আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
১। একাকী ফরজ সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে তাকবীর এবং কিরাআত (ক্ষেত্রবিশেষে) কি উচ্চস্বরে বলা জরুরী? যদি উচ্চস্বরেই পড়তে হয় সেক্ষেত্রে ভুলক্রমে তাকবীর বা কিরাআতকখনো উচ্চস্বরে কখনো নিম্নস্বরে হলে কি নামাজের ক্ষতি হবে?

২। কাজা ফরজ সালাতের ক্ষেত্রেও কি একাকী ফরজ সালাতের তাকবীর ও কিরাত বিষয়ক নিয়ম প্রযোজ্য হবে?

৩। জামায়াতে যদি ইমাম সাহেব রুকুতে অবস্থান করেন সেক্ষেত্রে কতটুকু পরিমাণ তাসবীহ বলা হলে ঐ রাকাত আদায় হয়ে যাবে? এক্ষেত্রে উত্তর যদি এক তাসবীহ হয় সেক্ষেত্রে যদি এক তাসবীহ এর অধিকাংশ পরিমাণ বলায় সময় থাকে কিন্তু পূর্ণ এক তাসবীহ না হয় সেক্ষেত্রে কি উক্ত রাকাত জামায়াতে আদায় হয়েছে বলে ধরা যাবে?

৪। যোহরের সালাতের ওয়াক্ত আর মাগরীবের সালাতের ওয়াক্ত কতক্ষণ থাকে?

1 Answer

+1 vote
by (676,760 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
একাকী ফরজ সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে তাকবীর এবং কিরাআত উচ্চস্বরে বলা জরুরী নয়।

ভুলক্রমে তাকবীর কখনো উচ্চস্বরে কখনো নিম্নস্বরে হলে নামাজের কোনো ক্ষতি হবেনা।

তবে কিরাআতের ক্ষেত্রে সমস্যা আছে।
নিম্নস্বর বিশিষ্ট কিরাআত ওয়ালা নামাজে জোড়ে কিরাআত পড়লে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
উচ্চস্বর বিশিষ্ট নামাজে কিরাআত কখনো উচ্চস্বরে কখনো নিম্নস্বরে হলে একাকী নামাজ আদায় কারীর ক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
কোনো ক্ষতি হবেনা।

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ

"(وَمِنْهَا الْجَهْرُ وَالْإِخْفَاءُ)
حَتَّى لَوْ جَهَرَ فِيمَا يُخَافَتُ أَوْ خَافَتَ فِيمَا يُجْهَرُ وَجَبَ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ وَاخْتَلَفُوا فِي مِقْدَارِ مَا يَجِبُ بِهِ السَّهْوُ مِنْهُمَا قِيلَ: يُعْتَبَرُ فِي الْفَصْلَيْنِ بِقَدْرِ مَا تَجُوزُ بِهِ الصَّلَاةُ وَهُوَ الْأَصَحُّ وَلَا فَرْقَ بَيْنَ الْفَاتِحَةِ وَغَيْرِهَا، وَالْمُنْفَرِدُ لَايَجِبُ عَلَيْهِ السَّهْوُ بِالْجَهْرِ وَالْإِخْفَاءِ؛ لِأَنَّهُمَا مِنْ خَصَائِصِ الْجَمَاعَةِ، هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ". ( كتاب الصلاة، الْبَابُ الثَّانِي عَشَرَ فِي سُجُودِ السَّهْوِ، ١ / ١٢٨، ط: دار الفكر)
 
সারমর্মঃ 
(শেষে উল্লেখ রয়েছে) আর একাকী নামাজ আদায় কারীর ক্ষেত্রে উচ্চস্বর আর নিম্নস্বরে কিরাআত পড়ার দ্বারা সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
কেননা এগুলো জামা'আতের বৈশিষ্ট।  

(০২)
কাজা ফরজ সালাতের ক্ষেত্রেও  একাকী ফরজ সালাতের তাকবীর ও কিরাত বিষয়ক নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে ইমামের মাথা তোলার আগে এক সেকেন্ডও যদি রুকুতে পাওয়া যায়,তাহলেই সেই রাকাত পেয়েছে বলে গন্য হবে।   
নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।
এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল। 
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}

عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ : مَنْ أَدْرَكَ الإِمَامَ رَاكِعًا ، فَرَكَعَ قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ الإِمَامُ رَأْسَهُ فَقَدْ أَدْرَكَ تِلْكَ الرَّكْعَةَ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পাবে, তারপর সে ইমাম মাথা উঠানোর আগে তার সাথে রুকু করে, তাহলে উক্ত রাকাত পেয়ে গেছে। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪১৩}

বিস্তারিত জানুনঃ   

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত রাকাত জামায়াতে আদায় হয়েছে বলে ধরতে হবে।

(০৪)
জোহরের ওয়াক্ত কতক্ষন থাকে,এ সংক্রান্ত জানুনঃ

সূর্যোদয়ের পর পশ্চিমাকাশ লালবর্ণের হয়ে যায়।এই লালবর্ণ দূর হওয়ার পর আকাশ আবার সাদা হয়ে যায়।এই সময়ের সাদা আকাশকে শাফাক্ব বলা হয়।এই শাফাক্ব যতক্ষণ না ডুবছে,ততক্ষণ পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত বাকী থাকবে।[বাদায়ে সানায়ে-১/৩২০]

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 151 views
...