আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
https://ifatwa.info/6405/ এখানে বলা হয়েছে,

মেয়েকেও ছেলের সমান সম্পদ দিবে। জুমহুর উলামায়ে কেরাম বলেছেন, সম্পদ বণ্টনে ছেলে-মেয়ের মাঝে বৈষম্য না করার বিষয়টি শরয়ী দলীলের আলোকে অধিক শক্তিশালী এবং অগ্রগণ্য এবং এর ওপরই ফতোয়া।(ফাতাওয়া আলমগীরী ৪/৩০১; আলবাহরুর রায়েক ৭/৪৯০; তাকমেলায়ে ফাতহুল মুলহিম ২/৭৫; কিতাবুন নাওয়াযেল ১২/১৮৫, ১৮৭)


(১) ফতওয়াটির মূল আরবীটা দরকার ছিল।

(২) এই বিষয়ে অন্যান্য ফিকহের দু' একজন ইমামের ফতওয়া দিয়ে বাধিত করবেন।

1 Answer

0 votes
by (677,040 points)
بسم الله الرحمن الرحيم 


কোনো ব্যাক্তি যদি জীবিত থাকাকালীন তার সম্পদ বন্টন করে দেয়,তাহলে ছেলে মেয়েদের মাঝে সমান ভাবে বন্টন করা মুস্তাহাব।
এই বিষয় নিয়ে ফুকাহায়ে কেরামগন দের মাঝে মতবিরোধ থাকলেও এর ওপরই ফতোয়া।

عن النعمان بن بشیر رضي اللّٰہ عنہ - وہو علی المنبر - یقول: أعطاني أبي عطیۃ فقالت عمرۃ بنت رواحۃ: لا أرضی حتی تشہد رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم، فأتی رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم، فقال: إني أعطیت ابني من عمرۃ بنت رواحۃ عطیۃ، فأمرتني أن أشہدک یا رسول اللّٰہ! قال: أعطیت سائر ولدک مثل ہٰذا، قال: لا، قال: فاتقوا اللّٰہ!
واعدلوا بین أولادکم۔ قال: فرجع، فرد عطیتہ۔ (صحیح البخاري، کتاب الہبۃ / باب الإشہاد في الہبۃ ۱؍۳۵۲ رقم: ۲۵۸۷ دار الفکر بیروت)

واحتجوا أیضًا بأنہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: اعدلوا بین أولادکم، أو قال: سووا بینہم، وفي روایۃ قال: اعدلوا بین أولادکم في النحل کما تحبون أن تعدلوا بینکم في البرّ۔ (إعلاء السنن / باب استحباب التسویۃ بین الأولاد في العطاء ۱۶؍۱۱۷ دار الکتب العلمیۃ بیروت، ۱۶؍۹۷ إدارۃ القرآن کراچی)

ولو وھب رجل لأولادہٖ في الصحۃ سوّی بینھم ھو المختار۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۴؍۳۹۱ زکریا)

وفي الخلاصۃ: المختار التسویۃ بین الذکر والأنثیٰ في الہبۃ، ولو کان ولدہ فاسقًا۔ (البحر الرائق / کتاب الہبۃ ۷؍۲۸۸ کراچی، ۷؍۴۹۰ زکریا)

وذہب الجمہور إلیٰ أن التسویۃ مستحبۃ، فإن فضل بعضًا صح وکرہ۔ (فتح الباري ۵؍۲۱۴ دار الفکر بیروت)

الأفضل في ہبۃ الابن والبنت، التثلیث کالمیراث وعند الثاني: التنصیف وہو المختار، ولو وہب جمیع مالہ من ابنہ جاز، وہو آثم۔ (بزازیۃ علی ہامش الہندیۃ، الہبۃ / الجنس الثالث في ہبۃ الصغیر ۶؍۲۳۷ زکریا)

قد ثبت بما ذکرنا، أن مذہب الجمہور في التسویۃ بین الذکر والأنثی في حالۃ الحیاۃ أقویٰ وأرجح من حیث الدلیل، ولکن ربما یخطر بالبال أن ہٰذا في ما قصد فیہ الأب العطیۃ والصلۃ، وأما إذا أراد الرجل أن یقسم أملاکہ في ما بین أولادہ في حیاتہ؛ لئلا یقع بینہم نزاع بعد موتہ؛ فإنہ وإن کان ہبۃ في الاصطلاح الفقہي، ولکنہ في الحقیقۃ والمقصود استعجال لما یکون بعد الموت، وحینئذ ینبغي أن یکون سبیلہ سبیل المیراث، فلو قسّم رجل في مثل ہذہ الصورۃ لِلذَّکَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَیَیْنِ علی قول الإمام أحمد، ومحمد بن الحسن - رحمہما اللّٰہ - فالظاہر أن ذلک یسع لہ، ولم أر ذلک صریحًا في کلام الفقہاء غیر أنہ لا یبدو خارجًا عن قواعدہم، واللّٰہ سبحانہ وتعالیٰ أعلم۔ (تکملۃ فتح الملہم، الہبۃ / مذہب الجمہور التسویۃ بین الذکور والأنثی ۲؍۷۵ دار العلوم کراچی)

ولو وہب رجل شیئاً لأولادہ في الصحۃ، وأراد تفضیل البعض علی البعض في ذٰلک لا روایۃ لہٰذا في الأصل عن أصحابنا، وروي عن أبي حنیفۃ رحمہ اللّٰہ تعالیٰ أنہ لا بأس بہ إذا کان التفضیل لزیادۃ فضل لہ في الدین، وإن کانا سواء یکرہ۔ وروی المعلی عن أبي یوسف أنہ لا بأس بہ إذا لم یقصد بہ الإضرار، وإن قصد بہ الإضرار سوی بینہم یعطي الإبنۃ مثل ما یعطي للإبن وعلیہ الفتویٰ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ، کتاب الہبۃ / الفصل السادس في الہبۃ للصغیر ۴؍۳۹۱ زکریا، عمدۃ القاري ۶؍۱۴۶ بیروت)

ولو وہب رجل شیئًا لأولادہ في الصحۃ، وأراد تفضیل البعض في ذٰلک علی البعض۔ روی المعلی عن أبي یوسف أنہ لا بأس بہ إذا لم یقصد بہ الإضرار، وإن قصد بہ الإضرار سویٰ بینہم یعطي للإبنۃ مثل ما یعطي للإبن، والفتویٰ علی قول أبي یوسفؒ۔ (فتاویٰ خانیۃ ۳؍۲۷۹)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...