আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
১|শাইখ,হাদীসে বর্ণিত সুদের সাক্ষীদ্বয়ের উপর যে লানত দিয়েছেন,আবার অনেক হাদীসে ২ সাক্ষীদ্বয়ের উপর লানত দিয়েছেন,এখন আমি জানতে চাই সুদের উপর যদি
৪/৫/৬জন সাক্ষী থাকে তাহলে কি তাদের উপর ও কি লানত পড়বে?

২|নবী যে লানত দিয়েছেন এ-ই লানতের রুপ কেমন হতে পারে,মানে কোন রোগ/কঠিন আযাব?সুদের সাক্ষীর উপর কেমন কেমন আযাব হওয়ার কথা হাদীসের বলা আছে?

৩|শাইখ,আমার মামা আমার আম্মুকে ঝণের টাকা নেওয়ার উপর সাক্ষী হিসেবে দলিলে সই করান,এ-ই ঋনে সুদ ও দিতে হবে আমার মামাকে,তবে কথা হলো আমার আম্মু জানতেন না এ-ই ব্যাপারটা যে সুদের লেনদেনে তিনি ও সাক্ষী আছেন,তিনি তো সই করে ফেলেছেন এখন করণীয় কি?

৪|তিনি এখন সই কাটা দিতে চান নিজের ভুল বুঝেতে পেরে তবে Brace bank যদি অস্বীকার করে মানে সই হয়ে গিয়েছে এখন আর হবে নাহ্,  তাহলে আম্মুর উপর কি লানত পড়বে?এখন করণীয় কি?

মনে করুন,
৫|আমার ফুফু সুদের উপর ঋণ নিয়েছেন অনেক দিন হয়,ওনাকে সঠিকটা বুঝানোর পর তিনি ভুল বুঝতে পেরে এখন আর সুদ দিতে চাইছেন নাহ্ তবে Brace Bank নারাজ,তারা তাদের সুদ ও চাইছে সাথে ধার দেয়া ঋণের টাকাটা ও।
এখন আমার ফুফু কি করবেন?
তার করণীয় কি?

৬| যদি চাপে পড়ে আমার ফুফু সুদ পরিশোধ করেন তাহলে উনার উপর লানত+গুনাহ হবে কিনা না?

৭| মনে করুন কেউ ঋণ নিল কিছু টাকা যা তাঁকে সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে,কিন্তু সে জানে না যে সুদ হারাম তাই সে সুদ দিয়ে দিল,কিন্তু পরে যখন সে জানল এখন তার করণীয় কি?তার উপর কি লানত পড়বে?

৮|শাইখ কেউ যদি টাকার প্রয়োজনে ঋণ নিলে যেখানে তাকে বাড়তি সুদ ও দিতে হবে তাহলে কি তার কোন গোনাহ হবে?তার উপর কি লানত পড়বে?

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, সবার উপরই লা'নত আসবে।
(২)
লা'নত বলতে যেকোনো প্রকার আযাব ঐ ব্যক্তির উপর আসতে পারে।
(৩)
এখন উনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।
(৪)
যেহেতু উনি সই দিয়েই দিয়েছেন, এখন উনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।এবং ভবিষ্যতে আর সই করবেন না।
(৫)
যেহেতু উনি সুদ নিয়েই নিয়েছেন, তাই উনি এখন সুদসহ মূল টাকা ব্যাংককে পরিশোধ করবেন।এবং সাথে সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।এবং ভবিষ্যতে আর সুদ গ্রহণ করবেন না।
(৬)
উনি যদি নিজের ভূল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।তখন তার উপর লা'নত পড়বে না।
(৭)
তার দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, সে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করবে।
(৮)
যদি কোনো মানুষের নিকট সুদ গ্রহণ ব্যতিত বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকে,এবং জীবন পরিচালনা অনেক অনেক কষ্টকর হয়ে যায়, তাহলে ইস্তেগফারের সুদ গ্রহণ জায়েয হবে।
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয।
আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;
বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...