আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামুআলাইকুম। আমি একজনের সাথে সম্পর্কে ছিলাম। হারাম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু এক সময় আমি জানতে পারি যে সে বিবাহিত। সে তার স্ত্রীর কথা আমার থেকে লুকিয়ে সম্পর্ক গরে।

পরে সে সবকিছু সিকার করে এবং বলে যে তার স্ত্রীর মানুসিক সমস্যা। পরিবারের সবার সাথে সম্পর্ক খারাপ।বাচ্চা হওয়ার সম্ভবনা নেই।

এখন তাকে বিয়ে করা কতটা যুক্তিজুক্ত হবে?

বা আমরা দুজন গুনাহগার হব কিনা?

খুব পেরেসানিতে আসি।

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 
জবাব,
শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে,তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ করতে পারবে। এক্ষেত্রে ১ম স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন নেই।   
আল্লাহ তায়ালা বলেন
فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع 
তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩)
এক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা প্রথম স্ত্রী থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে শর্ত দেননি।
বরং শর্ত দিয়েছেন যে যদি সকলের মাঝে ইনছাফ করতে পারো।  
তবে একাধিক বিবাহ করতে চাইলে বাংলাদেশী আইনে স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে। না নিলে প্রথম স্ত্রী মামলা করলে জেল হয়ে যাবে। 
ইসলামী আইনে প্রথম স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না। তবে, বিয়ের সময় এমন শর্ত থাকলে অনুমতির প্রয়োজন পড়ে। দ্বিতীয় বিয়ে করার ইসলামী শর্ত বেশ কঠিন অনেক কড়া। 
আগের স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।
قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
 আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক। 

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। (সহীহ : তিরমিযী ১১৪১, আবূ দাঊদ ২১৩৩, ইবনু মাজাহ ১৯৬৯, নাসায়ী ৩৯৪২, আহমাদ ৭৯৩৬, সহীহ আল জামি‘ ৭৬১, সহীহ আত্ তারগীব ১৯৪৯।)
وقال فی الدر ( مع الرد، کتاب النکاح، باب القسم ۴: ۳۷۹،۳۸۰، ط: مکتبة زکریا دیوبند): (یجب) وظاھر الآیة أنہ فرض، نھر (أن یعدل) أي: أن لا یجور (فیہ) أي: فی القسم بالتسویة فی البیتوتة (وفی الملبوس والمأکول) والصحبة الخ، وفي ص ۳۸۴منہ:(والبکر والثیب والجدیدة والقدیمة والمسلمة والکتابیة سواء) لإطلاق الآیة اھ
যার সারমর্ম হলো ইনছাফ করতে না পেলে একাধিক বিবাহ জায়েজ নেই।  
আরো বিস্তারিত জানতে ভাই ভিজিট করুনঃ https://ifatwa.info/6683/
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি বোন!
যদি সেই ভাই আপনার ও তার প্রথম স্ত্রীর মাঝে ইনসাফ কায়েম করতে পারে তাহলে আপনি তাকে বিয়ে করতে পারেন। তবে আমরা আপনাকে পরামর্শ দিব যে, আবেগের বশবর্তীতে এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা আপনার জন্য মোটেও উচিত হবে না। বরং আপনার জন্য করণীয় হলো, আপনি আপনার অবিভাবক ও পরিবারকে জানাবেন এবং তাদের সকলের সম্মতিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। অন্যথায় পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...