মহিলাদের জন্য আওয়াল ওয়াক্তে তথা প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তের শুরুতে নামাজ আদায় করা উত্তম হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ كَيْفَ أَنْتَ إِذَا كَانَتْ عَلَيْكَ أُمَرَاءُ يُمِيتُونَ الصَّلَاةَ اَوْ يُؤَخِّرُوْنَهَا عَنْ وَقْتِهَا قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي قَالَ صَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتَهَا مَعَهُمْ فَصَلِّ فَإِنَّهَا لَكَ نَافِلَةٌ.
আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, সে সময় তুমি কী করবে যখন তোমাদের ওপর শাসকবৃন্দ এমন হবে, যারা সলাতের প্রতি অমনোযোগী হবে অথবা তা সঠিক সময় হতে পিছিয়ে দিবে? আমি বললাম, আপনি আমাকে কী নির্দেশ দেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ সময়ে তুমি তোমার সলাতকে সঠিক সময়ে আদায় করে নিবে। অতঃপর তাদের সাথে পাও, আবার আদায় করবে। আর এ সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) তোমার জন্য নফল হিসেবে গণ্য হবে।
সহীহ : মুসলিম ৬৪৮, আবূ দাঊদ ৪৩১, ইবনু মাজাহ্ ১২৫৬, তিরমিযী ১৭৬, দারেমী ১২৬৪, আহমাদ ২১৩২৪, সহীহ আল জামি‘ ৪৫৮৮
کذا فی الشامیۃ:
أن أداء الصلاة في أول الوقت أفضل، إلا إذا تضمن التأخير فضيلة لا تحصل بدونه، كتكثير الجماعة؛ ولهذا كان أولى للنساء أن يصلين في أول الوقت؛ لأنهن لا يخرجن إلى الجماعة، كذا في مبسوطي شمس الأئمة وفخر الإسلام.
(رد المحتار،1/ 367)
সারমর্মঃ
নিশ্চয়ই আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া উত্তম।
কিন্তু যদি দেড়ি করে পড়ার ক্ষেত্রে ফজিলত থাকে,যাহা দেড়িতে না পড়লে পাওয়া যাবেনা,তাহলে দেড়ি করে পড়বে।
যেমন জামা'আত বড় হওয়া ইত্যাদি।
এই কারনে মহিলাদের জন্য আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ উত্তম।
কেননা তাদের জামা'আতের জন্য বের হতে হয়না।