ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/41106/
নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
একজন মানুষ দৈনিক যত টাকাই উপার্জন
করুক না কেন বৎসর শেষে যদি যাকাতের নিসাব পরিমান সম্পদ তার নিকট না থাকে তাহলে তার
উপর জাকাত ফরয হবে না।
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُول
اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ حَتَّى
يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ»
হযরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিতঃনবী
কারীম সাঃ বলেনঃ-সম্পত্তিতে কোনো যাকাত নেই যতক্ষণ না এক বৎসর পূর্ণ হবে।(সুনানে ইবনে
মাজা-১৭৯২)
عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ اسْتَفَادَ مَالًا فَلَا زَكَاةَ
عَلَيْهِ، حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الحَوْلُ عِنْدَ رَبِّهِ»
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ- বৎসরের মধ্যখানে অর্জিত সম্পদে জাকাত আসবেনা যতক্ষণ না মালিকের
পূর্ণ সম্পত্তির একবৎসর পূর্ণ হবে। (জামে তিরমিযি-৬৩১)
https://www.ifatwa.info/13075
নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যাকাত ইসলামের মৌলিক পাঁচটি
বিধানের একটি।নেসাব পরিমাণ মালের মালিকের উপর যাকাত প্রদান করা ফরয।
যাকাতের নেসাব-
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ ৭. ৫ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ ৫২. ৫ভড়ি।
এখানে একটি জিনিষ লক্ষণীয় যে,কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ
বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে। অন্যথায় যাকাত আসবে না।
তবে হ্যা যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা এভাবে
থাকে যে,কোনো একটির নেসাব পূর্ণ হওয়ার জন্য সামান্য বাকী। তাহলে এক্ষেত্রে যেটা বেশী সেটারই
নেসাব পূর্ণ করা হবে। যেমন কারো কাছে স্বর্ণ ৭. ৫ভড়ির চেয়ে সামান্য কম, তাহলে এমতাবস্থায় রূপা দ্বারা
স্বর্ণের নেসাবকে পূর্ণ করা হবে।
টাকা এবং মালের নেসাবঃ
টাকা এবং মালকে রূপার সাথে সংযুক্ত
করে রূপার নেসাব হিসেবেই ধরা হবে।তথা কারো কাছে ৫২. ৫ভড়ি সমমূল্যে র টাকা বা ব্যবসায়িক
পণ্য থাকলে তার উপর যাকাত আসবে।
এক্ষেত্রে স্বর্ণকে মানদন্ড
হিসেবে ধরা হবে না।সোনা রূপার বিক্রয়মূল্যর উপরই যাকাত আসে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/121
মালে নামীতে যাকাত আসে।
মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের
দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে, সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১) সোনা(২)রুপা (৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশু
এগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত
মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।
মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল
শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত। যেমন-স্থাবর সম্পত্তি
এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি। বিস্তারিত দেখতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1434
যাকাতের খাত:
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء
وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي
الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً
مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের
চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫) এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের
জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা আত-তাওবাহ-৬০)
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/699
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُول
اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ حَتَّى
يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ»
হযরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিতঃনবী
কারীম সাঃ বলেনঃ-সম্পত্তিতে কোনো যাকাত নেই যতক্ষণ না এক বৎসর পূর্ণ হবে। (সুনানে ইবনে
মাজা-১৭৯২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/29371
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু
চন্দ্র মাস হিসেবে এখনো এক বছর পূর্ণ হয়নি তাই শুধু উক্ত গচ্ছিত টাকার উপর যাকাত ফরজ
হবে না।
হিজরী জ্বিলক্বদ মাসে আপনার
এক বছর পূর্ণ হলে তখন যাকাত ফরজ হবে। তবে হ্যাঁ, যাকাত ফরজ হওয়ার আগেও যাকাত
আদায় করা যায়। আর যেহেতু রমজান মাসে দান করলে বেশী সওয়াব হয় তাই আপনি চাইলে এই রমজান
মাসেই উক্ত টাকার অগ্রিম যাকাত আদায় করে দিতে পারেন।
২. আরবী বছর পূর্ণ হলে আপনাকে
সব টাকারই (৮ লাখ + টাকারই) যাকাত দিতে হবে। কারণ, বছরে মাঝে যেই টাকা প্রয়োজনের
অতিরিক্ত হয়ে গচ্ছিত হয় সেটাও পূর্বের নেসাবের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। ফলে তারও যাকাত
দিতে হবে।