আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
955 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম। মুহতারাম নভেম্বরের ১৩ তারিখে আমার ফাইনাল এক্সাম শুরু হবে।  এক্সাম ১ঃ৩০-৫ঃ৩০ মোট ৪ ঘণ্টা হবে। আমার বাড়ি থেকে এক্সাম হল অনেক দূরে।  তাই নামাজ ঠিকমত পড়তে পারবো কি-না চিন্তা হচ্ছে।  আমি যদি বাড়ি থেকে হলে গিয়ে যোহর আর আসরের নামাজ একসাথে পড়ে নিই তবে সেটা কি জায়েজ হবে?  আর মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার কত মিনিট পর ওয়াক্ত শেষ হয় জানাবেন প্লিজ। আমি একটা এপে দেখেছি মাগরিবের ওয়াক্ত ৩০/৩৫ থাকে মাত্র...  দয়া করে তাড়াতাড়ি উত্তরটা জানালে চিন্তামুক্ত হব, জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। আর এ নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করাও ফরজ। প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের জন্যই নির্ধারণ করা আছে। ওয়াক্ত বা সময় চলে গেলে সে নামাজের কাজা আদায় করা যায়। নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-

إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا

নিশ্চয় নামাজকে ঈমানদারের জন্য নির্ধারিত সময়ে (আদায় করা) আবশ্যক কর্তব্য করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১০৩)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায়ের তাগিদ দিয়েছেন। তাই কোনো শরয়ি প্রয়োজন ছাড়া এক ওয়াক্তের নামাজ অন্য ওয়াক্তে পড়া শুদ্ধ নয়।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায়কে সবচেয়ে বেশি ফজিলতময়। হাদিসে এসেছে-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম; কোন আমলটি সবচেয়ে বেশি ফজিলতময়? তিনি বলেন, ‘নামাজকে তার সময় মতো (নির্ধারিত সময়ে) আদায় করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)

যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নির্ধারিত ওয়াক্তে নামাজ ছেড়ে দেয় তথা আদায় না করে তবে সে কুফরি করলো। ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয়া কবিরা গোনাহ। নামাজ ছেড়ে দেয়া সম্পর্কে অনেক সতর্কতা এসেছে।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/21931

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১.প্রত্যেক নামাজ ওয়াক্তমত আদায় করা ফরজ। সুতরাং আপনি পরীক্ষার হলে প্রবেশের পূ্র্ব যোহরের নামাজ পড়বেন এবং আসরের ওয়াক্ত হওয়ার পরে পরীক্ষকদের অনুমতি নিয়ে আছরের নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন।

মাগরিবের ওয়াক্ত সূর্যাস্ত থেকে পশ্চিম আকাশের সাদা রেখা শেষ হওয়া পর্যন্ত। তার আনুমানিক সময় বড় দিনে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা ২৭ মিনিট। আর ছোট দিনে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট। কিন্তু বিনা ওজরে মাগরিবের নামাজ দেরি করে আদায় করা মাকরুহ। (আল-বাহরুর রায়েক : ১/২৫৮, ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ : ২/৪৭, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/১৫৮)

২. নিম্ন বর্ণিত ছুরত ছাড়া অন্য অবস্থায় তায়াম্মুম করা জায়েয নেই।

  ১- পানির অনুপস্থিতিতে

আল্লাহ তাআলা বলেন, (فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ) {অতঃপর পানি না পাও, তবে তায়াম্মুম করো।}

২- পানি থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করতে অপারগ হলে

যেমন অসুস্থ অথবা বৃদ্ধ ব্যক্তি যে নড়াচড়া করতে পারে না এবং তার কাছে এমন ব্যক্তিও নেই যে তাকে অজু করার ব্যাপারে সাহায্য করবে।

৩ - পানি ব্যবহার করার ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলেযেমন :

ক - অসুস্থ ব্যক্তি যদি পানি ব্যবহার করে তবে তার অসুস্থতা বেড়ে যাবে।

প্রচন্ড ঠান্ডায় যদি পানি গরম করার মতো কিছু না থাকে এবং পানি ব্যবহার করলে অসুস্থতা বেড়ে যাবে এ ধারণার পাল্লা ভারি থাকে, এ অবস্থায় তায়াম্মুম করার অনুমতি রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক, প্রচন্ড ঠান্ডা থাকার কারণে তায়াম্মুম করে নামাজের ইমামতি করার পর, আমর বিন আস রাযি. এর কাজকে নাকচ করে না দেয়া এ ক্ষেত্রে প্রমাণ। (বর্ণনায় আবু দাউদ)

গ - কোনো ব্যক্তি যদি পানি থেকে দূরে কোথাও অবস্থান করে এবং তার সাথে পান করার মতো সামান্য পানি থাকে আর অন্য পানি হাজির করতে অপরাগ হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (13 points)
মুহতারাম আমার প্রশ্নের উত্তর তো পাইনি। আরেকটা প্রশ্ন যদি পরীক্ষার কেন্দ্রে ওযু করার মত কোনো ব্যবস্থা না থাকে তবে কি আমি তায়াম্মুম করতে পারবো?        

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...