ভাবে প্রমানীত, এটি মুমিন পুরুষ নারী সকলের জন্যই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

★কেহ যদি আল্লাহ তায়ালার এই ফরজ বিধানকে নিয়ে ঠাট্রা করে,হাসি তামাসা করে,অস্বীকার করে,বিরুপ মন্তব্য করে,ঘৃণা করে, তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।

যেমন দাড়িকে নিয়ে কেহ যদি ঠাট্রা করে,বিরুপ মন্তব্য করে,তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।
(আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল ৭/৮৮) 
,
তেমনিভাবে পর্দা নিয়ে কেহ ঠাট্রা করলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত সকল তথ্য যদি সঠিক হয়,তিনি যদি আসলেই মন থেকে পর্দাকে নিয়ে ঠাট্রা করে,সূদকে হালাল মনে করে,স্পষ্ট কুরআন হাদীসকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে,তাহলে সে মুরতাদ হয়ে গিয়েছে।
তাকে আগের সব কিছু থেকে ফিরে এসে পুনরায় ঈমান আনতে হবে।
ঈমান আনার আগে মারা গেলে তাকে মুসলমানদের বিধান তার উপর আরোপ করা হবেনা।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَالَّذِينَ كَفَرواْ وَكَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا أُولَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে।[বাকারাহ : ৩৯ ] ] 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللّهِ يُكَفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُواْ مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوضُواْ فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِّثْلُهُمْ إِنَّ اللّهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِينَ وَالْكَافِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا
আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।[সূরা নিসা :140] 

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...