আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

১/দু'আ করার শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও নবি (স) এর উপর দরুদ দিয়ে শুরু করতে হয় জানি। আল্লাহর প্রশংসার ক্ষেত্রে ইসমে আজম পড়া তো হাদিস থেকে প্রমাণিত আমরা জানি। এছাড়া আয়াতুল কুরসি এবং সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করে নবি (স) এর উপর দরুদ পাঠ করে দু'আ শুরু করা যাবে কি? যেহেতু আয়াতুল কুরসি এবং সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতে আল্লাহর প্রশংসা রয়েছে বা দুআ শুরু করার সুন্নাহ পদ্ধতি জানতে চাচ্ছি।

 

২/আজকে বাহিরে গেলাম।একজন ভিক্ষুক রাস্তার অপর প্রান্তে বসে উচ্চ আওয়াজে আল্লাহর ওয়াস্তে ভিক্ষা চাচ্ছিল যা রাস্তার সব মানুষ ই শুনতে পাচ্ছিল।আমার জানা মোতাবেক কেউ আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু চাইলে তাকে দিতেই হয়। কিন্তু আমার কাছে কোনো টাকাই ছিল না,এখন কি আমি গুনাহগার হব?

 

 

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দু'আতে আল্লাহর প্রশংসা এবং দুরুদ উভয়টা থাকা মুস্তাহাব।
আল্লাহর প্রশংসা মূলক যেকোনো আয়াতকে এক্ষেত্রে পাঠ করা যেতে পারে।

(২)
https://www.ifatwa.info/3719 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হযরত ক্বাবিসাহ ইবনে মুখারিক্ব রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ
আমি একবার অন্যর ঋণের বোঝা/রক্তপণ নিজ দায়িত্বে নিয়ে আসি।অতঃপর অনুন্যপায় হয়ে নবীজী সাঃ এর কাছে যাই যাতে করে উনার কাছে এ সম্পর্কে সুওয়াল করি।
নবীজী সাঃ বলেনঃ তুমি দাড়াও যতক্ষণ না আমাদের কাছে সদকার (যাকাতের)কোনো মাল আসে,আসলে তোমার জন্য নির্দেশ দিয়ে দিবো।অতঃপর নবীজী সাঃ বললেনঃ হে ক্বাবিসাহ! সুওয়াল করা তিন প্রকার মানুষ ব্যতীত অন্য কারো জন্য বৈধ নয়।
১/
ঐ ব্যক্তির জন্য বৈধ যে, অন্যর ঋণের বোঝা/রক্তপণ নিজ দায়িত্বে নিয়ে এসেছে।যতক্ষণ না উক্ত প্রয়োজন শেষ হয়(ততক্ষণ বৈধ রয়েছে)।
২/
ঐ ব্যক্তির জন্য বৈধ যে,যাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে, অর্থাৎ তার সমস্ত সম্পত্তি ধংস হয়ে গেছে।যতক্ষণ না তার আবশ্যকীয় প্রয়োজনাদি পূর্ণ হয়।(ততক্ষণ বৈধ রয়েছে)
৩/
ঐ ব্যক্তির জন্য বৈধ যে, নিতান্ত-ই গরীব হয়ে গিয়েছে,এমনকি তার প্রতিবেশীদের মধ্যে তিনজন জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি দাড়িয়ে এ স্বাক্ষ্য প্রদান করতে সক্ষম যে অমুক গরীব হয়ে গিয়েছে।যতক্ষণ না সে তার আবশ্যকীয় প্রয়োজনাদি পূর্ণ করবে।(ততক্ষণ বৈধ রয়েছে)(সহীহ মুসলিম-১৮৩৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আল্লাহর ওয়াস্তে কোনো কিছু না চাওয়াই উচিৎ।তবে কেউ চেয়ে নিলে তাকে কিছু দিয়ে দেয়াই উচিৎ।না দিলে অবশ্য কোনো গোনাহ হবে না।সুতরাং আয়াতুল কুরসি বা সূরায়ে হাশরের শেষ তিন আয়াতকে দু'আর শুরুতে পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 94 views
...