ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1928 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে
وَفِي الْغِيَاثِيَّةِ وَأَدَاؤُهَا لَيْسَ عَلَى الْفَوْرِ حَتَّى لَوْ أَدَّاهَا فِي أَيِّ وَقْتٍ كَانَ، يَكُونُ مُؤَدِّيًا لَا قَاضِيًا، كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة هَذَا فِي غَيْرِ الصَّلَاتِيَّةِ أَمَّا الصَّلَاتِيَّةُ إذَا أَخَّرَهَا حَتَّى طَالَتْ الْقِرَاءَةُ تَصِيرُ قَضَاءً وَيَأْثَمُ، هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
তরজমাঃ- গিয়াছিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত আছে,তেলাওয়াতে সেজদা যেকোনো সময় আদায় করলে আদায়-ই হবে ক্বাযা হবে না।তাতাখানিয়ায় বর্ণিত আছে ইহা নামাজের বাইরে এবং নামাজের ভিতরের হুকুম হচ্ছে যদি আয়াতে সেজদার পর ক্বেরাতকে বেশী লম্বা করা হয় তাহলে ক্বাযা হবে এবং গোনাহ হবে।(১/১৩৫)(শেষ)
https://www.ifatwa.info/4751 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তিলাওয়াতে সিজদা আদায়ের পদ্ধতি হচ্ছে,
اتفق الفقهاء على أن سجود التلاوة يحصل بسجدة واحدة، وذهب جمهورهم إلى أن السجدة للتلاوة تكون بين تكبيرتين، وأنه يشترط فيها ويستحب لها ما يشترط ويستحب لسجدة الصلاة
ফুকাহায়ে কেরাম একমত যে,সিজদায়ে তিলাওয়াত এক সিজদা দ্বারা আদায় হয়ে যায়।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,সিজদায়ে তিলাওয়াত দুই তাকবীরের মধ্যবর্তীতে আদায় হবে।সিজদায়ে তেলাওয়াতের জন্য ঐসবই শর্ত ও মুস্তাহাব যা নামাযের জন্য শর্ত ও মুস্তাহাব।(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৪/২২১)
দাড়ানো বা বসা যে কোনো অবস্থা থেকে তিলাওয়াতে সিজদা আদায় করা যাবে।তবে মুস্তাহাব হল,দাড়ানো অবস্থায় হাত না তুলে তাকবীর বলে সিজদায় চলে যাওয়া এবং আবার তাকবীর বলে সিজদা থেকে মাথা উত্তোলন করা। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি অানুমানিক হিসেব করে এখনই ঐ সমস্ত বকেয়া তিলাওয়াতে সিজদাগুলি আদায় করে নিবেন।