আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
120 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
১)১)গোসল খানায় কি ঢুকে আল্লাহর নাম নেওয়া যাবে না?? (আমাদের গোসলখানায় টয়লেটও আছে)


২) ধরুন এক লোকের খুব সুন্দরী এক স্ত্রীও আছে,সে স্ত্রীকে খুব ভালবাসে

মাঝে মধ্যে নামায পরার সময় তার স্ত্রীর কথা মাথায় আসে

খুব অসুবিধা হয় নামাযে

এমতাবস্থায় কি তার স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে?

৩)ধরুন,কোন মেয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে,সে আগে আমার ফেসবুকে ফ্রেন্ড ছিল,এখন ব্লক মারি নি,তবে আনফ্রেন্ড করে দিছি

আজকাল মাঝে মধ্যে নামায পরতে গেলে ওর কথা মাথায় আসে, নামাযে অসুবিধা হচ্ছে

তাই ভাব্লাম যে যদি আর একবারও ওর কথা মাথায় আসে নামাযের সময় , তবে ওকে ব্লক মেরে দিব, যদিও ওকে ব্লক মারতে ইচ্ছা করে না

এরপর একদিন নামাযে বিনা কারণেই মনোযোগ হারিয়ে গিয়েছিল, তখন আমার মনে একটু খুশি লাগলো যে, "যাক,ওর কথা মনে হয়ে নামাযের মনযোগ নষ্ট হয় নি,অন্য কোন কারণে হইছে,তার মানে এখন ওকে ব্লক মারা লাগবে না।"

এই যে আমার নামাযে মনযোগ নষ্ট হচ্ছে কিন্তু ওকে ব্লক মারতে হবে না,এই ভেবে যে আনন্দ হচ্ছে এতে কি শিরক হবে??
শিরক হলে বড় শিরক নাকি ছোট শিরক??

1 Answer

0 votes
by (686,640 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
ওজু খানা এবং বাথরুম পৃথক পৃথক হওয়া অধিক উত্তম।কেননা হাদীস শরীফে এসেছে.....

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবীজী সাঃ বলিয়াছেন,
ﻻ ﻳﺒﻮﻟﻦ ﺃﺣﺪﻛﻢ ﻓﻲ ﻣﺴﺘﺤﻤﻪ ﺛﻢ ﻳﻐﺘﺴﻞ ﻓﻴﻪ ﻗﺎﻝ ﺃﺣﻤﺪ ﺛﻢ ﻳﺘﻮﺿﺄ ﻓﻴﻪ ﻓﺈﻥ ﻋﺎﻣﺔ ﺍﻟﻮﺳﻮﺍﺱ ﻣﻨﻪ
তোমরা কেউ বাথরুমে প্রস্রাব করিও না,কেননা কিছুক্ষণ পর সে তথায় ওজু/গোসল করবে,এবং প্রস্রাব করার ধরুণ নাপাকির ওয়াসওয়াসা সেখান থেকেই তার অন্তরে সৃষ্টি হবে।(আবু-দাউদ;২৭)

কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ 

ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.

যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
,

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত গোসল খানায় যেহেতু টয়লেটও আছে,তাই শরীয়াহ দৃষ্টিকোন থেকে আলাদা হুকুম রাখেনা।
এটিকেও বাথরুমই বলা হয়।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত গোসল খানাতে আল্লাহর নাম নেওয়া যাবেনা।

(০২)
এমতাবস্থায় তার স্ত্রীকে তালাক দিতে হবেনা।
এটি তালাক দেওয়ার শরয়ী কোনো কারন হতে পারেনা।
এই কারনে তালাক দিলে আল্লাহর সামনে স্বামীকে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
,
(০৩)
না, এতে কোনো শিরক হবেনা।
বিষয়টি নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে জবে,সুন্নাত তরীকায় নামাজ পড়তে হবে।
নিজ কানে আসে,এমন ভাবে জিহবা নাড়িয়ে নামাজে কুরআন তিলাওয়াত কর্যে হবে।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ নামাজে এহেন কোনো সমস্যাই হবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...