আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,840 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)

আসসালামু আলাইকুম কখনো আমার 4/5 মাস পর হয় এবং টানা 15 দিন এর বেশি ও থাকে ..এই অবস্থায় আমি নামাজ রোজা কয় দিনের দিন থেকে করতে পারবো ?উল্লেখ্য আগে মাসিক 4/5 দিন হতো..আরো যেটা হয় মাঝেমাঝে কিছুদিন হয়ে থেমে যায় আবার শুরু হয় অথবা প্রথম কিছুদিন 1/2 দিন খুবি অল্প রক্তপাত হয়ে থেমে যায় .. পরে আবার শুরু হয়  তখন আমি কি করবো? এই অল্প রক্তপাত কি গননায় আসবে??মাসিক এর প্রথম দিন কিভাবে গননা করবো?

1 Answer

0 votes
by (678,560 points)
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


 শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েজ (মাসিক) এর সর্বনিম্ন সময় হলো তিন দিন,সর্বোচ্চ সময়সীমা  হলো  দশ দিন।
তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশি রক্ত আসলে তা ইস্তেহাযা বা অসুখ বলে গন্য হবে।

হাদীস শরীফে এসেছে     
عن ابی امامة الباھلی قال قال رسول اللہ ۖ لایکون الحیض للجاریة والثیب الذی قد ایئست من الحیض اقل من ثلاثة ایام ولا اکثر من عشرة ایام فاذا رأت الدم فوق عشرة ایام فھی مستحاضة فمازاد علی ایام اقرائھا قضت ودم الحیض اسود خائر تعلوہ حمرة ودم المستحاضة اصفر رقیق (دار قطنی ، نمبر ٨٣٤) 

অন্যত্রে এসেছে
( ٢)عن واثلة بن الاسقع قال قال رسول اللہ ۖ اقل الحیض ثلاثة ایام و اکثرہ عشرة ایام ۔(دار قطنی، کتاب الحیض ، ج اول ،ص ٢٢٥ ٨٣٦)

যার সারমর্ম হলো  হায়েজ (মাসিক) এর সর্বনিম্ন সময় হলো তিন দিন,সর্বোচ্চ সময়সীমা  হলো  দশ দিন।

,
সুতরাং আপনার যেহেতু হায়েজের পূর্বের নির্দিষ্ট সময় সীমা আর নির্দিষ্ট নেই,তাই আপনার হায়েজ (মাসিক) প্রতি মাসে হোক,বা ৪/৫ মাস পর করেই হোক,যখন আপনার হায়েজ (মাসিক) শুরু হবে,তখন থেকে আপনি নামাজ,কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করে দিবেন।

যদি ৩ দিনের কম সময়েই রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি উক্ত দিন গুলোকে ইস্তেহাযা ধরে নিয়ে উক্ত নামাজ সমুহের কাজা আদায় করে নিবেন।

আর যদি ১০ দিনের বেশি রক্ত আসে,তাহলে ১০ দিনের  অতিরিক্ত দিন গুলোর নামাজ আদায় করতে হবে।
,

কিন্তু যদি এমনভাবে বন্ধ হয় যে, যা দ্বারা এটা বুঝা যায় না যে, রক্ত বন্ধ হয়েছে কিনা,

তাহলে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  ৪দিন পর বন্ধ হোক বা ৬দিন পর বন্ধ হোক, যেদিনই যে সময়ই ১০ দিনের মাঝে রক্ত বন্ধ হোক না কেন, যদি গোসল করে তাকবীরে তাহরীমা বলার সুযোগ থাকে তাহলে উক্ত ওয়াক্তের নামায সে মহিলার উপর আবশ্যক হয়ে যায়। তবে গোসল করতে নামাযের মুস্তাহাব সময় অতিক্রান্ত হওয়া পর্যন্ত হায়েজ ফিরে আসে কি না? এজন্য অপেক্ষা করা জায়েজ আছে।

যেহেতু রক্ত বন্ধ হওয়ার দ্বারা নামায পড়া জায়েজ হয়ে যায়, তাই অন্যান্য সকল আমল করাও জায়েজ হয়ে যাবে, যেমন কুরআন তিলাওয়াত করা ইত্যাদি।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে   
فى رد المحتار- ( وإن ) انقطع لدون أقله تتوضأ وتصلي في آخر الوقت وإن ( لأقله ) فإن لدون عادتها لم يحل وتغتسل وتصلي وتصوم احتياطا (رد المحتار ، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/489-490)

যার সারমর্ম হলো রক্ত তার সময়সীমার আগেই বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে নামাজের শেষ ওয়াক্তে অযু করে নামাজ পড়ে নিবে।  
ফাতওয়ায়ে শামী-১/৪৮৯-৪৯০

আল বাহরুর রায়েক-১/৩৫৩-৩৫৫

ফাতহুল কাদীর-১/১৭৩-১৭৪


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 513 views
...