আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
436 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

১. কোনো মেয়ে যদি অপ্রয়োজনেই কোনো গায়রে মাহরাম এর দিকে তাকিয়ে থাকে, যেমন কোনো লেকচার শোনার সময় কিংবা কোনো গায়রে মাহরাম এর শিক্ষণীয় কোনো ভিডিও দেখার সময় এবং মেয়েটার মনে যদি কোনো খারাপ চিন্তা না আসে একদম স্বাভাবিক লাগে, তাহলে কি মেয়েটার গুনাহ হবে?

২. কোনো মেয়ে পরপুরুষের দিকে তাকানো থেকে দৃষ্টির হেফাজত করার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে রাস্তায় অনেকটা সহজেই দৃষ্টির হেফাজত করা যায় চোখ নামিয়ে রাখলে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যখন কোনো আলেমের লেকচার শুনতে যায় বা কোনো পুরুষের ক্লাস, কুরআন শিক্ষা, আরবি শিক্ষা ইত্যাদি ভিডিও দেখতে যায়, তখন মাঝে মাঝেই চোখ পড়ে যায় তাদের দিকে। ইউটিউব ভিডিওগুলোর থাম্বলাইনেই তো তাদের ছবি দেয়া থাকে, তখন তো চোখ পড়েই। এক্ষেত্রে মাঝে মাঝে চোখ পড়ে যাওয়ার কারণে মেয়েটার কি দৃষ্টির খিয়ানতের গুনাহ হবে? যদি কোনো খারাপ চিন্তা না আসে, তবুও?

৩. নতুন দ্বীনে ফেরা বোন, যে মনের যিনা সম্পর্কে অবগত, অর্থাৎ কোনো গায়রে মাহরামকে মনে মনে চাওয়া এটাকে মনের যিনা মনে করে আর তাকদীরের প্রতি এই বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহ তার জন্য যাকে ঠিক করে রেখেছেন, তিনিই আসবেন। তো এমন বোনের মাঝে মাঝে কোনো কোনো হুজুরের প্রতি ভালো লাগা কাজ করে। এই যেমন, তার ছোট ভাইয়ের হুজুর, যার সামনে মেয়েটা যায়ই না, তবুও তিনি একজন হাফেজ, ভালো মানুষ এসব ভেবে ভালো লাগে। তবে কোনো খারাপ চিন্তা না। আবার কোনো বক্তাকেও ভিডিওতে দেখলে বা কোনো বক্তার শিক্ষণীয় কোনো আচরণ দেখলে, শ্রদ্ধাবোধ ও ভালো লাগা কাজ করে, তাদের কাজ, চলাফেরা, কথাবার্তা ফলো করতে ইচ্ছে করে...
এই ভালো লাগা, কি মনের যিনা হিসেবে গণ্য হবে? বা ফিতনাহ হিসেবে? এতে কি মেয়েটার গুনাহ হবে?

জাযাকুমুল্লাহ খইর।

1 Answer

0 votes
by (718,520 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/586 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সহসাই আমাদের সামনে একটি প্রশ্ন আসে যে,
পুরুষ কর্তৃক নন মাহরামকে দেখা এবং নারী কর্তৃক নন মাহরাম কে দেখা কি সমান?

উত্তরে বলা হবে, না,সমান নয়।বরং উভয়ের বিধি-বিধানের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
পুরুষের জন্য নন মাহরাম মহিলার সবকিছুই পর্দার অন্তর্ভুক্ত। বিনা প্রয়োজনে কোনো পুরুষ নন মাহরাম কোনো মহিলার চেহরার দিকে থাকাতে পারবে না। এমনকি নন মাহরাম কোনো মহিলার আওয়াজও শুনতে পারবে না। কিন্তু ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে মহিলার জন্য নন মাহরাম পুরুষের নাভী থেকে নিয়ে হাটু পর্যন্ত ব্যতীত শরীরের অন্যান্য অংশ দেখার অনুমোদন রয়েছে। তবে ফিতনার আশঙ্কা থাকলে মহিলা তার চক্ষুকে অবশ্যই নিচু করে রাখবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ হযরত আয়েশা রাযি কে হাবলী গোলামদের খেলাধুলা দেখার সুযোগ দিয়েছিলেন।

যেমন বর্ণিত রয়েছে,হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ الحَبَشُ يَلْعَبُونَ بِحِرَابِهِمْ، فَسَتَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَنْظُرُ، فَمَا زِلْتُ أَنْظُرُ حَتَّى كُنْتُ أَنَا أَنْصَرِفُ»، فَاقْدُرُوا قَدْرَ الجَارِيَةِ الحَدِيثَةِ السِّنِّ، تَسْمَع ُاللَّهْوَ
একদিন হাবশীরা তাদের বর্শা নিয়ে খেলা করছিল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিয়ে পর্দা করে তার পেছনে দাঁড় করিয়ে ছিলেন এবং আমি সেই খেলা দেখছিলাম। যতক্ষণ আমার ভাল লাগছিল ততক্ষণ আমি দেখছিলাম। এরপর আমি স্বেচ্ছায় সে স্থান ত্যাগ করলাম। সুতরাং তোমরা অনুমান করতে পার কোন বয়সের মেয়েরা আমোদ-প্রমোদ পছন্দ করে।(সহীহ-বুখারী--শামেলা নুসখা-৫১৯০,আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮০৮,ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১১)(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
ফিতনার আশংকা না থাকলে,নিয়তে কোনো কিছু না থাকলে নারীদের জন্য পুরুষের চেহারা দেখার রুখসত রয়েছে।হ্যা, না দেখাই উত্তম ও তাকওয়ার দাবী।

(২)
না দেখাই উত্তম ও তাকওয়ার দাবী।

(৩)
কারো ভালো গুণাগুণ জন্য মনের মধ্যে তার মহব্বত হয়ে যেতে পারে। এটা মনের যিনা হবে না।তবে গভীরভাবে এ বিষয় নিয়ে চিন্তা করা যাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (718,520 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 119 views
...