আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আমি জেনারেল লাইনে পড়াশুনা করছি আলহামদুলিল্লাহ। এক্সামে দেখা যায় আমি যা পারছিনা তার সব-ই পাশের জন থেকে দেখে দেখে লিখছি। এতে কি আমার গুণাহ হবে? যদিও এইসব স্টাডি ইসলাম সমর্থন দেয় না।

২) যার কাছ থেকে দেখি সে ছেলে মানু্ষ। এখন কন্ঠের পর্দা করা মুশকিল।কারণ জিগ্যেস করতে,কোনো কিছু জানতে কথা বলতে হয়। এতে করে আমি কি গুণাহের ভাগিদার হচ্ছি?
৩) এখনো ক্লাসরুমে নিকাব খুলতে হয়নি। অনেক রুমে নিকাব চেক করছেন স্যারেরা।পুরুষ টিচার নিকাব চেক করলে কি করা উচিত হবে? কিভাবে বুঝাবো? আর চেহারা মিলাতে চাইলে এডমিট কার্ডের সাথে তখন যদি না মানে কি করা উচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (685,600 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
অন্যের খাতা দেখে পরীক্ষা দেওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। 
কারণ পরীক্ষা হল মেধা যাচাইয়ের স্থান। আর মেধা নির্ণিত হবে প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদাভাবে। 
,
সুতরাং যার যে মেধা সেটি সত্যিকার যাচাই হবে যদি তার নিজস্ব মুখস্ত ও যোগ্যতা থেকে উত্তর প্রদান করে। 
,
কিন্তু কারো কাছ থেকে  জিজ্ঞাসা করে লিখলে বা দেখে লিখলে সেক্ষেত্রে ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। কারণ সে যা জানে না। তাও সে জানে বলে প্রকাশ করছে।
,
ফলে পরীক্ষক খাতা দেখে ভাববে উক্ত ছাত্রটি আসলে মেধাবী। কিন্তু আসলেতো মেধাবী নয়।  এ ধোঁকাবাজীর কারণে উক্ত পদ্ধতিটি জায়েজ নয়।

আর অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়। তাই নিজে দেখে লেখা যেমন অপরাধ হবে। তেমনি অন্যকে দেখে লিখতে সুযোগ করে দিলেও গোনাহগার হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার গুনাহ হবে।

(০২)
হ্যাঁ উল্লেখিত ছুরতে আপনি গুনাহের ভাগীদার হচ্ছেন।

(০৩)
পুরুষ টিচার নিকাব চেক করলে আপনি স্পষ্ট জানিয়ে দিবেন যে ইসলাম নেকাব খোলা নিষেধ করেছে।
সুতরাং অনুগ্রহ করে আমাকে নেকাব খোলার উপর চাপ দিবেননা।

এডমিট কার্ডের সাথে চেহারা মিলানোর সময় তখন যদি না মানে,সেক্ষেত্রে আপনি সামান্য সময়ের জন্য নেকাব খুলতে পারেন।
তবে চেহারা মিলানোর পর পরই নেকাব পুনরায় আটকিয়ে নিবেন।
ইস্তেগফার পাঠ করবেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...