আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
138 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  আমি দুইদিন আগে আপনাকে কল করে ১ নাম্বার প্রশ্নটা করেছিলাম। আপনি বলেছিলেন কোন সমস্যা হবে না। দয়া করে লিখিত জবাব দিবেন তাহলে আমি শান্তি পাব আর যখনই ওয়াসওয়াসা আসবে  তখন আপনার উত্তর দেখে নিব। দয়া করে সাহায্য করবেন...আমি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম।

১। কোন স্বামী তার স্ত্রীকে যদি বলে এই কথা আমার সামনে আরেকবার বললে মনে করবা ওইদিনই সব শে*৷ এইটা বলার পর স্ত্রী ভয় পায় এবং বলে এইসব কথায় তা*** মিন কতলে তাই হয়, স্বামী বলে কই শুনো এইসব?? তারপর স্ত্রী তার স্বামীকে বার বার জিজ্ঞেস করে সে সিরিয়াস কিছু মিন করেছে কিনা৷স্বামী রাগ করে  আর বলে " হ্যাঁ করেছি তো কি হয়েছে??।" এতে সিরিয়াসের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে আপনি বলেছিলেন।

## তারপর স্ত্রী তার  স্বামীর হ্যাঁ করেছি কথায় কষ্ট পায় আর অনেক কিছু  বলে তাকে বুঝায়। সে  হয়তো বলে থাকতে পারে যে, আমিতো তখন প্রশ্ন করার সময় সিরিয়াস কিছু বলতে তা*****  কথা বলেছিলাম। তুমি হ্যাঁ করছি বললা?? তারপর অন্য কথা বলে। স্ত্রী বলে যে হ্যাঁ করেছি বললা আর যাই বললা নিয়ত টাই আসল। স্বামী বলে তুমি কিভাবে জানো আমার নিয়ত কি?? তারপর স্ত্রী বলে বললেই তো হত,,এই ধরনের আরও কথা হবার পর, স্বামী পরে বলে যে """আমি একবার বললাম মিন করিনি তাও বার বার জিজ্ঞেস করেছ তাই আবার বলেছিলাম মিন করেছি"""  এই কথার কিছুক্ষন আগে যদি স্ত্রী বলে থাকে সে আগেরবার প্রশ্ন করার সময় সিরিয়াস কিছু বলতে তা****  কথা বলেছিল,, তার কিছুক্ষন পর অন্য কথার প্রেক্ষিতে স্বামী এইভাবে উত্তর দিলে কোন সমস্যা হবে??স্বামী এইখানে আগের ঘটনা টাই বর্ণনা করেছে,সে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে চায়নি।।

এখন স্বামি আগের কথা বুঝাতে গিয়ে বলেছে তখন সে বিরক্ত হয়ে বলেছিল মিন করেছি। এই কথার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

২। হুজুর কোন স্ত্রী যদি মুখে বলে ফেলে  """ তা *** নিজেকে"  এইটা বলার মাধ্যমে কি তার উপর পতিত হবে??  সে যদি দিলাম শব্দটি না বলে,,, শুধু তা**** উচ্চারণ করার পর নিজেকে বলে তাহলে হুকুম কি??

৩৷   কেউ যদি আগে কখনো বাস্তবে  তা*** মিথ্যা স্বীকারোক্তি না দিয়েও  বলে ফেলে যে সে তা**** মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়েছিল৷ কিন্তু আসলে সে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়নি বাস্তবে। তার এই কথার কারনে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে? সে তো তা*** দিয়েছে বলেনি বলেছে সে তা**** মিথ্যা স্বীকারোক্তি  দিয়েছে এইটা বলেছে।  তাহলে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (685,520 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://ifatwa.info/39380/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

আল্লাহ তা'আলা বলেন,


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ


হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।


قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ


এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।

(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,


عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .


আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বুখারী-মুসলিম)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
নিশ্চিত থাকুন। 

(০২)
তালাক হবেনা।

(০৩)
তার এই কথার কারনে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...