আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (17 points)
পৃথিবীতে অনেক বিচ্ছিন্ন জনপদ রয়েছে যেখানে সভ্যতা সেভাবে পৌছায়নি কিংবা পৌছালেও তাদের জনবিচ্ছিন্ন জীবন এখনো চলমান। এধরনের জনপদের মানুষের কাছে দাওয়াত না পৌছালে তারা যদি অমুসলিম হিসেবেই মৃত্যুবরন করে তবে কি সে জাহান্নামী হবে?

আবার একই কথা প্রযোজ্য অমুসলিম পিতামাতার অমুসলিম সন্তানের ক্ষেত্রেও। একইভাবে কোনো অমুসলিম ব্যাক্তির কাছে যদি কখনই ইসলামের দাওয়াত না পৌছায় এবং এমতাবস্থায় যদি তার মৃত্যু হয় তবে কি উল্লেখ্য ব্যাক্তিও জাহান্নামী হবে?

উপরে উল্লেখিত ব্যাক্তিদের কেউ তো জানলই না ধর্ম কি?, ইসলাম কি? সেক্ষেত্রে সে ইসলাম গ্রহন করতে পারেনি এই দায় কি তার?

1 Answer

0 votes
by (720,760 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4239নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যে ব্যক্তি ইসলাম সম্পর্কে কখনো শুনেনি রাসূল সম্পর্কে জানেনি।এবং তার নিকট বিশুদ্ধ ভাবে হেদায়তের বাণী পৌছায়নি,আল্লাহ তা'আলা তাকে কুফরির উপর মূত্যুর কারণে কি শাস্তি দিবেন?
এমন প্রশ্নের দু-রকম জবাব আমরা পাই।
(১)সে যদি চন্দ্র সূর্য দেখে এক আল্লাহকে মেনে নেয়,স্বীকার করে নেয়, তাহলে তাকে আর আযাব দেয়া হবে না।নতুবা আযাব দেয়া হবে।
(২)তাকে আযাব দেয়া হবে না।তাহলে কি করা হবে?উত্তরে বলা যায়,আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাকে পরীক্ষা করবেন।যদি সে আল্লাহর বশ্যতা স্বীকার করে, তাহলে সে জান্নাতে যাবে।আর যদি সে আল্লাহ নাফরমানি করে,তাহলে সে জাহান্নামে যাবে।নিম্নোক্ত হাদীস এর প্রমাণ-
عن الْأَسْوَدِ بْنِ سَرِيعٍ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَرْبَعَةٌ [يحتجون] يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ أَصَمُّ لا يَسْمَعُ شَيْئًا وَرَجُلٌ أَحْمَقُ وَرَجُلٌ هَرَمٌ وَرَجُلٌ مَاتَ فِي فَتْرَةٍ فَأَمَّا الأَصَمُّ فَيَقُولُ رَبِّ لَقَدْ جَاءَ الإِسْلَامُ وَمَا أَسْمَعُ شَيْئًا وَأَمَّا الأَحْمَقُ فَيَقُولُ رَبِّ لَقَدْ جَاءَ الإِسْلَامُ وَالصِّبْيَانُ يَحْذِفُونِي بِالْبَعْرِ وَأَمَّا الْهَرَمُ فَيَقُولُ رَبِّي لَقَدْ جَاءَ الإِسْلامُ وَمَا أَعْقِلُ شَيْئًا وَأَمَّا الَّذِي مَاتَ فِي الْفَتْرَةِ فَيَقُولُ رَبِّ مَا أَتَانِي لَكَ رَسُولٌ فَيَأْخُذُ مَوَاثِيقَهُمْ لَيُطِيعُنَّهُ فَيُرْسِلُ إِلَيْهِمْ أَنْ ادْخُلُوا النَّارَ قَالَ فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ دَخَلُوهَا لَكَانَتْ عَلَيْهِمْ بَرْدًا وَسَلامًاوفي رواية : فَمَنْ دَخَلَهَا كَانَتْ عَلَيْهِ بَرْدًا وَسَلامًا وَمَنْ لَمْ يَدْخُلْهَا يُسْحَبُ إِلَيْهَا الحديث رواه الإمام أحمد وابن حبان
ভাবার্থঃ পৃথিবীল আহমক,বধির তথা এমন কিছু লোক কে কিয়ামতের দিন, আল্লাহ আগুনে প্রবেশ করার হুকুম দিবেন। তারা যদি তাতে প্রবেশ করে নেয়,তাহলে সেই আগুন তাদের জন্য জান্নাত হয়ে যাবে। আর হুকুম না মানলে জান্নাতে আগুনেই নিক্ষিপ্ত হবে।(মসনদে আহমদ-১৬৩৪৪,সহীহুল জা'মে-৮৮১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দেখেন উক্ত হাদীসে রাসূল সাঃ বলছেন যে, আল্লাহ তা’আলা আহমক বধির এবং বোবা সবাইকে পরীক্ষা করে তার পর পাশ হলে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। পরকালে পরীক্ষা এজন্য কেননা দুনিয়াতে তারা পরীক্ষা দিতে সক্ষম হয়নি। 

সুতরাং উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে, যার নিকট বিশুদ্ধ ত্বরিকায় দ্বীন-ইসলামের দাওয়াত পৌছবে, তার বিরুদ্ধে কিয়ামতের দিন প্রমাণ পাওয়া যাবে, যার দরুণ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। আর যার নিকট দাওয়াত পৌছবে না, বা বিশুদ্ধ ত্বরিকায় পৌছবে না,তার বিষয় আল্লাহর কাছে। আল্লাহ উনি উনার সৃষ্টি সম্পর্কে ভালই জানেন। তবে আল্লাহ কারো উপর জুলুম করবেন না। আল্লাহ সবকিছু দেখছেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4239

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কাফিরদের নাবলক সন্তান যারা নাবালক অবস্থায় মারা যাবে, তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে না।বরং হয়তো জান্নাতিদের খাদেম হিসেবে জান্নাতে দেয়া হবে, বা জান্নাত জাহান্নামের মধ্যবর্তী স্থান আ'রাফে তাদেরকে রাখা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...