আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
edited by
হেদায়াত প্রাপ্ত হয়েছিলাম প্রায় দুই বছর হবে। খুব দ্বীনদার কিছু মানুষের সাথে থেকে পরিবর্তন এসেছিলো ঠিক কিন্তু খেয়াল করলাম তাদের সঙ্গে ত্যাগ করলে আমার নিজস্ব ঈমান খুবই দুর্বল।  বিরূপ পরিবেশে গেলে সেই ঈমান আর তেমন কাজে দিতে পারেনা।
খুব বড় একটা গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাই নিজে থেকেই।  ভুল বুঝতে পারার পর তা থেকে সরে আসলেও মনে মনে যেন তা নিয়ে একটা সময় অসন্তুষ্টি  কাজ করা শুরু করে।  এবং বার বার একই ভুল করতে লাগলাম। শুধু মাত্র নিজের নফসের তাড়নায়।  শুরুতে সেই পাপ গোপন থাকলেও একটা সময় তা প্রকাশ পে এবং আমিও নিজের বিশ্বস্ততা হারাই।
এখন আমি একেবারেই আগের মতো নেই।  পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেও আগের মতো স্বাদ তো পাইই না , ভালো কাজ/ আমলে কোনো আগ্রহ অনুভব করি না।  অনেক খারাপ কাজেও বরং নিঃসঙ্কোচ লাগে।  অনেক ভালো কাজ এইজন্য করি যে আগে করতাম তাই। আল্লাহর প্রতি ভয় , ভালোবাসা যে কি পরিমান কমেছে তা বলার মতো না। আগে তালিমে উপস্থিত থাকলেও এখন ইচ্ছা করে না।  তাফসীর , বিভিন্ন ইসলামিক বই , লেকচার , আমলে অভ্যস্থ ছিলাম ,তওবা করেছি।  তবুও আগের মতো মধুরতা , শান্তি ,ঈমান অনুভব হয় না মোটেই। নাসীহা তেও কাজ হয়না তেমন।  ভালো ভিডিও , লেখা দেখার পর একটা ভালো লাগা/ পরিবর্তন কাজ করলেও একটু পরেই তা উধাও হয়ে যায়।  দোআ/ কান্নাকাটির কিছুক্ষন পর আবার আগের মতো উদাসীন হয়ে যাই।  খুব অলসতা লাগে ভালো কাজে।   আমি শুধু চাই কিন্তু তা কাজে রূপ দিতে পারি না। শুধু উপদেশ নেই।  কিন্তু ২/৩ দিনের বেশি তা কাজে লাগিয়ে যেতে পারিনা। ইস্তেগফার কিছুক্ষন পড়ি , এরপর আর ইচ্ছা করে না , আবার আগের মতো হয়ে যাই । দোআ করি খুব মন দিয়ে কয়েকবার , পরে অলস লাগে , চালিয়ে যেতে পারি না।

ভাবি যে হারাম তো করেই ফেলেছি,  এখন আর কি গুনাহ থেকে বাঁচবো/ এখনকার  পাপ থেকে বাঁচা বুঝি লোক দেখানো,  এতে আল্লাহর ভয় নাই।

আর হঠাৎ করেই খেয়াল করছি, চেহারা কেমন কালো হয়ে যাচ্ছে।  গুনাহ করলে তার ছাপ চেহারায়ও পরে।
আমার মনে হয় আমার হেদায়াত চলে গেছে। জীবনের দৃষ্টি ভঙ্গি বদলে যাচ্ছে।  আল্লাহকে আপন তো করতে পারিয় নি , নিজেকে দ্বীন , দুনিয়া --উভয় ক্ষেত্রেই ইউসলেস মনে হয়।  আমি এমন জীবন চাই না।  আমি জান্নাতে যেতে চাই।  আমি জাহান্নামে যেতে চাইনা , আল্লাহর অসন্তুষ্টি চাই না। লক্ষ্যহীন জীবন চাই না। ধৈর্যশীল হতে চাই। ব্যক্তিত্ববান হতে চাই। ভালো ব্যবহারের, চরিত্রের হতে চাই।  আমি তো আল্লাহকে মূল প্রায়রীটিতে রাখতাম, এখনো তেমন চাই ,  আমি ভালো হতে চাই। এখন কেন মনে হয় যেন আল্লাহ অনেক দূরে ? শুধু উপদেশের পর উপদেশ না নিয়ে তা কাজে লাগাতে চাই।

যে আল্লাহর পথে চেষ্টা করে / হেদায়েত চায়, তাকে তো আল্লাহ হেদায়েত দেন, আমি কেন আগের মতন হচ্ছি না, মৃত অন্তর কেন জীবন পাচ্ছে না?

আমি কি করব?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

فَلَوْلَا إِذْ جَاءَهُم بَأْسُنَا تَضَرَّعُوا وَلَـٰكِن قَسَتْ قُلُوبُهُمْ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

অতঃপর তাদের কাছে যখন আমার আযাব আসল, তখন কেন কাকুতি-মিনতি করল না ? বস্তুতঃ তাদের অন্তর কঠোর হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল, যে কাজ তারা করছিল। (সূরা আনআম, আয়াত নং-৪২)

 

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ

তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আরাফ, আয়াত নং-৫৪)

 

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَاذْكُر رَّبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ وَلَا تَكُن مِّنَ الْغَافِلِينَ

আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না। (সূরা আরাফ, আয়াত নং-২০৫)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

আপনি বেশী বেশী নামাজ পড়বেন এবং আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করবেন। সব সময় যিকরের হালতে থাকার চেষ্টা করবেন। দেখবেন, আল্লাহ চাইলে কিছু দিনের মধ্যে আপনার অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যাবে। আগের মত ইনশাআল্লাহ আবার ইবাদতে মজা পাবেন। বিশেষ করে তাহাজ্জদের নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন এবং ঐ রাত্রে আল্লাহ তায়ালার কাছে কান্না কাটি করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...