আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
১।বিবাহের পূর্বে কোনো মেয়ের সাথে যদি হুরমত সাব্যস্ত হয়ে যায়,,তাহলে ঐ মেয়ের মাকে বিবাহ করা যাবে না। কিন্তু ঐ মেয়েকে বিবাহ করা যাবে?

২।ধরুন আমি কারো কাছে ২০ টাকা পাই।টাকার পরিমাণ কম হওয়ায় আমি চাইলাম না ও সেও দিল না।পরবর্তীতে আমিও তার কাছ থেকে ১০ টাকা ধার নিলাম।আমি মনে মনে ধরে নিলাম তার কাছে তো আগে ২০ টাকা পেতামই,,তাই সে যে ১০ টাকা পাবে সেটা দিব না।এমন কি জায়েজ হবে নাকি তাকে ১০ টাকা দিতে হবে।

৩।একটি প্রাইভেটে পড়ার সময় স্যার আমাকে একটি sheet প্রায় ২০ জনের জন্য photocopy করতে বলে।আমি একসাথে photocopy করি ও প্রত্যেকের জন্য ১৭.৫ টাকা করে খরচ হয়।

ক।১৭.৫ টাকা খরচ হওয়ায় ও ৫০ পয়সা না চলাই আমি বলেছিলাম ১৮ টাকা করে দিতে।এখানে আমি কি তাদের হক মেরেছি?

খ।আমি ১৮ টাকা চাওয়ার পর তারা আমাকে ২০ টাকা করে দিল,,২০ টাকা দিয়ে তার ২ টাকা ফেরত চাইনি এবং আমিও ২ টাকা হওয়ায় আর নিজ থেকে ফেরত দেয় নি বা দিতে হবে কিনা জিজ্ঞেস করে নি।এইখানে কি তাদের হক মারা হয়েছে?যদি হয়ে থাকে তাহলে এখন আমার কি করা উচিত।কাদের থেকে টাকা নিয়েছিলাম তাদের কথাও সঠিক মনে নেই।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিবাহের পূর্বে কোনো মেয়ের সাথে যদি হুরমত সাব্যস্ত হয়ে যায়,,তাহলে ঐ মেয়ের মাকে বিবাহ করা যাবে না। তবে ঐ মেয়েকে বিবাহ করা যাবে।

(২)
উত্তম তো এটাই যে, তার কাছে আপনি ২০ টাকা চাইবেন।এবং তার ১০ টাকা তাকে ফিরত দিবেন।
তবে যদি কেউ ১০ ফেরত না দেয়,তাহলে কমপক্ষে ঐ ব্যক্তিকে ২০টাকা পাওনা সম্পর্কে অবগত করে দিবে।যদি অবগত না করে, তাহলেও তা বৈধ হবে,যদিও তা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৩)
আপনি তাদের সবাইকে বলবেন,১৭.৫০ পয়সা খরচ হয়েছে। এই বলে আপনি তাদের সকলের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে নিবেন। 
নতুবা এই ২.৫ টাকা আপনার জন্য জায়েয হবে না।

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...