আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
জনাব,

অামার  পরিচিত একজন কলেজ পড়ুয়া ছোটো ভাই অাছে যিনি নিয়মিত নামাজ/কালাম অাদায় করেন.. কিন্তু কোনো বন্ধু/বান্ধব না থাকায় সব সময় বাসায় একা থাকেন. এতে করে তার খাই খাই স্বভাব তৈরি হয়. বাসায় বললেও কখনো কোনো হাত খরচ  দেয় না.। তাই সে মাঝেমধ্যে অাপুদের  না জানিয়ে ব্যাগ থেকে ৫০/১০০ টাকা নিয়ে খরচ করে.. কারণ জানালে বা বললেও কখনো টাকা দিতে রাজী হবে না..

এখন সে জানতে চাচ্ছে এই যে না জানিয়ে টাকা নিয়ে খরচ করছে.।। এই টাকা খাওয়া হারাম হচ্ছে কিনা.।

অার এটার জন্য তার সমস্ত  নামাজ/ইবাদত কি নষ্ট হয়ে  যাবে   বা কবুল হবে না  কিনা??

কারণ হারাম খেলে বলে ইবাদত কবুল হয় না... এরকমটাই জানে সে।
বর্তমানে সে অনেক ডিপ্রেশনে অাছে...৷ এই বিষয়টা অারো মানসিক পীড়া দিচ্ছে।
তাই  মাসয়ালার উত্তর দিয়ে উপকৃত করবেন।

1 Answer

0 votes
by (678,280 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যত টাকা সে এভাবে নিয়েছে,পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে।

(টাকার অংক স্পষ্ট মনে না থাকলে পাওনাদারদের সাথে কথা বলে প্রবল ধারনার এমাউন্ট নির্ধারন করে সেই পরিমাম টাকা ফেরত দিবে।) 
,
টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সামর্থ না রাখলে তাদের কাছে মাফ নিতে হবে,টাকা পরিশোধ করা না হলে বা তারা মন থেকে সন্তুষ্টি চিত্তে ক্ষমা করর না দিলে কিয়ামতের ময়দানে উল্লেখিত হাদীস অনুপাতে বিচার হবে। 

এটা চুরির টাকা,তাই সেগুলো ভক্ষন হারাম হবে।
তাই সে এসব টাকা ভক্ষন করে থাকলে তার দোয়া ইবাদত কবুল হবেনা।

তবে সে পরিশোধ করলে বা পাওনাদারদের থেকে সন্তুষ্টি চিত্তে ক্ষমা পেয়ে গেলে তার দোয়া ইবাদত কবুল হবে।
পূর্বের নামাজ ইবাদত পুনরায় আদায় করতে হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...