(০১)
শরীয়তের বিধান হলো হেবার মধ্যে কবজা শর্ত।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধু এহেন বাক্য বলার দ্বারাই ভবিষ্যতে অর্জিত সমস্ত সম্পত্তি দান হিসেবে গণ্য হবেনা।
বরং তাহা কোনক গরিব মিসকিন,বা মাদ্রাসা মসজিদ কে দিয়ে দিতে হবে।
তাদের হস্তগত হওয়ার পর তাহা দান হিসেবে গন্য হবে।
তার আগে নয়।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
এক্ষেত্রে যাহা সত্য, তাহাই সত্য বলে গন্য হবে।
যাহা মিথ্যা, কেবল তাহাই মিথ্যা বলে গন্য হবে।
,
উপরোক্ত বাক্য বলার দ্বারা কোনো কিছুই হবেনা।
,
(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি এমন বলে যে আমি যাকেই বিবাহ করবো,সে তিন তালাক,তাহলে বিবাহ করার সাথে সাথেই তিন তালাক পতিত হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ الشَّعْبِیِّ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ قَالَ لامْرَأَتهِ: کُلُّ امْرَأَةٍ أَتَزَوَّجُهَا عَلَیْک فَهَیَ طَالِقٌ، قَالَ: فَکُلُّ امْرَأَةٍ یَتَزَوَّجُهَا عَلَیْهَا، فَهِیَ طَالِقٌ.
ابن أبي شیبة، المصنف، 4: 65، رقم: 17838، الریاض: مکتبة الرشد
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি বলে যে আমি যেই মহিলাকেই বিবাহ করবো,সে তালাক।
তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
وإذا أضاف الطلاق إلی النکاح وقع عقیب النکاح مثل أن یقول لامرأة إن تزوجتک فأنت طالق أو کل امرأة أتزوجہا فہي طالق۔ (الہدایة ۲/۳۶۵)
কেহ যদি বিবাহের সাথে তালাক কে নিসবত করে,তাহলে বিবাহের পর তালাক পতিত হবে।
আরো জানুনঃ
★তবে এর থেকে রক্ষা পাবার একটি পদ্ধতি রয়েছেঃ
“উক্ত ব্যাক্তির কোন পরিচিত জন তাকে না জানিয়ে উক্ত ব্যাক্তির পক্ষ থেকে দুইজন স্বাক্ষ্যির সামনে কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। উক্ত মহিলা সেই বিয়ে কবুল করে নিবে। প্রস্তাবকারী উক্ত ব্যাক্তির কাছে এসে বলবে যে, “আমি তোমার বিয়ে ওমুক মেয়ের সাথে এত টাকা মোহরের বিনিময়ে দিয়ে দিলাম, সুতরাং তুমি মোহর হিসেবে কিছু টাকা/গহনা দাও”। তারপর উক্ত ব্যাক্তি কোন কথা না বলে কমপক্ষে দু’জন স্বাক্ষীর সামনে চুপচাপ মোহর বাবত কিছু টাকা/গহনা দিয়ে দিবে। তখন উক্ত মোহর বাবত প্রাপ্ত টাকা/গহনা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে বলবে যে, এটা তোমার স্বামী মোহর বাবত দিয়েছে। এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে।