আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
577 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
ভাইয়া আমি ইন্টার 1st ইয়ার এ পড়ি । আসলে কিছু দিন থেকে আমাকে জেনারেল লাইনের পড়ালিখা ভালো লাগছে না, এর কারণ হলো 1. এটা পশ্চিমাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। 2. এই লাইনে থাকতে গেলে ইসলাম অনুযায়ী চলা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। 3. কোচিং ও কলেজ এ ছেলে মেয়ে কম্বাইন্ড ক্লাস যেটা হারাম। 4. এই শিক্ষা আমাদেরকে ইসলাম বিমুখ করে রাখছে। 5. এই লাইনে থাকলে কুরআন ও হাদীস ঠিকমতো পড়তে পারছিনা বা ইসলামী জ্ঞান অর্জন করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া আরো অনেক সমস্যা আছে এতো গুলা বলা সম্ভব হচ্ছে না। ঠিক এই মুহূর্তে আমার কাছে একটি সুযোগ এসেছে সেটা হলো আমার পরিবার থেকে আমাকে যেকোনো একটি ব্যবসাতে লাগিয়ে দিতে চাইছে। সাথে গবাদি পশু পালন করবো। এবং ভালো কোনো আলেম দিয়ে আমাকে কুরআন ও হাদীস পড়ার সুযোগ দিবে বলেছে। সাথে দুনিয়া সম্পর্কে সর্বোচ্চ জ্ঞান অর্জন এর জন্য জেনারেল লাইনের বই গুলো পড়বো নিজে নিজে। মানে সিলেবাস অনুযায়ী নয়। এখন আমি বুঝতে পারছিনা আমি কি করব। আমি কি এই জাহেলি যুগের সংস্কৃতি ও শিক্ষা পরিত্যাগ করে কুরআন হাদীস শিক্ষায় এবং ব্যবসাতে মনোনিবেশ করবো।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3782 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ,জ্ঞান শিক্ষা ফরয সম্পর্কিত একটি মূলনীতি তুলে ধরেন।যাকে আমাদের সামনে আসলে,ভবিষ্যৎ অনেক অস্পষ্টতা দূরবিত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।
তিনি বলেনঃ
وَكُلُّ مَنْ اشْتَغَلَ بِشَيْءٍ يُفْرَضُ عَلَيْهِ عِلْمُهُ وَحُكْمُهُ لِيَمْتَنِعَ عَنْ الْحَرَامِ فِيهِ اهـ
যে বক্তি কোনো জিনিষ বা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট হবে নিজেকে সংশ্লিষ্ট করজে, তার উপর উক্ত বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করা ফরয।যাতে করে উক্ত বিষয় ও বিষয় সংশ্লিষ্ট সমস্ত হারাম থেকে সে অনায়াসে বেছে থাকতে পারে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪২)..................বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1893

কতোটুকু জ্ঞান অর্জন করাটা ফরয?কী কী জিনিষ এই ফরজ ইলমের অন্তর্ভুক্ত? এবং কোন কোন বিষয়?

এর উত্তর হচ্ছে,আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয।যেমন,নামায আল্লাহর ফরয বিধান,নামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত।তাই পবিত্রতার ইলম অর্জন ফরয।ঠিকতেমনি কেরাত ফরয, তাই কেরাত শিক্ষা ফরয।ঈমান আনয়নের জন্য শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণেএকমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয।তাই এ সম্পর্কীয় ইলম অর্জন ফরয।এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান।রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।ইত্যাদি ইত্যাদি। (শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

আপনাকে আমরা পরামর্শ দেবো যে, আপনি শত প্রতিকুলতাকে কাটিয়ে শয়তানের সমস্ত জালকে বেদ করে নিজে নিজে দ্বীনের উপর অটল থেকে জেনারেল শিক্ষা গ্রহণ করবেন।পাশাপাশি দ্বীন শিক্ষার প্রতিও মনোনিবেশ করবেন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...