আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম। সুদী কারবার নিয়ে আমাদের রাসূল সাঃ আঃ বলেছেন, সুদ আদান-প্রদান, এর স্বাক্ষী এবং লেখক সকলেই অপরাধী।
ইসলামি ব্যাংক জব হালাল নাকি হারাম? এটা নিয়ে আমি অনেক লেকচার শুনেছি,কিন্তু বুঝতে পারছিনা। একজন ইসলামি ব্যাংক জব হোল্ডারকে বিয়ে করলে সেটাও কি হারাম উপার্জন ভক্ষণ করার মত হবে?কেউ কেউ বলেন ব্যাংকারদের সন্তানকে পড়িয়ে টাকা নিলে সেটাও হারাম।আমি  ইসলামি ব্যাংক জব নিয়ে জানতে চাচ্ছি প্লিজ..।আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে আমার পরিবার কোথাও টাকা রেখে মুনাফা পাচ্ছেন,এবং এর স্বাক্ষী বা নমিনী আমি হলে আমিও কি সমান অপরাধী হবো??যদি নমিনি না হয়ে কোন উপায় না থাকে তাহলেও...

1 Answer

0 votes
by (717,920 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/398নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
সুদী কারবারে জড়িত সকল প্রকার চাকুরী হারাম।আর হারাম মাল দ্বারা ভালো কিছু আশা করা যায়। সুতরাং যথাসম্ভব এমন রিশতায় কখনো রাজি হবেন না।

হ্যা যদি এছাড়া আপনার নিকট আরো কোনো অপশন না থাকে,তাহলে আপনি তার নিকট থেকে শুধুমাত্র শরয়ী ভরণপোষণ নিতে পারবেন।এ ছাড়া আর কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না।এবং গ্রহণ করা জায়েযও হবে না।

https://www.ifatwa.info/2362 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২)

যেহেতু স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর।সে যেখান থেকেই ভরণপোষণ সংগ্রহ করুক,গোনাহ শুধুমাত্র স্বামীরই হবে।

ব্যাংকারের ছেলে মেয়েকে পড়িয়ে টাকা নেওয়া হারাম হবে না।কেননা এখানে তো হালাল কাজের বিনিময় নেয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংকারের ঘরের কোনো খাবার খাওয়া যাবে না।

আপনি যদি স্বেচ্ছায় নমিনি বা সাক্ষী হন, তাহলে হারাম কাজের সহযোগিতার গোনাহ অবশ্যই হবে।তবে আপনার অজান্তে যদি কেউ আপনাকে নমিনি রেখে দেয়, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...