আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
253 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। আমার বাসায় চায় আমি একজন জজ হই। কিন্ত বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা ইসলাম বিরোধী। আল্লাহর আইনের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক আইন দ্বারাই বিচার-ফয়সালা করতে হয় এবং ইসলামী আইনে অপরাধী নয় কিন্তু বাংলাদেশের আইনে অপরাধী( যেমন - সমকামীকে হত্যা কারী , রাসূলকে(সাঃ) কটুক্তিকারীকে হত্যাকারী)ও বিচার করতে হয়। এধরনের বিচারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ   চেষ্টা করে তাদের শাস্তি লাঘব করার নিয়তে( যেহেতু অন্য জজ থাকলে শাস্তি অনেক কঠোর হতো)  এবং ইসলাম বিরোধী অন্যান্য যেসব আইন আছে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ইসলামের আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিচার করার চেষ্টা করলে ও জজের ক্ষমতায় ইসলামের উপকার করার ইচ্ছায় যদি কেউ বাংলাদেশে জজের চাকুরী করে।  তার জন্য বাংলাদেশে  জজের চাকুরী করা কি জায়েজ হবে? এবং এইক্ষেত্রে সে কি গুনাহের অংশীদার হবে? তার ইনকাম জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

সমাজ বা রাষ্ট্রে একমাত্র আল্লাহর আইন-ই চলবে, এটাই কুরআনের চাহিদা, দ্বীনে ইসলামের চাহিদা। এজন্যই সর্বদা সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে ইসালামী আইন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে হবে।

মানবরচিত আইনে পরিচালিত বিচারালয়ে চাকুরী করা হারাম নয়। কারন শরীয়তের বিধান হলো  সরকারি চাকুরীতে যেখানে শরীয়ত বহির্ভুত কোন কাজ না থাকে, কোনো গুনাহ বা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে না হয়, তাহলে এটা জায়েজ আছে।(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪)

সুতরাং সেই ভিত্তিতে  যেই দেশের শাসক মানবরচিত আইন দ্বারা শাসন করে সেই শাসকের অধিনে বিচারালয়ে চাকুরী করা জায়েজ আছে। তবে সর্বদায় খেয়াল রাখতে হবে যে শরীয়ত বহির্ভুত কোনো কাজ যেনো না হয়।  কারন সেটি হারাম।

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ 

یصح العقد علی مدۃ معلومۃ أي مدۃ کانت قصرت المدۃ کالیوم ونحوہ أو طالت کالسنین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۴؍۴۵۱ زکریا)

যার সারমর্ম হলো  মেয়াদ নির্ধারন করে বৈধ যেকোনো চাকুরী করা জায়েজ আছে,,,,,। 

শরীয়তের খেলাফ কোনো বিচার করা নাজায়েজ।

وَعَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سِمْعَانَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِىْ مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ»

নাও্ওয়াস ইবনু সিম্‘আন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিপালকের অবাধ্যতার মাঝে কোনো সৃষ্টির আনুগত্য নেই। (মিশকাতুল মাসাবিহ ৩৬৯৬.শারহুস্ সুন্নাহ্ ২৪৫৫, সহীহ আল জামি‘ ৭৫২০।)

وَعَنْ عَلِىٍّ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «لَا طَاعَةَ فِىْ مَعْصِيَةٍ إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِى الْمَعْرُوْفِ».

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নাফরমানির ক্ষেত্রে আনুগত্য নেই। আনুগত্য শুধু সৎকর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।(বুখারী ৭২৫৭, মুসলিম ১৮৪০, আবূ দাঊদ ২৬২৫, নাসায়ী ৪২০৫, আহমাদ ৭২৪।)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/623/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যদি কোন ব্যক্তি ইসলামী আইন দিয়ে বিচার করার দৃড় প্রত্যয় নিয়ে জজের চাকুরী করতে চায় তাহলে তার জন্য তা জায়েয হবে। তবে আবশ্যকীয় শর্ত হলো, কুরআন বিরোধী কোন ফায়সালা কখনই করা যাবে না। অন্যথায় তা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...