ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
শরীয়তে যেসব ক্ষেত্রে লেনদেন বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষ্যকে শর্ত করা হয়েছে,সেক্ষেত্রে সাক্ষীগণের একসাথে সবার শোনা শর্ত।
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কাজী ছাড়া ২ সাক্ষীর উপস্থিতিতে কনেপক্ষ ইজাব দিলে ও ছেলে কবুল বললে বিবাহ হয়ে যাবে।বিবাহে কাজী রাখা জরুরী নয়। হ্যা, উত্তম বলা যেতে পারে। তবে বর্তমান দেশীয় মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী কাজী রাখা অত্যাবশ্যক এবং কাবিননামা রাখাও অত্যাবশ্যক।
(২)
একই মজলিসে বর-কনে উপস্থিত থাকলে কোনো উকিলের দরকার নেই।এমনকি তখন কেউ উকিল হতেও পারবে না।উকিল তখনই হয়,যখন মুওয়াক্কিল তথা বিবাহের আদেশ দাতা মূল ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত না থাকে।
(৩)
এভাবে গায়রে মাহরামকে উকিল নিয়োগ করা জায়েয হবে না।তবে কেউ করে নিলে, উক্ত উকিল কর্তৃক সম্পাদিত বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।
(৪)
মেয়ের বাবা সাক্ষী হতে পারবেন,যদি মেয়ে সাবালক হয়।নতুবা তিনি সাক্ষী হতে পারবেন না।