আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
১.কোনো প্রতিবেশী যদি এমন হয় যে তার অমানবিক আচরণে বাকিরা ক্ষুব্ধ, কিন্তু এদিকে সে ঠিকই নামাজ পরে, রোজা রাখে, নফল আমল করে, ইতিকাফে বসে, প্রতিবেশীর বাড়িতে খাবার পাঠায়। অন্য প্রতিবেশীর সাথে সামনে দিয়ে ভালো আচরণ করে কিন্তু পিছে ক্ষতি করতেই থাকে, নিজের সুবিধার জন্য, ( এমন সুবিধা যেটা ছাড়া অনায়াসে চলা যায়) সেটা আবার স্বীকারও করে না/ অন্যদের বুঝতে দেয় না। এমন মানুষের অনুপস্থিতিতে তার নামে মনের কষ্ট থেকে কিছু বললে সেটা গিবত হবে/ গুনাহ হবে? সবাই মিলে যদি আলোচনা হয় যে কিভাবে এমন মানুষ কে শায়েস্তা করা যায়, পরিত্রাণ পাওয়া যায় ইত্যাদি এসব আলাপ করলে/ পিছনে তাকে গালমন্দ করলে সেটা কি গীবত হবে?
এমন মানুষ যার ভন্ডামিতে বাকিরা অতিষ্ঠ? সামনা সামনি সমাধানের চেষ্টা করলেও ওই ব্যক্তি দ্বিমুখী স্বভাব দেখায়।

গুনাহ যদি হয় তো কি করা উচিৎ তবে এর সমাধানে?

২. সূরা মূলক মাগরিবের নামাজের পরই পড়ে ফেললে এশার নামাজের পর না পড়ে আমল টি কি শুদ্ধ হবে? সম্পূর্ণ ফযীলত পাওয়া যাবে?

৩. খুব ক্ষোভে মনে মনে গালি চলে আসলে এমন কারো প্রতি যেখানে কুফরী হয়ে যাবে এতে কি ঈমান ভেঙে যাবে?

৪. নামাজে দাড়ালে পেটের সমস্যা থেকে নামাজ পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি, শিফার জন্য কোনো আমল থাকলেও সেটা নিয়মিত করতে পারি না। কি করবো?

৫. সিজদায়ে নাক মাটিতে না লাগলে কি সিজদা হবে না?

৬. আল্লাহর প্রতি ভয় ভালোবাসা তাওয়াক্কুল কিছুতেই বাড়ছে না। ২-১ দিন ভালো মত চললে পড়ে সব ছেড়ে দেই এমন অবস্থা। কি করনীও

1 Answer

0 votes
by (719,360 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك.
(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما.
(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, উক্ত ব্যক্তির জুলুম নির্যাতন থেকে বাঁচতে উক্ত ব্যক্তির কর্মপদ্ধতি ও অপতৎপরতা সম্পর্কে আলোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।

(২)
জ্বী, সওয়াব পাওয়া যাবে।তবে এশার পর ঘুমানোর পূর্বেই পড়া উত্তম।

(৩)
না, ঈমান ভঙ্গ হবে না।তবে গোনাহ হবে।

(৪)
বসে বসে নামায পড়বেন।
(৫)
সিজদা হবে, তবে মুস্তাহাব ত্বরিকায় হবে না।
(৬)
নেককারদের সংস্পর্শ গ্রহণ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (719,360 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...