আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
edited by
আসসালামু ওলাইকুম। আমরা জানি যে উপর হয়ে শোয়া আল্লাহ সুব হানু ওয়া তায়ালা অপছন্দ করেন,সে সাথে রসুল সাঃ এটি করতে নিষেধ করেছেন।তাহলে উপর হয়ে শোয়া হারাম কেন করা হয়নি?

আর কতুটুকু উপর হয়ে শোয়া যাবে?

আর মাকরুহ কার কাছে অপছন্দ আল্লাহ নাকি রসুল সাঃ?আল্লাহ কুরানুল কারীমে বনী ইসরালীর ৩২-৩৮ আয়াতে কতগুলো কবিরা গুনাহ কে আল্লাহ মাকরূহ বলেছেন।

জাজাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (687,520 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ يَعِيشَ بْنِ طَخْفَةَ بْنِ قَيْسٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ: كَانَ أَبِي مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: انْطَلِقُوا بِنَا إِلَى بَيْتِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَانْطَلَقْنَا، فَقَالَ: يَا عَائِشَةُ أَطْعِمِينَا فَجَاءَتْ بِحَشِيشَةٍ فَأَكَلْنَا، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ أَطْعِمِينَا فَجَاءَتْ بِحَيْسَةٍ مِثْلِ الْقَطَاةِ فَأَكَلْنَا، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ اسْقِينَا فَجَاءَتْ بِعُسٍّ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبْنَا، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ اسْقِينَا فَجَاءَتْ بِقَدَحٍ صَغِيرٍ فَشَرِبْنَا، ثُمَّ قَالَ: إِنْ شِئْتُمْ بِتُّمْ، وَإِنْ شِئْتُمُ انْطَلَقْتُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ قَالَ: فَبَيْنَمَا أَنَا مُضْطَجِعٌ فِي الْمَسْجِدِ مِنَ السَّحَرِ عَلَى بَطْنِي إِذَا رَجُلٌ يُحَرِّكُنِي بِرِجْلِهِ، فَقَالَ: إِنَّ هَذِهِ ضِجْعَةٌ يُبْغِضُهَا اللَّهُ قَالَ: فَنَظَرْتُ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

ইয়াঈশ ইবনু তিখফাহ ইবনু কায়িস আল-গিফারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা আসহাবে সুফফার সদস্য ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে যেতে বললেন। আমরা সেখানে গেলে তিনি বললেনঃ হে আয়িশাহ! আমাদের আহারের ব্যবস্থা করো। তিনি হাশীশা পরিবেশন করলেন এবং আমরা খেলাম। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে আয়িশাহ! আমাদেরকে আরো খাবার দাও! এবার তিনি কবুতরের মতো সামান্য হায়সা নিয়ে আসলেন এবং আমরা খেয়ে নিলাম। তারপর তিনি বললেন, হে আয়িশাহ! আমাদেরকে পান করাও। অতঃপর তিনি এক গামলা দুধ আনলেন এবং আমরা পান করলাম। পুনরায় তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট পানীয় চাইলে তিনি ছোট এক পেয়ালা পরিবেশন করলেন এবং আমরা তা পান করলাম। এবার তিনি বললেনঃ ইচ্ছা করলে তোমরা এখানে ঘুমাতে পারো নতুবা মাসজিদে চলে যাও। আমার পিতা বলেন, আমার বুকের ব্যাথার কারণে আমি মাসজিদে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতাম। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি আমাকে তাঁর পা দিয়ে নাড়া দিয়ে বললেন, এভাবে শোয়া আল্লাহ ঘৃণা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি চোখ তুলে দেখলাম যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
(আবু দাউদ ৫০৪০)

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَعَبْدُ الرَّحِيمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً مُضْطَجِعًا عَلَى بَطْنِهِ فَقَالَ " إِنَّ هَذِهِ ضَجْعَةٌ لاَ يُحِبُّهَا اللَّهُ

আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে বললেনঃ এ ধরনের শয়ন আল্লাহ্ তা’আলা ভালবাসেন না।

হাসান সহীহ, মিশকাত ৪৭১৮, ৪৭১৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৭৬৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

عَنْ أَبِىْ ذرِّ قَالَ: مرَّ بِى النَّبِىُّ وَأَنَا مُضْطَجِعٌ عَلٰى بَطْنِىْ فَرَكَضَنِىْ بِرِجْلِه وَقَالَ:يَا جُنْدُبُ إِنَّمَا هِىَ ضِجْعَةُ أَهْلِ النَّارِ.

আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উপুড় হয়ে শুয়েছিলাম। এ সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তিনি স্বীয় পা দ্বারা আমাকে ঠোকা দিয়ে বললেনঃ হে জুনদূব!  শোয়ার এ পদ্ধতি জাহান্নামবাসীদের পদ্ধতি।

ইবনু মাজাহ ৩৭২৪, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৮১৪৮, মুসনাদে আহমাদ ২৩৬১৪।

★এই হাদিসগুলো থেকেই বুঝা যায় যে, পেটের ভরে উপুড় হয়ে শোয়া উচিত নয়। এটা জাহান্নামবাসীদের শোয়ার পদ্ধতি।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের কোন বিষয় হারাম করতে হবে,বিষয়টি একান্তই মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন।

*পুরোপুরি পেটের ভরে শোয়া নিষেধ।
তার মানে পেটের কোনো এক পার্শ্ব নিচে পড়ে গেলে সমস্যা নেই।    

*এটি আল্লাহ তায়ালার কাছে অপছন্দনীয়।
উল্লেখ্য যে আল্লাহর কাছে যেটি অপছন্দনীয় হয়,সেটি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছেও  অপছন্দনীয়ই হবে।
পছন্দনীয় কোনোভাবেই হবেনা।

*উল্লেখিত আয়াত গুলোতে আল্লাহ তায়ালা অনেক কাজ হারাম ঘোষণা দিয়েছেন। 
মাকরুহ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...