আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি আইওম এর ২১৬ ব্যাচের একজন ছাত্রী ছিলাম।সেপ্টেম্বর মাসে পেমেন্ট করার পর আমি জানতে পারলাম হারাম উপার্জন থেকে পেমেন্ট করা যায় না।আমার বাবা মা দুজনই ব্যাংকে চাকুরী করে।আমার নিজস্ব কোন উপার্জন নেই।তাই আমি আমার মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভর্তি ফি ও মাসিক পেমেন্ট করেছিলাম।এখন আমার মনে হলো যদি টাকাটা পেমেন্ট করাতে প্রতিষ্টানের ইনকামে কোন সমস্যা তাই সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে আমি আর পেমেন্ট করি নি ক্লাস ও করি নি।কারন আমার হালাল উপার্জনের কোন সুযোগ এখনো আসে নি।এখন আমার করনীয় কি?হারাম উপার্জন থেকে কি অর্থ প্রদান করা যাবে?না গেলে যেই অর্থ আমি ইতিমধ্যে দিয়ে ফেলেছি সেটার জন্য কি মাদ্রাসার ইনকামে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


এখানে দুটি মাসয়ালা।

এক, এখানে প্রতিষ্ঠানের ইনকামে সমস্যা হয়েছে কিনা?

দুই, এই টাকা আপনার জন্য পেমেন্ট করা ঠিক হয়েছে কিনা?

শরীয়তের বিধান হলো, কাজ যদি বৈধ হয়,তাহলে বিনিময়ে হারাম উপার্জনকারীর কাজ হওয়ার দরুণ উক্ত কাজ হারাম হবে না। ঐ ব্যক্তি তার হারাম উপার্জন থেকে বিনিময় দিলেও উক্ত বিনিময় গ্রহণ করা কোনো মুসলমানের জন্য হারাম হবে না। তবে কোনো হারাম কাজ করা আঞ্জাম দেয়া কখনো কোনো মুসলমানের জন্য জায়েয হবে না। 

عن سويد بن غفلة أن بلالا قال لعمر : إن عمالك يأخذون الخمر والخنازير في الخراج ، فقال : لا تأخذوها منهم ، ولكن ولوهم بيعها ، وخذوا أنتم من الثمن- قال أبو عبيد : " يريد أن المسلمين كانوا يأخذون من أهل الذمة الخمر والخنازير من جزية رءوسهم وخراج أرضيهم بقيمتها ثم يتولى المسلمون بيعها ، فهذا الذي أنكره بلال ونهى عنه عمر ، ثم رخص لهم أن يأخذوا ذلك من أثمانها إذا كان أهل الذمة المتولين لبيعها ; لأن الخمر والخنازير مال من أموال أهل الذمة ولا يكون مالا للمسلمين .

মর্মার্থ- হযরত উমর রাযি. আহলে যিম্মা কাফির থেকে তাদের বিদ্যমান হারাম মালকে বিক্রি করে সেই মালের মূল্যকে জিযয়া হিসেবে গ্রহণ করার অনুমোদন দিয়েছেন। 
(আহকামু আহলিয-যিম্মাহ-১/১৮৩, এ’লাউস-সুনান-১৪/১৩৪, কিতাবুন-নাওয়াযিল-১২/৫১৭))

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মাদ্রাসা যেহেতু হালাল কাজ করেই বেতিন নিচ্ছে,তাই উল্লেখিত বেতন নেওয়া মাদ্রাসার জন্য জায়েজ আছে,এতে প্রতিষ্ঠানের ইনকামে সমস্যা হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
যেহেতু আপনি মহিলা,আপনার সম্পূর্ণ খরচের দায়িত্ব আপনার বাবার।
আর আপনার নিজের টাকা নেই।
তাই এক্ষেত্রে বাবার হারাম উপার্জন থেকে আপনার প্রয়োজন পূরন করা জায়েজ আছে।
তাই আপনি মাদ্রাসায় উক্ত টাকা থেকে ভর্তি ফি ও মাসিক পেমেন্ট করতে পারবেন।
নিয়মিত ক্লাস চালিয়ে যেতে পারবেন। 

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...