আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in পবিত্রতা (Purity) by (23 points)
১. পায়খানার পর পানি ব্যবহারের সময় পানির কিছু অংশ তো শরীরের সাথে লেগে যায়, শরীরের সাথে লেগে যাওয়া পানি কি নাপাক বলে গণ্য হবে? সেই পানি পড়নের কাপড় দ্বারা মুছে নিলে কি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে?


২. গোসলের পূর্বে ওযু না করে গোসল করলে কি পরে আবার ওযু করা লাগবে নামাযের জন্য? এই প্রশ্নের উত্তর কি মুস্তাহাব এবং ফরয উভয় প্রকার গোসলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য?


গোসলের পূর্বে ওযু করে করে দুই পা ধোয়া বাকি রেখে গোসল শেষে যদি দুই পা না ধোয়া হয় তাহলে কি নামায পড়ার জন্য আবার ওযু করতে হবে?


গোসলকৃত পানি অন্য একটা বালতির মধ্যে পড়লে সেই বালতির পানি দিয়ে কি ওযু করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (680,160 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
শরীরের সাথে লেগে যাওয়া পানিতে,বা কাপড়ে লেগে যাওয়া পানিতে বাহ্যিক নাপাকি দেখা না গেলে শরীর/ কাপড় নাপাক হবে না। 

এক বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম যুহরী রহ.কে জনৈক ব্যক্তির (গোসলের হুকুম) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যার গোসল করার সময় গা বেয়ে পানির ছিটা পাত্রে পড়েছিল। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, এতে ক্ষতির কিছু নেই। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১/৯২)

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো গোসলের মধ্যে যেহেতু অযুর যাবতীয় ফরজ আদায় হয়ে যায় তাই গোসলের পর পুনরায় অযু করতে হবেনা।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা গোসলের পূর্বে ওযু না করে গোসল করলে পরে নামাযের জন্য পরে আর অযু করতে হবেনা।
গোসলই যথেষ্ট। 

এই প্রশ্নের উত্তর মুস্তাহাব এবং ফরয উভয় প্রকার গোসলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَتَوَضَّأُ بَعْدَ الْغُسْلِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
 قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ أَنْ لاَ يَتَوَضَّأَ بَعْدَ الْغُسْلِ .

 'আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করার পর ওযু করতেন না। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৫৭৯)।

আবু ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবা এবং তাবিঈদের এটাই মত যে, গোসলের পর ওযু করার দরকার নেই।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ وَيُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ وَصَلَاةَ الْغَدَاةِ وَلَا أُرَاهُ يُحْدِثُ وُضُوءًا بَعْدَ الْغُسْلِ . - صحيح 

 ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করার পর ফজরের সলাত আদায় করতেন। আমি তাঁকে গোসলের পর পুনরায় অযু করতে দেখিনি।

তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোসলের পর উযু করা, হাঃ ১০৭, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোসলের পর উযু না করা, হাঃ ২৫২), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোসলের পর উযু করা, হাঃ ৫৭৯), আহমাদ (৬/৬৮, ১১৯, ১৫৪, ১৯২, ২৫৩, ২৫৮) সকলেই আবূ ইসহাক সূত্রে। 

আরো জানুনঃ 

★গোসলের পূর্বে ওযু করে করে দুই পা ধোয়া বাকি রেখে গোসল শেষে যদি দুই পা না ধোয়া হয় তাহলে  নামায পড়ার জন্য আবার ওযু করতে হবেনা।
কেননা গোসলের মধ্যে অবশ্যই সেই দুই পা ধোয়া হয়ে যায়।
,
হ্যাঁ যদি কেহ বদ্ধ অল্প পানিতে পা রেখে গোসল করে,এতে যেহেতু গোসলের নাপাক পানি তার পায়ের কাছে বদ্ধ হয়ে আছে,তাই এতে গোসলের শেষে পা না ধুলে পা নাপাকই থেকে যায়।
সুতরাং সেক্ষেত্রে গোসল শেষে পা ধোয়া আবশ্যক। 
নতুবা পা নাপাক থেকে যাবে।    

★গোসলকৃত পানি অন্য একটা বালতির মধ্যে পড়লে দেখতে হবে যে গোসলকৃত পানি যতটুকু বালতির মধ্যে পড়েছে,সেটিই বেশি?
নাকি বালতিতে আগেই যেই পানি ছিলো,সেটিই বেশি?

গোসলকৃত পানি যতটুকু বালতির মধ্যে পড়েছে,সেটিই বেশি হয় তাহলে সেই পানি দিয়ে অযু করা যাবেনা।
আর যদি বালতিতে আগেই যেই পানি ছিলো,সেটিই বেশি হয়,তাহলে সেই বালতির পানি দিয়ে অযু করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...