আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
255 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
শাইখ,সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে উপার্জিত অর্থ হারাম নাকি হালাল তা আলেমদের মধ্যে ইখতিলাফ থাকায় আমি গত ৩ দিন ধরে ইস্তিখারা করেছি।( আমার মাহরাম উক্ত মাধ্যমে উপার্জন করে থাকেন). যদি ও এর আগেও আমি একবার ইস্তিখারা করেছিলাম।কিন্তু, তখন আমার কেনো জানি ইস্তিখারার রেজাল্ট নেগেটিভ মনে হয়েছিলো,( আমি কোনো চিন্তা ফিকির কিংবা কোনো কিছু না ভেবে চিন্তেই এমনিতেই ওইটাকে হারাম ধরেছি). আর তাই আমি ওই টাকা হারাম ধরেই কিছুদিন চলেছি।কিন্তু, গত ৩ দিন টানা ইস্তিখারা করার সময় ১ ম দিন রাতে আমি একটা সপ্ন দেখেছি।সপ্নটা ঠিক এইরকম যে," আমি অনেক খাবার খাচ্ছি আর আড্ডা দিচ্ছি ঘরে।( আমার মাহরামের উপার্জিত অর্থে)। তো হঠাৎ ই আমার মনে পড়লো যে এই খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ করা তো আমার জন্য জায়েজ না।কিন্তু পরক্ষনেই তা আবার মিলিয়ে গেলো "।আর,সপ্ন বাদে এইটা যদি বাস্তবে হতো তাহলে আমি অস্তির হয়ে উঠতাম হারাম খেয়ে ফেলেছি এই ভেবে।কিন্তু ওই সপ্নতে আমার এইরকম কোনো প্রতিক্রিয়া ই হয় নি!কিন্তু, তবুও আমি ইস্তিখারাকে পজিটিভ ধরে এক্কেবারে হালাল ধরি নি,আরো কয়েকদিন ইস্তিখারা করার নিয়ত ছিলো বলে।আমি একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছাতে চেয়েছিলাম।আমি ৩ দিন টানা ইস্তিখারা করেছি,আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আমার কেনো জানি না মনে হচ্ছে যে হয়ত আমার ইস্তিখারায় কোনো ভুল হয়েছে, হয়ত ইস্তিখারা ঠিক ভাবে হয় নি,হয়ত সপ্নটা এমনি এমনই দেখেছিলাম এইটা ইস্তিখারার পজিটিভ দিক না ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি জানি না এই টা সয়তানের ওয়াসওয়াসা কি না।শাইখ,যদি আমাকে একটু বুঝিয়ে বলতেন।

কিন্তু, আমার মনের মধ্যে এখন এক প্রশ্ন জেগেছে। আমার প্রশ্ন টা হলো যে," কেউ যদি সুদি ব্যাংকে চাকরি করে তাহলে তো তার উপার্জন টা হারাম হবে।কিন্তু উনি তো আর সুদ খাওয়ার জন্য টাকা নিচ্ছেন না, উনি তো পরিশ্রম করার জন্য পারিশ্রমিক হিসেবেই টাকা টা নিচ্ছেন! কিন্তু, তবও তো শরিয়াহ মোতাবেক উনার ইনকাম টা হারাম!  যেহেতু উনি হারাম সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িত।আর,এইদিকে সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে ও তো উনাকে ওইখানে হারামের মধ্যে সর্বদা থাকতে হবে।তাহকে তো এইটা আর সুদি ব্যাংকে চাকরি অনেক ক্ষেত্রেই মিল!শাইখ,যদি অনুগ্রহ করে আমাকে সুদি ব্যাংকের চাকরির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরির টাকা হারাম হবে নাকি হালাল হবে তা একটু বুঝিয়ে বলতে.....।
তাহলে ইন শা আল্লাহ, আমার বুঝতে অনেক সহজ হবে।আর খুব তাড়াতাড়ি ই আমি সঠিকটা বুঝতে পারবো।

1 Answer

0 votes
by (709,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةًسِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»
উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন, আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)

ফাতাওয়া শামীতে বর্ণিত আছে,
ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো গুনাহ নাই।
(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ٦\٣٩٢ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পর্দা রক্ষা না করা পৃথক বিষয়। আর সহশিক্ষা বাবৎ বেতন পৃথক একটি বিষয়। সুতরাং সহশিক্ষা বাবৎ বেতন হারাম হবে না। হ্যা পর্দা রক্ষা না করার দরুণ অবশ্যই গোনাহ হবে। আর সুদ সম্পর্কে বলা যায় যে, এখানে তো দশ জন ব্যক্তি যারা সুদের সাথে সম্পর্ক রাখবে, তাদের সবার প্রতি রাসূলুল্লাহ সাঃ অভিসম্পাত করেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...