আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (17 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।
১. জেএসসি, পিএসসি, এসএসসি এমন পাবলিক পরীক্ষার পর সরকারি বৃত্তি পেলে প্রতি মাসে সরকার কর্তৃক যে টাকা পাওয়া যায় (উপবৃত্তি নয়) তা কি হালাল?
২. ঐ বৃত্তির টাকা এবং ঈদের সালামির টাকা কোনো ব্যাংকে জমা রেখে সেই টাকা দিয়ে কোনো বালেগা মেয়ে কি উমরাহ বা হজ্জ করতে পারবে?
৩. শেষ হয়ে যাওয়া খাতা প্লাস্টিক বিক্রেতার কাছে বিক্রি করলে যে টাকা পাওয়া যায় তা কি হালাল এবং তা কি ঐ উমরাহর জন্য জমানো টাকায় শামিল করা যাবে?
৪. একইভাবে হাত খরচের টাকাও কি জমানো যাবে উমরাহর জন্য?
( আসলে হজ্জ ফরজ হয়েছে কিনা সে ব্যাপারটা না ভেবে যাদের হজ্জ ও উমরাহ করার প্রবল ইচ্ছা তাদের জন্যই এ প্রশ্ন। হজ্জ ফরজ না হলেও যারা যেতে চায়)

জাযাকাল্লাহ খায়ের শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১) জেএসসি, পিএসসি, এসএসসি এমন পাবলিক পরীক্ষার পর সরকারি বৃত্তি পেলে প্রতি মাসে সরকার কর্তৃক যে টাকা পাওয়া যায়,সেটা হালাল।

(০২) সরকারী বৃত্তির টাকা এবং ঈদের সালামির টাকা কোনো ব্যাংকে জমা রেখে সেই টাকা দিয়ে বালেগা মহিলা উমরাহ বা হজ্জ করতে পারবে।
তবে মাহরাম সাথে থাকতে হবে। এবং ব্যাংকে টাকা রাখার কারনে যদি কোনো সূদ আসে,তাহলে সেই টাকা দিয়ে ওমরাহ করবেননা।
এটি ছওয়াবের নিয়ত ছাড়াই গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন। 

শরীয়তের বিধান হলো মাহরাম ছাড়া মহিলাদের জন্য সফর করা জায়েজ নয়। এমনকি মহিলাদের মাহরাম না থাকলে তার উপর হজ্ব ফরজও হয় না।


হজ্ব ফরজ না হওয়া সত্বেও এবং মাহরাম ছাড়া হজ্ব করা নিষেধ হওয়া সত্বেও যদি তিনি হজ্ব করে ফেলেন মাহরাম ছাড়াই, তাহলে হজ্বটি মাকরূহের সাথে আদায় হয়ে যাবে।

عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا يحل لإمرأة تؤمن بالله واليوم الآخر أن تسافر سفرا يكون ثلاثة أيام فصاعدا إلا ومعها أبوها أو ابنها أو زوجها أو أخوها أو ذو محرم منها

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তাআলা এবং কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান রাখেএমন কোন মহিলার জন্য জায়েজ নয়, তিন দিন বা এর চেয়ে অধিক দিনের সফর করে অথচ তার সাথে তার পিতা, তার ছেলে, বা তার স্বামী বা তার ভাই কিংবা কোন মাহরাম না থাকে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৩}

  يُشْتَرَطُ فِي حَجِّ الْمَرْأَةِ مِنْ سَفَرِ زَوْجٍ أَوْ مَحْرَمٍ بَالِغٍ عَاقِلٍ غَيْرِ مَجُوسِيٍّ وَلَا فَاسِقٍ مَعَ النَّفَقَةِ عَلَيْهِ وَأَطْلَقَ الْمَرْأَةَ فَشَمِلَ الشَّابَّةَ وَالْعَجُوزَ لِإِطْلَاقِ النُّصُوصِ (البحر الرائق، كتاب الحج-2/552، المحيط البرهانى، كتاب الحج، الفصل الأول-3/394
যার সারমর্ম হলো সফরের দুরত্বে যদি হয়,তাহলে মহিলার জন্য হজ্জ বা ওমরার ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক জ্ঞানী মাহরাম সাথে রাখতে হবে 
     
وَلَوْ حَجَّتْ بِلَا مَحْرَمٍ جَازَ مَعَ الْكَرَاهَةِ الخ- (قَوْلُهُ مَعَ الْكَرَاهَةِ) أَيْ التَّحْرِيمِيَّةِ لِلنَّهْيِ فِي حَدِيثِ الصَّحِيحَيْنِ «لَا تُسَافِرْ امْرَأَةٌ ثَلَاثًا إلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ» زَادَ مُسْلِمٌ فِي رِوَايَةٍ «أَوْ زَوْجٌ» (رد المحتار، كتاب الحج، مطبع كراچى-2/465
যার সারমর্ম হলো যদি মাহরাম ছাড়াই হজ্জ বা ওমরাহ করে,তাহলে সেটা জায়েজ হলেও মাকরুহ।   
,
(০৩) শেষ হয়ে যাওয়া খাতা প্লাস্টিক বিক্রেতার কাছে বিক্রি করলে যে টাকা পাওয়া যায় তা হালাল এবং তা  ঐ উমরাহর জন্য জমানো টাকায় শামিল করা যাবে।
শরীয়তের পক্ষ থেকে এক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

(০৪) হাত খরচের টাকাও ওমরার জন্য জমানো যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।   
,
★উল্লেখ্য যে হজ্জের মাস (শাওয়াল,যিলকদ,জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন) গুলোতে কেহ যদি ওমরাহ করে,এবং তার কাছে যদি এতো টাকা পয়সা থাকে যে হজ্জ করা, সেখানে থাকা,খাওয়া,নিজের পরিবারের খরচাপাতি  সহ যাবতীয় প্রয়োজন পূরন হয়,  তাহলে ওমরাহ করতে আসা সত্ত্বেও আপনার উপর হজ্জ ফরজ হয়ে যাবে। 
(নাজমুল ফাতওয়া ৩/৩৮১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 128 views
0 votes
1 answer 52 views
...