আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (46 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্, উস্তাদজী

১/ আমার বাবা ও চাচা দুই ভাই , আমার ফুফুর সম্পত্তি কিনেছেন  ২ বিঘা , আমার বাবা ১ ও চাচা ১ বিঘা , আমরা আমাদের টা ভোগ করি , চাচা আমার বাবার নামে ঐ জমি রেকর্ড করে দিয়েছে কিন্তু কোন দলিল দেইনি , আর দলিল না দিলে আমাদের জমি তার ছেলে মেয়েরা ভোগদখল করবে এটা আশংকা করা যায় । এ ক্ষেত্রে করণীয় কি ?
এটা তো ভবিষ্যতে আমার ভাইয়েরা মারামারি পর্যায়ে নিয়ে যাবে এমন আশঙ্কা করা যাচ্ছে , আমার ভাইয়েরা বাহিরে থাকে , দেশে আসলে চাচা দলিল দেওয়ার ভয়ে বা কোন মীমাংসার ভয়ে অন্য কোথাও চলে যায় , এ সব কাজের জন্য সুন্দর মীমাংসা করা যায় কিভাবে ?
হুজুর দের দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়  এমন অবস্থা ।

২/ রোজা অবস্থায় হায়েজ আসলে সে রোজা পরবরর্তীতে কাযা আদায় করতে হবে , আর কারো যদি আশংকা থাকে যে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আর হায়েজ আসবে না সে ক্ষেত্রে সে ঐদিনের রোজা রাখবে আর দুপুরে পবিত্র হয়ে যোহরের নামাজ আদায় করবে সে ক্ষেত্রে কি ঐদিনের রোজা কাযা আদায় করতে হবে পরবরর্তীতে ?

৩/ স্ৎ মায়ের প্রতি সৎ সন্তানদের দায়িত্ব কর্তব্য কি ? সৎ মা সৎ সন্তানদের ছোট থেকে লালন পালন করছেন ।


৪/ হায়েজ চলাকালীন অবস্থায় কিভাবে রমজানের দিনগুলো কাটালে অধিক পরিমাণে সওয়াব পাওয়া যাবে ?
৫/ কালিমা খতম কাকে বলে ? এর ফযীলত কি , কতোটুকু কিভাবে পড়তে হয় , কতবার পড়তে হয় না?  পূর্ণ পড়তে হয় নাকি অর্ধেক পড়ে কিছুদুর গিয়ে বাকীটা পড়তে হয় ?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনার চাচা যদি সত্যিই আপনাদেরকে ১ বিঘা জমি দিয়ে দেন, তাহলে উনার উচিৎ যে তিনি তা দলীল করে দিবেন। যদি তিনি ইচ্ছাকৃত এভাবে রেখে যান, বা জমি আপনাদেরকে দিয়ে আবার নিয়ে যেতে চান, তাহলে এজন্য আপনার চাচার গোনাহ হবে।হাদীসে একে কুকুরের বমি ভক্ষণের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

(২)
ঐ দিন যদি রোযা না রাখেন, তাহলে তো পরবর্তীতে কাযা করবেন।তবে যদি রোযা রেখে দেন, তাহলে আর কাযা করতে হবে না।

(৩)
নিজ মায়ের প্রতি যেমন দায়িত্ব সৎ মায়ের প্রতি সেই দায়িত্ব প্রদর্শন করা উত্তম চরিত্রের নিদর্শন। তবে শরীয়ভাবে ভরণপোষণ ওয়াজিব নয়।

(৪)
সর্বদা রোযাদারের মত থাকা।তসবিহ তাহলিল পড়া।ও কুরআন তিলাওয়াত বাদে ইসলামি কিতাবাদি অধ্যায়ন করা।

(৫)
কালিমা খতম নামে কোনো কিছুই কুরআন হাদীসে আসেনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...