আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (35 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,শায়েখ

ধরুন আমি খুব ভাঙাচোরা মন নিয়ে দোআ' করছি!আসলে আশেপাশের কোনো খেয়াল নেই!
কোনো পুরুষ যে আমার কান্না শুনতে পারে আমার সে খেয়াল  নেই।
আর মনে হচ্ছিল ওই সময় আমি আস্তেই কান্না করছিলাম।কেউ শুনবে না হয়তো...
যাই হোক ঘটনাক্রমে প্রতিবেশিরা কান্নার আওয়াজ শুনেন।অনেকক্ষণ পর একটা ছেলের ভয়েস শুনে আমি পর্দার ব্যাপারে সতর্কতার জন্যে চুপ হয়ে যাই।
তখন ওনারা বেশ কয়েকটা বাসায় জিজ্ঞেস করে জানতে পারে ওনারা কেউ কান্না করেন নি।
এরপর পরবর্তী দিন প্রতিবেশিরা (কিছু দ্বীনি এবং বেদ্বীনি) ধারণা করে যে হয়তো কাছে যে কবর আছে সেখান থেকে কারো আযাবের কান্নার শব্দ ছিল!
নামাজ পড়ে না,গান ছেড়ে রাখে।

একটা আয়াত বারবার মনে হচ্ছে..

আর তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন করো না

(২:৪২)

যাই হোক...

আমার প্রশ্ন ৩ টে...

১. এই যে আমার বেখেয়ালে আমার কান্নার শব্দ শুনেছে আমার কি গুনাহ হবে?

২.আমার কি সত্যটা জানানো উচিত?নাকি ওনাদের মনে যেন কবরের আজাবের কথা ভেবে দ্বীনের প্রতি যেন টান আসে এই  ভেবে চুপ থাকা উচিত?

৩.ওই সময় দোআ' করছিলাম যেন এই ঘটনাটা জানাজানি না হয়।তাহলে ছেলে ভয়েসের ওনারা বুঝে নিবেন আমার ভয়েস ছিল(যদিও স্পষ্ট শুনেন নি)!পর্দা লঙ্ঘন হবে।এখন এটা কি দোআ' কবুল হলো ধরবো নাকি সত্য প্রকাশ করবো?!

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَلَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ

তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না। (সূরা বাকারা, আয়াত নং-৪২)

 

তিনি অন্যত্রে ইরশঅদ করেন-

ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ

তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আরাফ, আয়াত নং-৫৫)

 

তিনি আরো বলেন-

وَاذْكُر رَّبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ وَلَا تَكُن مِّنَ الْغَافِلِينَ

আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না। (সূরা আরাফ, আয়াত নং-২০৫)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


১. না, এই ক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ।

২. আপনার ইচ্ছা, চাইলে জানাতে পারেন আবার নাও পারেন। তবে অবশ্যই যদি এই বিষয়ে সরাসরি তারা আপনাকে কোন দিন বলে তাহলে তাদেরকে সত্যটা বলে দিবেন।

৩. এটা আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...