ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-
ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.
তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪
হাদীসে আছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযা কাযা করতে হবে না।-জামে তিরমিযী ১/১৫৩, হাদীস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪
তবে অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে রোযা ভেঙ্গে ফেললে কাযা করতে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
শরীয়তের বিধান হলো মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।-আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫)
আর অনিচ্ছায় গিলে ফেললে রোযার কোনো ক্ষতি হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঢেকুর রোজার জন্য ক্ষতিকর নয়। তখন যদি কোনো খাদ্য বা পানীয় বের হয়, তাহলে তা ফেলে দিতে হবে। পুনরায় ইচ্ছাকারী গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি মুখ ভরে বমি হয়, তাতেও রোজা ভেঙ্গে যায়।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে সেটি ফেলে দেয়ার শক্তি থাকার পরেও ইচ্ছাকৃতভাবে সেটি গিলে ফেলা যাবেনা।
(০২)
টাইলসে তরল নাপাকি পড়লে বিধান জানুনঃ
কাঠের তৈরী কোনো কিছুতে নাপাকি লাগলে সেটির বিধান জানুনঃ
প্লাস্টিকের কিছুতে তরল নাপাকি লেগে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শুকিয়ে যাওয়া যথেষ্ট হবেনা।
(০৩)
আপনি সতর্কতামূলক সেই ছিটে আসা স্থান ধুয়ে নিবেন।