আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (41 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।একটু পরামর্শ  দিয়েন হুজুর মারাত্বক টেনশনে আমি।আমি চাই স্বামীর সাথে ভালভাবে থাকতে।চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি।
১।শায়েখ,আমি মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।স্বামি আমাকে তালাকের অধিকার  দিয়েছে।এটা নিয়ে মারাত্বক টেনশনে আমি।আমি অধিকারটা দিয়ে দিতে চাই।যত চাই ভুলে যেতে পারি না।২৪ ঘণ্টা ওটা নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।নামাজ,খাওয়া দাওয়া এমনকি ঘুমাতে সহ পারি  না।না না করতে থাকি।বাসায় অনেকে খেয়াল করে এটা।সবাই বলে কি হয়েছে?হয় মুখে বলি নয়ত মাথা নাড়ি।মনে মনে তালাকের কথা চিন্তায় আসলেও মুখ দিয়ে উচ্চারণ করি না।শুধু না না বলি মুখ দিয়ে।না চাওয়া সত্বেও মুখ দিয়ে হ্যা বের হলে কি তালাক হবে? মুখ দিয়ে তালাকের কথা বের না হয়ে ওটা মনে আসলে হ্যা বের হলে তালাক হবে? মনে হচ্ছে হ্যা বলেছি। জানি না মুখ  দিয়ে বের হয়েছে কিনা।কিন্তুু সাথে সাথে আবার না না বলেছি।হুজুর অনিচ্ছা সত্বেও ওয়াাওয়াসার কারনে শুধু হ্যা বের হলে কি তালাক হবে? নিজেকে তালাকের কথা নয়।কথা মনে আসলে ওয়াসওয়াসার কারনে হ্যা বের হলে কি তালাক হবে? আমি চাই না তালাক দিতে কিন্তুু ২৪ ঘন্টা ওটা ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।আমি কিছুতেই চাই না নিজেকে তালাক দিতে।

২।স্বামি আর আমি দূরে থাকি।মাঝে মাঝে আসে  দেখা করে।আসবে বলে মাঝে মাঝে আসবে না বললে রাগ করে বলতাম আসিও না আর।আসতে হবে না।স্বামি যদি বলে ঠিক আছে যাব না বলে তাহলে কি তালাক হবে? আমার প্রচুর টেনশন হচ্ছে। সারাক্ষণ ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে মাথায়।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হ্যাঁ বলার দ্বারা কোনো তালাক হয়নি।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।

(০২)
এক্ষেত্রেও তালাক হবেনা।

তালাক সংক্রান্ত ওয়াসওয়াসা থেকে হেফাজতে থাকার জন্য পরামর্শ থাকবে,
আপনি এ সংক্রান্ত কোনো মাসয়ালা আর পড়বেননা।
এ সংক্রান্ত কোনো চিন্তা আসলেই অন্য দিকে মনযোগী হবেন,অন্য কাজে মগ্ন হবেন।
বিতারিত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...