ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/906 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
এ সব মূলনীতির আলোকে আমরা বলতে পারি,মহিলাকে তার পানিপ্রার্থী বা স্বামী পূর্বে কোনো গোনাহ বা অ্যাফেয়ার সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞাসা করবে না।যদি নারী কে চাপ প্রয়োগ বা জোড়ালো ভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে সে তাওরিয়াহ করতে পারে।তাওরিয়াহ হল,এমন কথা যা থেকে শ্রুতা কিছু একটা বুঝে নিবে।কিন্তু বক্তা অন্য কিছু উদ্দেশ্য নিবে।যেমন- স্ত্রী বলবে,আমার কারো সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না।উদ্দেশ্য নিবে,আজকে বা গতকাল কারো সাথে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। অথবা এভাবে বলবে, আমার যে সম্পর্ক ছিলো,তুমি কি তা বিশ্বাস করবে?স্বামীর উচিৎ সে দ্বীনদ্বার, চরিত্রবান কোনো নারী দেখে বিয়ে করবে। যখন সে কাউকে বিয়ে করে নেবে,তখন সে যেন তার স্ত্রীকে অতীত জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা না করে,খোজখবর না নেয়।কেননা দোষ গোপন রাখাই অাল্লাহর পছন্দনীয়।যা কারো অতীত জীবনী তালাশের বিরোধী। এতেকরে সন্দেহের সৃষ্টি হয় যা সংসার নামক প্রশান্তিদায়ক বস্তুকে অগ্নিময় করে তুলে।মানুষকে অস্থির ও পেরেশান করে তুলে। স্বামীর জন্য এটাই যথেষ্ট যে সে তার স্ত্রীকে ইবাদতে লিপ্ত দেখবে।তার ফরমাবরদার হবে।ঠিক এমনিভাবে স্ত্রী তার স্বামীকে অতীত জীবন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করবে না।স্বামী কি ইতিপূর্বে কাউকে ভালবেসেছিলো? অন্য কারো প্রতি তার মন কখনো চলে গিয়েছিলো?সে কি কোনো গোনাহের কাজে কখনো গিয়েছিলো?কেননা এমনসব প্রশ্নে কোনো উপকার নেই।বরং এর দ্বারা অপকারের এমনসব দরজা খুলে যায়,যার সংশোধন কখনো সম্ভবপর হয় না।স্বামী যদি স্ত্রীকে বারংবার জিজ্ঞাসা করে।অথবা এ বিষয়ে স্ত্রীর মূখ থেকে হ্যা/না শুনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে, অন্যদিকে স্ত্রী নিজেকে বাচানোর অন্য কোনো রাস্তা খুজে না পায়,তাহলে সে নিজের ভবিষ্যৎ জীবনকে সন্দেহমুক্ত রাখতে তাওরিয়াহ করে কসম করতে পারবে।কিন্তু যদি এমন হয় যে,পূর্বের রিলেশনের কথা স্বামী একদিন জেনে যাবে,এবং রিলেশনটাও এ পর্যায়ের ছিলো,অস্বীকার করে পার পাওয়া যাবে না।এবং এটা যে স্বামী জানবে,এ সম্পর্কে অধিকাংশ ধারণা থাকে।স্বামী ভবিষ্যতে জানলে সংসার বিষময় হয়ে যেতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে বিয়ের পূর্বেই স্বামীকে অবগত করে দেওয়া উচিৎ।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(শেষ)
এমন এক মহিলা যে অতীতে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছিল, তার পিতা ঐ মহিলার অতীত সম্পর্কে হবু বরের পরিবারবর্গকে জানানো সম্পর্কে হযরত উমর রাযির নিকট জিজ্ঞাসা করলে হযরত উমর রাযি বললেন,
فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : " أَتَعْمَدُ إِلَى مَا سَتَرَهُ اللَّهُ فَتُبْدِيهِ , وَاللَّهِ لَئِنْ أَخْبَرْتَ بِشَأْنِهَا أَحَدًا مِنَ النَّاسِ لَأَجْعَلَنَّكَ نَكَالًا لِأَهْلِ الْأَمْصَارِ أَنْكِحْهَا نِكَاحَ الْعَفِيفَةِ الْمُسْلِمَةِ "
(الزهد لهناد بن السري- باب الستر- حديث رقم 1402)
তুমি কি এমন জিনিষ প্রকাশ করতে চাচ্ছো যা আল্লাহ লুকিয়ে রাখতে চান।যদি তুমি তোমার মেয়ে সম্পর্কে কারো কাছে কিছু বলো, তাহলে তোমাকে শহরের বাসীর জন্য দৃষ্টান্ত বানাবো।তুমি ঐ মেয়েকে পুতপবিত্র হিসেবে বিয়ে দাও।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি অতীতকে লুকিয়ে রাখবেন।যদি ভবিষ্যতে স্বামী জেনে যাবে বলে আশংকা হয়, তাহলে আপনি শুধুমাত্র হবু বরকে বলতে পারেন।