আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

 শায়েখ, প্রশ্নটি বড় হওয়ায় শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। খুবই পেরেশানিতে আছি।

(১) আমাদের বাসায় একটাই বাথরুম আর সেখানে কমোড বসানো। ইস্তিঞ্জার সময় স্প্রেয়ার দিয়ে পবিত্রতা অর্জনের সময় পানি ছিটে হাত, পা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। সেগুলো আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি ধুয়ে ফেলতে। কিন্তু ট্যাপের পানিতে স্প্রেয়ার বা শরীরের নাপাকি লাগা স্থানগুলো ধোয়ার সময় দেখা যায় সেখান থেকে পানি ছিটে ফ্লোর, দেয়াল, বালতি, বদনা এসবে লাগে। লাগার ব্যাপারটা মোটামুটি নিশ্চিত হলেও কোথায় লেগেছে তা ঠিক বোঝা যায় না।
যা হোক, আমি চেষ্টা করি যেন শরীরে কোনো নাপাকি লেগে না থাকে। এভাবে আমার বাথরুমে প্রায় ১ ঘণ্টা বা কখনো কখনো তারও বেশি সময় ব্যয় হয়। এতে বেশ পানিও খরচ হয়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে বাসার অন্যদের জন্য এটি কখনোবা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বদনার পানি আমি প্রতিবারই সতর্কতাস্বরূপ ফেলে দিই, কিন্তু বদনার গা ধোয়া হয় না। বদনা ধুতে গেলে সেখান থেকে আবার পানি ছিটে শরীর ও অন্যান্য জায়গায় লাগে।

এখন এহেন পরিস্থিতি বিবেচনায় বদনা কি পাক ধরতে পারব? আর বালতি গুলো?
(অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছিলাম নাপাক কাপড় ধোয়ার বালতিতে ছিটা লাগলেও যেমন তা পাক ধরা হয়, সেরকম অবকাশ আছে কি?)

(২) বদনাটা নাপাক হলে তো আমি অসাবধানতাবশত হাত না ধুয়েই ভেজা হাতে পানির ট্যাপ, জামাকাপড়, বই-খাতা, চেয়ার- টেবিল... এভাবে বাসার অনেক কিছুই তো স্পর্শ করেছি, যাতে নাপাকি লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু কোথায় লেগেছে, কতটুকু লেগেছে তা তো বুঝতে পারছি না। এখন এগুলো ধোয়া তো বেশ জটিল। এক্ষেত্রে করণীয় কী?
(৩) যদি কেউ নাপাকি সম্পর্কে এক সময় উদাসীন ছিল, পরে এ সম্পর্কে মাসআলা জেনেছে। তাহলে জানার পর থেকে এ বিষয়গুলোর উপর আমল করলেই হবে, নাকি আগে যে তার পোশাক, ঘরবাড়ি নাপাক ছিল, সেগুলোও পরিষ্কার করে ফেলতে হবে?

এ বিষয়গুলো নিয়ে আসলেই বেশ পেরেশানিতে আছি। আসলেই কি বিষয়গুলো এত জটিল, নাকি এগুলো শয়তানের  ওয়াসওয়াসা?
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (681,320 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://ifatwa.info/11686/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,    
শরীয়তের বিধান হলো নাপাক নাপাক কাপড় ধোয়ার সময় ছিটে আসা পানি নাপাক নয়।
তবে স্পষ্ট নাপাকির চিন্হ বুঝা গেলে অবশ্যই নাপাক হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي الرَّجُلِ يَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ فَيَنْضَحُ فِي إِنَائِهِ مِنْ غُسْلِهِ، فَقَالَ: لَا بَأْسَ بِهِ

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ফরয গোসলের সময় পাত্রে পানির ছিটা পড়া সম্পর্কে বলেন, এতে কোনো সমস্যা নেই।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৭৮৯
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফ্লোর, দেয়াল, বালতি, বদনায় যদি নাপাকির চিন্হ পাওয়া গেলে সেটিকে নাপাক ধরবেন।
নতুবা নয়।

ইহার থেকে সতর্কতামূলক বেঁচে থাকার লক্ষে নাপাক ধরে নিয়ে ধৌত করাই উচিত।  
,
কেননা হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}

(০২)
আপনি সেই বিষয় গুলোকে নিয়ে আর ভাববেননা।
এখন থেকে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
,
(০৩)
তার ব্যবহারিত পোশাক,ঘরবাড়ির বসা,শোয়ার জায়গা গুলি পবিত্র করে নিবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 108 views
...