আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম, 

মুহতারাম!
আমি এই সাইটের একজন নিয়মিত দর্শক। আজকে একটি ফতওয়া দেখলাম যে, বলা হয়েছে বাংলাদেশ দারুন হারাব[কুফর] নয় এবং দারুল ইসলাম ও নয় বরং তা দারুল আমান 
দলিল হিসেবে তিনটি ভূখন্ডের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, 
১। মক্কা [বিজয়ের পূর্বে] দারুল হারাব 
২। মাদীনাতুল মুনাওয়্যারা দারুল ইসলাম 
৩। আবিসিনিয়া দারুল আমান।

এই ফতওয়া সাইটে ‘দার সংক্রান্ত তিনটি ফতওয়া আমি পড়েছিলা’
বাংলাদেশ কী দারুল হারাব নাকি দারুল ইসলাম 1817
দারুল আমান দারুল ইসলাম দারুল হারাব 4339 আর  10105

কিন্তু কথা হলো- 
দারুল আমান কি আলাদা কোন দারের নাম?
নাকি দারুল কুফুরের একটি সাময়িক অবস্থা?
কারণ মক্কা নগরীকে [ফাতহে মক্কার আগে] যেই কুফর ও শিরকের কারণে দারুল কুফর/হারাব বলা হচ্ছে সেই একই কারণেই কী আবিসিনিয়া দারুল কুফর হয়না?
উলামায়ে মুতাকাদ্দীমিনদের থেকে ‘দারুল আমান’ নামক কোন পরিভাষা কী প্রচলন ছিলো?

যেই রাষ্ট্রে সম্পূর্ণ কুফরি শাসনব্যবস্থা বাস্তবায়িত সেই দেশ দারুল কুফর কেন হবেনা?
আর বাংলাদেশের মুসলিমরাই বা কীভাবে নিরাপদ?  হিন্দুত্ববাদি আগ্রাসন, উলমায়ে হজরতদের টুটি চেপে ধরা এবং উলমামায়ে কেরাম ও হকপন্থিদের গুম, খুন ও হয়রানি সহ সকল প্রকারের হেনস্তা করা হচ্ছে এরপরও আমরা কী ধরণের নিরাপদে আছি?

আমরা দেখছি- ইসলামের যেই যেই আমল তাদের শাসনব্যবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক নয় তারা শুধুমাত্র সেই সেই আমলের ক্ষেত্রেই নমনীয় কিন্তু যদি কোন আমল তাদের শাসনব্যবস্থার বিপক্ষে যায় তাহলে তারা কতটা হিংস্র হতে পারে,  ভাস্কর্য ইস্যুতেই তা স্পষ্ট হয়েছে।  এরপরও আমরা নিরাপদ এই কথাটির ব্যখ্যা কী? 

মুহতারাম!
আমি ব্যথিত, দুঃখিত! আমাকে ক্ষমা করবেন।
উপরের বিষয়গুলোর শরঈ জওয়াব দিয়ে উপকৃত করবেন ইন-শাআল্লাহ।

হাফেজ জায়েদ মানসুর
খুলনা

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বাংলাদেশ দারুল ইসলাম নয়, তার কারণ এখানে শরয়ী বিধি-বিধান বাস্তবায়িত হয় না। দারুল কুফর বা হারব নয়,তার কারণ এখানে আযান,নামায,সহ ইবাদত পালনকে অস্বীকার করা, মুসলমানদের ইবাদত পালনে কোনো প্রকার বাধা প্রদাণ করা হয় না।এজন্য বাংলাদেশকে দারুল হারব বা দারুল কুফর বলা যাবে না।

বরং যেহেতু এখানে মুসলমানরা স্বাধীন,তাদের ধর্ম পালকে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া হচ্ছে না, যেভাবে আবিসিনিয়ায়, মুসলমানদের ধর্ম পালনে কোনো প্রকার বাধা দেয়া হয়নি, এখানে তেমন কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না, তাই বাংলাদেশকে দারুল আমান বলা যাবে।

'দারুল আমান' দারুল কুফরেরই একটি শাখা বা প্রকার। যেখানে মুসলমানরা নিরাপদ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে।তবে দারুল কুফরে মুসলমানরা প্রকাশ্যে তাদের দ্বীন প্রচার করতে পারেনা,তাদের দ্বীনকে পালন করতে পারে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...