আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
327 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
১ বছর আগে আমি আমার স্বামীকে কিছু ঝামেলার কারণে তালাকে তাফইউজ প্রদান করি। তালাকের কাগজে কোনো সংখ্যা উল্লেখ ছিলোনা, শুধু তাফইউজ এর উপর টিক চিহ্ন দেয়া ছিলো। তালাকের ১ বছর পার হয়ে গেছে। এখন সে আবার আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে। আমরা কি বিয়ে করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (63,240 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ [٢:٢٣٠]

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। [সূরা বাকারা-২৩০]

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

আরো বিস্তরিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/14316/

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!

স্ত্রী যদি স্বামী কর্তৃকপ্রাপ্ত লিখিত বা মৌখিক তালাক প্রদানের অধিকার বলে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে। আর যদি স্বামী স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক পতিত করার অধিকার প্রদান না করে থাকে, তাহলে স্ত্রী নিজের উপর তালাক করার দ্বারা কোন তালাক করার দ্বারা কোন তালাক হয় না। সেই হিসেবে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর দ্বারা কোন তালাকই পতিত হবে না। যদি তালাক হয়ে থাকে, তাহলে দেখতে হবে কয় তালাক পতিত করেছে?

এর উপর নির্ভর করে স্ত্রী আবার স্বামীর ঘরে আসতে পারবে কি না?

যদি এক বা দুই তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে ফিরে আসতে পারবে। আর যদি তিন তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে আসতে পারবে না। বরং স্ত্রীর যদি তালাক পতিত হবার পর ইদ্দত শেষে অন্য কোথাও তার বিয়ে হয়, তারপর সেখানে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে থাকে, তারপর দ্বিতীয় স্বামী মারা যায় কিংবা তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত শেষে আবার প্রথম স্বামী বিয়ে করতে পারবে। এছাড়া কোন পথ নেই।

 সুতরাং আপনার স্বামী যদি আপনাকে তালাকে তাফবীজের অধিকার দিয়ে থাকেন তাহলে তিনি যেই কয় তালাকের অধিকার দিয়েছেন সেই অনুযায়ী তালাক পতিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
reshown
শাইখ!
বিয়ের সময় কাবিননামার ১৮ নং ঘর ফাঁকা ছিলো। পরবর্তীতে ডিভোর্স দেয়ার সময় হয়তো কিছু লিখে দেওয়া হয়। আমাদের মাঝে যখন ঝামেলা শুরু হয় তখন আমার স্বামী লোক মারফতে আমাদের ডিভোর্স পেপার পাঠাতে বলে। একপর্যায়ে আমরা ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেই। ডিভোর্স লেটার কোনো সংখ্যা উল্লেখ ছিলোনা, আর যখন আমি পেপারে সাইন করি তখন তিন তালাকের নিয়ত করিনি, ১ তালাক বা সাধারণ তালাকের নিয়ত করেছি। আর আমাকে যেহেতু সে ফোর্স করেছে, যখন সাইন করি তখনও মনে মনে ভাবছিলাম, হয়তো পেপার যাওয়ার পর ভুল বুঝে ফিরে আসবে। সে মুখে কোনো তালাক উচ্চারণ করেনি আর আমিও করিনি।
ডিভোর্স পেপার পাঠানোর ১ মাস পর ইদ্দতের মধ্যে তার সাথে মেসেজে আমার স্বামী স্ত্রী সুলভ কথা হয়। অর্থাৎ যৌনাচারমূলক কথা হয়। এর দ্বারা কি তালাক ভঙ্গ হয়ে গেছে?

আর যদি তালাক ভঙ্গ হয়ে না থাকে তাহলে এই ১ বছর পর আবার নতুন করে মোহরানা নির্ধারণ করে বিয়ের সুযোগ আছে কিনা?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...