আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
একটা অল্পবয়সী বিবাহিত মেয়ে যার ডিভোর্স হয়ে গেছে।তার কোন কর্মসংস্থান ও নেই,যেহেতু পড়ালেখা করেনি।তার বাবা সম্পূর্ণ সুদি কারবারে জড়িত,তাই তাদের সব টাকাই হারাম বলতে গেলে।এই মেয়েটা এখন দ্বিতীয় বিয়ের আগ পর্যন্ত বাবার বাড়িতেই থাকতে হবে।এক্ষেত্রে তার কি গুনাহ হবে যেহেতু তার বাবার আয় হারাম উৎস থেকে আসে।বাবাকে বুঝিয়েও কোন কাজ হয়না।

২.স্বামী যদি তাদের যৌথ ফ্যামিলিতে তার ভাইদের সামনে স্ত্রীর পুরো শরীর ঢাকার পরও  হাত,মুখ ঢেকে রাখার কথা বললে বলে যে তাদের ফ্যামিলি তে নাকি ফিত্নার আশংকা নেই ,আর মুখ খোলা জায়েজ আছে,তাহলে স্ত্রীর করনীয় কি?

বাবা মা এবং স্বামী যদি পর্দা করতে সাপোর্ট না করে এবং তিরষ্কার এর চোখে দেখে তাহলে আমার কি করনীয়,এমনকি বেশি বুঝাতে গেলে ঝগড়া হয়ে সম্পর্ক বাজে রুপ নেয়।

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/37873 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা ভাই চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2362

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
ঐ বোনের বিহিত একটা ব্যবস্থা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ঐ বোন তার বাবার ইনকাম দ্বারা চলতে পারবে। গোনাহ মেয়ের হবে না,বরং বাবারই গোনাহ হবে।

(২)
স্ত্রীকে নিজ ফ্যমিলির পুরুষদের সামনে মুখ খুলে রাখার নির্দেশ প্রদান স্বামীর জন্য কখনো জায়েয হবে না। স্ত্রীর জন্য তখন স্বামীর বিধিনিষেধের অনুসরণও ওয়াজিব নয়। স্ত্রীর মুখ না খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।যদি মুখ খোলা ব্যতিত কোনো অপশনই না থাকে, তাহলে স্ত্রীর ইস্তেগফারের সাথে মুখ খুলে রাখতে পারবে।স্ত্রীর গোনাহ হবে না।কেননা স্ত্রী অপারগ।গোনাহ তো স্বামীরই হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...