বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জেনে শুনে গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা বা গোনাহের কাজে সহযোগিতা হওয়ার প্রবল সন্দেহজনক কোনো কাজে কাউকে সহযোগিতা করা কখনো উচিৎ হবে না।এমনকি জায়েয ও হবে না।
ওয়েটার কে বখশিশ বা টিপ্স দিলে যদি এমন হয় যে সে মালিকের ক্ষতি করে আপনাকে নিয়মের চেয়েও অতিরিক্ত খাওয়াবে,বিনিময়ে সে আপনার কাছ থেকে বখশিশ পাবে তাহলে এমতাবস্থায় অতিরিক্ত খাওয়া ও টিপ্স দেওয়া কখনো জায়েয হবে না।
ওয়েটার যদি নিয়মমাফিক আপনাকে খাওয়ায়,এক্ষেত্রে সে অতিরিক্ত কিছু দেয় না,বা আপনার ও সেরকম কোনো আশা-আখাঙ্খা নেই,তাহলে এমতাবস্থায় আপনার জন্য টিপ্স দিতে কোনো অসুবিধা নেই।
বখশিশ সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।
সবাই দেয় তাই আমাকে ও দিতে হবে এরকম কোনো বাধ্যবাধকতা তো আমাদের সমাজে নেই।
এবং তা জায়েয ও হবে না।
যদি আপনি মনে করেন সে পরবর্তিতে টাকা না পাওয়ার ধরুণ তার কাজে অবহেলা করতে পারে ,তাহলে আপনি তাকে বলে দিতে পারেন যে বাবা মালিকের দায়িত্বকে সঠিক ভাবে পালন করবে,কেউ টিপ্স না দিলেও তোমি তোমার দায়িত্বকে আদায় করবে।
তবে সাধারণত এরকমই দেখা যায়,যে কিছু পাওয়ার আশায় তারা সবাইকে তোষামোদি করে,যদি মালিকের ক্ষতি না হয়,তাহলে সমস্যা হবে কেন?এবং বখশিশ বা টিপ্স তো পরেই দেয়া হয়।তাই অবহেলা করবে কেন?
সর্বোপরি বিনা প্রয়োজনে বাজারে আহার বা পান করা আমাদেরকে পরিত্যাগ করতে হবে,তালবিসে ইবলিস নামক কিতাবে দেখেছি,আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বাজারে আহার করাকে চুড়ান্ত পর্যায়ের অভদ্রতা সাব্যস্ত করেছেন।