আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর৷

১।কোন স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে সে কোন একদিন চলে যাবে তার থেকে দূরে। স্ত্রী অভিমান করে বলে কথাটা। তারপর স্বামী যদি বলে,,, কোন একদিন চলে যাবা? তাহলে অপেক্ষা কেন করবা এখনই চলে যাও।
এই ঘটনার অনেকদিন পর স্ত্রী যদি স্বামীকে জিজ্ঞেস করে যে তার কোন ধরনের  নিয়ত ছিল কথাটা বলার সময়?? স্বামী যদি বলে তুমি কেন বলেছিলে?? তোমার কোন নিয়ত ছিল?? স্ত্রী বলে আমার নিয়ত জরুরি না তোমারটাই আসল,,স্বামী বলে না তোমার নিয়ত ও আসল৷ স্বামী যদি প্রথমবার  বলার সময়  নিয়ত না থাকা সত্ত্বেও যদি স্ত্রী কে  বলে,,, তোমার যে নিয়ত ছিল আমারও সেটাই৷  এইটা বললে কি সমস্যা হয়ে যাবে যদি স্ত্রীর নিয়তে তা****  থেকে থাকে??

স্বামী এইটা বলার পর যদি সাথে সাথেই আবার বলে থাকে যে তার কোন নিয়ত ছিল না বলার সময়,,,তাহলেও সমস্যা হবে??
কারন স্ত্রী যখন কথাটা বলেছিল তখন হয়তো তার মনে ***** থেকে থাকতে পারে। এখন স্বামী এইভাবে কথা বলে থাকলে কি সমস্যা হবে যে তোমার যে নিয়ত ছিল আমারও সে নিয়ত ছিল?? স্বামীতো বলেনি তার তা-**** নিয়ত ছিল। সে হয়তো ভেবেছে বউয়ের মনেও এমন কিছু ছিল না।

দয়া করে বলেন এইভাবে কথা বলার ফলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

২। স্বামী যদি ১ নাম্বার প্রশ্নে করা কথার মাধ্যমে  বুঝিয়ে থাকে যে স্ত্রীর তা**** নিয়ত থাকলে তার ও ছিল,,তার নিয়ত না থাকলে সামীরও ছিল না। এই কথাটা কে সে মুখে প্রকাশ করে না বলে যদি শুধু বলে,,,,তোমার যে নিয়ত ছিল আমারও তাই ছিল। তাহলে সমস্যা হবে স্ত্রীর মনে তা**** নিয়ত থেকে থাকলে?? এইখানে স্বামির মাধ্যমে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? সে এরকম বলেনি স্পষ্ট করে যে তার তা*** নিয়ত ছিল।  তাহলে হুকুম কি??

৩। স্বামী একটা কথা একভাবে বলার পরে স্ত্রী যদি অন্য ভাবে উপস্থাপন করে প্রশ্ন করে,,, যেই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে তা****।  ভুল ভাবে বলার কারনে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?
স্বামী বলেছিল একভাবে  আর স্ত্রী যদি বলে অন্য ভাবে,,,তাহলে??

৪। হুজুর ১ নাম্বার প্রশ্নে যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে যে বিষয়টি বলা হয়েছে সেটা সন্দেহের বশে বলা হয়েছে। কারন স্বামী বলেছিল কিনা যে,,"""তোমার যে নিয়ত ছিল আমারও সেটা বলেছে কিনা শিউর না"" শুধু মনে আছে সে বলেছিল স্ত্রীকে যে তোমার নিয়ত কি ছিল?? ,, এই সব কথা,,তারপর  স্বামী বলেছিল তার কোন নিয়ত নাই। কিন্ত  এর মাঝে ১ নাম্বার প্রশ্নে উল্লিখিত কথাটা বলেছিল কিনা স্ত্রী মনে করতে পারছে না সন্দেহ হচ্ছে।।

এখন এইটা নিয়ে স্বামীকে প্রশ্ন করলে সে উলটা পালটা বলবে,,,, কারন সে অনেক ঘটনাই ভুলে যায়,, সে ওই কথা না বললেও স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে বলে ফেলতে পারে যে," হ্যাঁ এরকম বলেছিলাম মনে হয়,,তো কি হয়েছে??"  স্ত্রী ভয় পায় তাকে জিজ্ঞেস করলে যদি আবার এইভাবে উত্তর দেয় যেটার ফলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যায় যদি?? তাই সে প্রশ্ন করতে পারছে না। কারন সে জানে তার সামীর মনে থাকবে না স্পষ্ট।  তাহলে এখন করনীয় কি??

৫। হুজুর, কোন শর্তযুক্ত তা**** নিয়ত নিয়ে যদি কেউ মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়,,, অর্থাত যখন কেনায়া বাক্য বলেছিল তখন নিয়িত না থাকলেও অনেক পরে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয় নিয়তের বিষয়ে,, তাহলে এই মিথ্যা স্বীকারোক্তির ফলে সেই শর্ত কবে থেকে আরোপ হবে যেদিন মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়েছে সেদিন থেকে??? নাকি প্রথম যেদিন নিয়ত ছাড়া বলেছিল সেদিন থেকে,,,?? কারন নিয়ত ছাড়া বলার পর হয়তো স্ত্রী সেই কাজ অনেকবার করেছে কিন্তু,,, পরবর্তীতে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলে কি স্ত্রীর আগে করা কাজের জন্য সমস্যা হবে? নাকি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ার দিন থেকে শর্ত কার্যকর হবে?

1 Answer

0 votes
by (684,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক। 
তাই এই জাতীয় কোনো বাক্য বলা ঠিক নয়।
,  
হাদীস শরীফে  এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তালাক না দেওয়া সত্ত্বেও তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে,তাহলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে। 

ولو أقر بالطلاق وہو کاذب وقع في القضاء … إذا قال: أردت بہ الخبر عن الماضي کذبا، وإن لم یرد بہ الخبر عن الماضی، أو أراد بہ الکذب، أو الہزل وقع قضاء ودیانۃ۔ (البحر الرائق ۳؍ ۲۴۶ کراچی، سکب الأنہر علی ہامش مجمع الأنہر ۲؍۸ بیروت)
সারমর্মঃ
কেহ যদি তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে, আর সেই স্বীকারোক্তি যদি মিথ্যা হয়,তবুও তালাক পতিত হবে।   
    
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(১-৪)
""কোন স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে সে কোন একদিন চলে যাবে তার থেকে দূরে। স্ত্রী অভিমান করে বলে কথাটা। তারপর স্বামী যদি বলে,,, কোন একদিন চলে যাবা? তাহলে অপেক্ষা কেন করবা এখনই চলে যাও""

এক্ষেত্রে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকায় কোনো তালাক হবেনা।
স্ত্রী কর্তৃক তালাকের প্রশ্নবানে জর্জরিত হওয়ার ফলে স্বামী যদি বলে যে তোমার যাহা নিয়ত, আমারও তাহাই নিয়ত।
এক্ষেত্রেও তালাক হবেনা।
তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তিও হবেনা। 

(০৫)
যেদিন মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়েছে সেদিন থেকে সেই শর্ত আরোপ হবে।
এর আগে থেকে নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...