আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (66 points)

আমি কোথায় যেন লেখা দেখছিলাম / শুনেছিলাম, যে

১। নবি (সঃ) হাঁটে না পৌছে পথের মধ্যে (ছাগলের) ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
২। নবি (সঃ) নাবালকের সাথে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।

এখন আমার প্রশ্ন হলোঃ
প্রশ্ন-১ঃ হাঁটে যাওয়ার আগে পথের মধ্যে কিছু বিক্রয় করলে কি সেই টাকা হারাম হয়ে যাবে?
বা হাঁটে যাওয়ার আগে পথের মধ্যে কিছু ক্রয় করলে কি সেই জিনসটা হারাম হয়ে যাবে?

প্রশ্ন-২ঃ একটা ছোট শিশু ডিম বিক্রি করতে বসে আছে, ডিম বিক্রি করে সে তার মাকে ওষুধ কিনে দিবে। তারা নাস্থা
করবে ।
এখন তার কাছ থেকে কি ডিম কেনা যাবে না?
ডিম কিনলে কি সেই ডিম হারাম হয়ে যাবে?
বা তার কাছে ওষুধ বিক্রি করলে কি সেই টাকা হারাম হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (681,160 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ : أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ قَالَ : لَا تَلَقَّوُا الرُّكْبَانَ لِبَيْعٍ وَلَا يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلٰى بَيْعِ بَعْضٍ وَلَا تَنَاجَشُوْا وَلَا يَبِعْ حَاضِرٌ لِبَادٍ وَلَا تُصَرُّوا الْإِبِلَ وَالْغَنَمَ فَمِنِ ابْتَاعَهَا بَعْدَ ذٰلِكَ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظِرَيْنِ بَعْدَ أَنْ يَحْلِبَهَا : إِنْ رَضِيَهَا أَمْسَكَهَا وَإِنْ سَخِطَهَا رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ.مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ وَفِىْ رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ : «مَنِ اشْتَرٰى شَاةً مُصَرَّاةً فَهُوَ بِالْخِيَارِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ : فَإِنْ رَدَّهَا رَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ طَعَامٍ لَا سَمْرَاءَ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ [১] যারা বাজারে বিক্রি করার জন্য বাহির হতে খাদ্য-দ্রব্য নিয়ে আসে, তাদের খাদ্য-দ্রব্য ক্রয়ের জন্য বাজারে পৌছার আগেই এগিয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে মিলিত হবে না। [২] আর ক্রয়-বিক্রয়ের কথা চলার সময় একজনের সাথে অন্য কেউ এ বিষয়ে কথা বলবে না। [৩] ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়ে দালালী করবে না। [৪] গ্রামের লোকের পণ্য-সামগ্রী শহরের লোকজন বিক্রি করে দেবার জন্য চাপ প্রয়োগ করবে না। [৫] উট, ছাগলের (বিক্রয় করার আগে তার) স্তনে দু’ তিন দিনের দুধ জমা রেখে স্তনকে ফুলিয়ে রাখবে না। যদি কেউ এরূপ করে তখন ক্রয়কারীর জন্য দুধ দোহনের পর সুযোগ থাকবে, ইচ্ছা করলে সে ক্রয়-বিক্রয় ঠিক রাখবে, আর ইচ্ছা করলে ক্রয়-বিক্রয় ভঙ্গ করে তা ফেরত দিবে। তবে যদি ভঙ্গ করে (দুধ পানের জন্য) তাকে এক সা‘ খুরমা সাথে দিয়ে দিবে।
(সহীহ : বুখারী ২১৫০, মুসলিম ১৪১২, ১৫২৪, নাসায়ী ৪৪৯৬, আবূ দাঊদ ৩৪৪৩, আহমাদ ১০০০৪, সহীহ আল জামি‘ ৭৪৪৯।)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
উক্ত হাদীসে উল্লেখ রয়েছে যে,
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,  যারা বাজারে বিক্রি করার জন্য বাহির হতে খাদ্য-দ্রব্য নিয়ে আসে, তাদের খাদ্য-দ্রব্য ক্রয়ের জন্য বাজারে পৌছার আগেই এগিয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে মিলিত হবে না। 

কেননা এতে তাদের থেকে ধোকা দিয়ে কম টাকায় পণ্য ক্রয় করে ২য় ব্যাক্তি সেটি বাজারে এনে বেশি দামে বিক্রয় করতে পারে।
এখানে ২য় ব্যাক্তি মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারে।
এতে ১ম ব্যাক্তির লোকসান হবে।
বেশি লাভ থেকে বঞ্চিত হবে।
,
আবার ১ম ব্যাক্তি উক্ত পন্য বাজারে বিক্রয় করলে হয়তোবা জনগনের সুবিধা হতো,জনগন কিছুটা কম মুল্যে পন্য পেতো।
কিন্তু রাস্তায় সেই পন্য ক্রয় করে এনে সেটি সিন্ডিকেট করে বা অন্য যেকোনোভাবে সেটির দাম বাড়িয়ে দিলে জনগনের লোকসান হবে।
তাই সব দিক লক্ষ্য করে রাসুলুল্লাহ সাঃ নিষেধ করেছেন।
,   
,
কিন্তু ১ম ব্যাক্তি যদি নিজ ইচ্ছায় সেই পন্য রাস্তায় বিক্রয় করে,তাহলে সেটি ক্রয় করাতে  কোনো সমস্যা নেই।
 
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা 
হাঁটে যাওয়ার আগে পথের মধ্যে কিছু বিক্রয় করল সেই টাকা হারাম হয়ে যাবেনা।
হাঁটে যাওয়ার আগে পথের মধ্যে কিছু ক্রয় করলে  সেই জিনিসটা হারাম হয়ে যাবেনা।

(০২)
যে সমস্ত বাচ্চারা ভালো মন্দের পার্থক্য করতে পারে,তাদের বাবার অনুমতিক্রমে তাদের ক্রয় বিক্রয় জায়েজ আছে।
অনুমতি স্পষ্ট হতে পারে,দালালাতান (ঈঙ্গিত সূচক) হতে পারে।
যেমন তার ক্রয় বিক্রয়ের উপর পিতার চুপ থাকা,নিষেধ না করা,এগুলোও অনুমতি প্রদানের অন্তর্ভুক্ত। 
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানীয়াহ ৬/৩)

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত শিশু যদি ভালো মন্দের পার্থক্য করতে পারে,১০ টাকা ২০ টাকার পার্থক্য বুঝে,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার কাছ থেকে ডিম ক্রয় করা যাবে।
এক্ষেত্রে ডিম হারাম হবেনা।
তার কাছে ঔষধ বিক্রি করলে  সেই টাকা হালালই থাকবে।
হারাম হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...