আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.
আমার বাবা আমার মায়ের সাথে একদিন ঝগড়ার এক পর্যায়ে বেশ কয়েকবার আমার মাকে বলেন তাকে বাইরে যাবার পর ফোন দিলে তালাক হয়ে যাবে. বেশ কয়েকবার একই কথা বলেন. কিছুক্ষন পর এই কথা বিষয়ে আমি জানতে চাইলে বলেন উনি বুঝিয়েছেন তালাক দিয়ে দিবেন. তাই ডিভোর্স হয়ে যাবে. কিন্তু পরে আর দেননি. এমন কথাও অনেকবার বলেন যে বাসা থেকে চলে যেতে, তালাক দিয়ে দিবে, আত্মীয়দের ডাকবে.
এর পরে কিছুদিন সতর্কতা বসত আমার মা আর ফোন দেননি বাবাকে. কিন্তু একদিন ভুলে ফোন দিয়ে ফেলেন. তারপর তিনিও বিষয়টা ভুলে যান.

আরো বেশ কছুদিন পর রাগারাগির এক পর্যায়ে বাবা মাকে অনেক মারধর করে আর বারবার মাকে বাসা থেকে চলে যেতেন বলে, বলে তালাক দিয়ে দিবে.

বেশ কিছুবার বলে বাসা থেকে চলে যেতে, আজকে (অর্থাৎ ঘটনার দিন) তালাক দিয়ে দিচ্ছি বা দিবো.

আমার মা দিচ্ছি বলেছেন কিনা দিবো সেটা খেয়াল করতে পারেননি. কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে দিচ্ছি বলেন. কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় আমিও একদম নিশ্চিত হতে পারছিনা. আমার কাছে মনে হয়েছে দিচ্ছি বললেও হয়তো আজকে দিবেন এমন কিছু বোঝাতে পারেন. বাবাকে আবার জিজ্ঞেস করলেও হয়তো যা বলেছেন তা বলবেননা বা বলতে পারবেন না. উনি অতি দ্রুত রেগে যান আর অত্যাধিক রেগে যান যার ফলে এমন হুশ জ্ঞানহীন আচরণ করেন.

আমার মা আলহামদুলিল্লাহ দ্বীন পালন করার চেষ্টা করেন কিন্তু বাবার দ্বীনের বুঝ তেমন নেই.

এক্ষেত্রে তালাকের মাসালা কি হবে জানতে চাচ্ছিলাম. জাযাকুমুল্লাহু খাইরান.

1 Answer

0 votes
by (677,240 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/37650/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 
তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক,ঠাট্রা মূলক ভাবে বললেও তালাক হয়ে যাবে।
 
হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
 
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহ, তালাক, রাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব।

★শরীয়তের বিধান হল "তালাক দিয়ে দিবো","ছেড়ে দিয়ে দিবো", এ কথা গুলি বলার দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
কারণ, ভবিষ্যতের দিকে তালাকের সম্বন্ধ করলে তালাক পতিত হয় না।
এগুলো ওয়াদা মূলক কথা মাত্র,এতে তালাক পতিত হয়না।
(রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৪; হেদায়াহ ১/২৮০।)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ

انا اطلق نفسی لم یقع لا نھا وعد (الدر المختار علی ہامش رد المحتار باب التفویض ج ۔ ۲ ص ۶۵۷ط۔س۔ج۳ص۳۱۹) ظفیر۔
সারমর্মঃ
আমি নিজ নফসকে তালাক দিবো,বললে তালাক পতিত হবেনা।
কেননা এটি ওয়াদা।   

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে একাধিক ঘটনা উল্লেখ রয়েছে। 
কিছু বেশ কিছু ক্ষেত্রে আপনার বাবা বলেছে যে "তালাক দিয়ে দিচ্ছি বা দিবো"

এগুলো যেহেতু ওয়াদা মূলক বাক্য,তাই তালাক হবেনা।

তবে প্রশ্নের শুরুতে একটি ঘটনা উল্লেখ রয়েছে। 
আপনার বাবা আপনার "মাকে বলেন, বাইরে যাবার পর ফোন দিলে তালাক হয়ে যাবে"

এক্ষেত্রে আপনার মা যেহেতু বাহিরে গিয়ে ভুল করে হলেও ফোন দিয়েছিলেন,তাই তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে। 
তবে সেটি রজয়ী তালাক।
এরপরে যেহেতু আপনার বাবা আপনার মায়ের সাথে স্বামী সূলভ আচরণ করেছেন,তাই এতে স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়া হয়ে গিয়েছে।
,
এখন আপনার বাবা আর ২ তালাকের মালিক হিসেবে আছে।
কখনো আর ২ তালাক দিলেই আপনার মা আপনার বাবার জন্য পূর্ণ হারাম হবে।
এক্ষেত্রে আপনার মায়ের অন্যত্রে বিবাহ না বসা ছাড়া কোনো সুযোগ থাকবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
Assalawalaikum.যদি  স্বামী  রাগের মাথায়  বলেন  আমি তোমাকে তালাক দিচ্ছি। কিন্তু  এরপর কিছু না বললে কি তালাক কার্যকর হবে??  সে পরবর্তী জিজ্ঞেস করলো স্বামীকে বলেন,  আমি তো তালাক  দিচ্ছি  বুঝাইছি।  দেই তো নাই ।   এখানে কি তালাক  কার্যকর হবে?   
by (677,240 points)
এক্ষেত্রে তালাক  কার্যকর হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...