আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম

(১)

কোন ব্যাক্তি যদি কোনো কিছু বিক্রি করে এই শর্তে যে, নগদ নিলে ১০টাকা বাকিতে নিলে ১৫ টাকা তাহলে এটা কি বৈধ হবে ?

না হলে কারন কি?

আর বর্তমানে যে কিস্তিতে ক্রয় বিক্রয় হয় সেখানেও তো নগদ নিলে এক মুল্য আর কিস্তিতে নিলে তার থেকে বেশী মুল্যপরিশোধ করতে হয়
এটা কি জায়েজ?

এটা আর উপরোক্ত বিষয় কি এক?

মেশকাত শরীফের একটি হাদিস আছে=

كتاب البويع তে

মাকতাবাতুল ফাতাহ=২৮৬৮

হুজুর সাঃ একই বিক্রির মধ্যে দুই রকমের বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন॥

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় টিকা ওয়ালা এই মেছালটি দিছেন =কোন ব্যাক্তি যদি কোনো কিছু বিক্রি করে এই শর্তে যে, নগদ নিলে ১০টাকা বাকিতে নিলে ১৫ টাকা।তাহলে এটা নাজায়েজ হবে।

এই হাদিসের আওতায়ে কি কিস্তিতে ক্রয় বিক্রয় শামিল হবে ??

(২)

কিতাব হেদায়া ,খন্ড ৪,অধ্যায় كتاب الذباءح
এখানে দুটি শব্দার্থ جِرِّيثُ،مارماهي বাংলা অর্থ কি হবে ??

মানে কি মাছ উদ্দেশ্য করছে এখানে মুসন্নিফ?

1 Answer

0 votes
by (63,440 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব ,

https://www.ifatwa.info/10844 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে। সুদ হবে না। তবে শর্ত হল যে, দেরীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে। যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা। আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা। এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে। পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না। কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪)

হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে উতাইবা এবং হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে অন্যের থেকে পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেনক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই।দেখুন : মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী ১/১৪৭।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন

১.বাকীতে বেশী মূল্যে কোনো জিনিষ ক্রয় বিক্রয় করা নাজায়েয নয়। বরং জায়েয আছে । এটাকে সুদ বলা যাবে না। এটার নাম সুদ বা ইন্টারেষ্ট দিলেও তা সুদ হবে না।তবে শর্ত হলো, শুরুতেই নির্দিষ্ট এমাউন্টের উপর চুক্তি পূর্ণ করতে হবে। যদি কিস্তিতে পণ্য বিক্রয়ে কোনো প্রকার ইন্টারেষ্ট চার্জ করা না হয়, তাহলে তা জায়েয হওয়া বা হওয়া নিয়ে কোনো প্রশ্নই আসতে পারে না। বরং জায়েয।

 ২. جِرِّيثُ- অর্থ কালো মাছ । আল্লামা আইনী রহ: বলেন জিররীস হলো ঢালের ন্যায় গোলকৃতি বিশিষ্ট এক ধরনের মাছ। مارماهي -(মারমাহী) সাপের ন্যায় লম্বা এক প্রকারের মাছ ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...