আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,367 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (62 points)
edited by
যারা কুরআন  হিফজ করে, হায়েজ অবস্থায় তারা কিভাবে কোরান তিলাওয়াত করবে, কিংবা মুখস্ত করা বা রিভিশান এসব কিভাবে করবে?

1 Answer

+1 vote
by (671,200 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই। 
,
হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম। 
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)
 
হাদীস শরীফে  হায়েজাহ মহিলার ক্ষেত্রে যেই নিষেধাজ্ঞা এসেছে,সেটা পড়া, তেলাওয়াত  করা নিয়ে,এবং যেহেতু পড়ার সম্পর্ক যবানের সাথে সম্পৃক্ত, তাই কেহ যদি এমতাবস্থায় মনে মনে কুরআন তেলাওয়াত করে,তাহলে তাকে তেলাওয়াত  বলা যাবেনা।

সুতরাং  কোনো মহিলা যদি মাসিকের ভিতর মনে মনে কুরআন শরিফ পড়ে,তাহলে তা জায়েজ  আছে।
,
ফুকাহায়ে কেরামগন কঠিন প্রয়োজনের দিক লক্ষ্য করে জায়েযের এই ছুরত বলেছেন যে প্রত্যেক শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়বে।
যেভাবে শিক্ষক শিখানোর সময় ভেঙ্গে ভেঙ্গে শিখায়।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/৯৮)
যেমন الحمد কয়েক বার পড়বে, لله কয়েকবার পড়বে।
رب কয়েকবার পড়বে। العالمين কয়েকবার পড়বে।
এক বারে একসাথে মিলিয়ে পড়বেনা।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ   
وفی الدر المختار (۱۷۲/۱): (و)یحرم بہ (تلاوۃ القرآن) ولو دون آیۃ علی المختار (بقصدہ) فلو قصد الدعاء أو الثناء أو افتتاح أمر او التعلیم ولقن کلمۃ کلمۃ حل فی الأصح۔
وفی الشامیۃ تحتہ: (قولہ او التعلیم) فرق بعضھم بین الحائض والجنب بأن الحائض مضطرۃ لأنھا لا تقدر علی رفع حدثھا بخلاف الجنب والمختار انہ لا فرق (قولہ ولقن کلمۃ کلمۃ) ھو المراد بقول المنیۃ حرفا حرفا کما فسرہ بہ فی شرحھا، والمراد مع القطع بین کل کلمتین۔
যার সারমর্ম হলো হায়েজ অবস্থায় কুরআনের   একটি একটি  শব্দ বলে শিক্ষা দেওয়া জায়েয আছে।
জুনুবী (যার উপর গোসল ফরজ) তার ক্ষেত্রেও  একই বিধান।
,
★অন্যত্রে এসেছেঃ
হায়েজ অবস্থায়  কুরআন শরিফ পড়া সম্পুর্ন ভাবে  নিষেধ। 
তাই হেফজ করতে চাইলেও সেই সময়ে কুরআন  শরিফ  পড়া যাবেনা।
এটাই শরীয়তের  হুকুম।
সেক্ষেত্রে সময়ের ক্ষতির ফিকির করবেনা।
ক্ষতি হয় হোক,তারপরেও সেইকদিন  বিরতি দিবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১০৮)
.
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সতর্কতামূলক কুরআন না পড়াই উচিত।
মনে মনে বা আয়াত ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়া যদিও জায়েজ বুঝা যায়,তবে এক্ষেত্রে পুরো আয়াত বা অধিকাংশ আয়াত অনেক সময় হয়তোবা মুখে উচ্চারিত হতেও পারে,তাই সতর্কতামূলক মাসিক চলাকালীন হেফজ বন্ধ রাখাই উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (671,200 points)
قال الحصکفی: (و) یحرم بہ (تلاوة القرآن) ولو دون آیة علی المختار (بقصدہ) فلو قصد الدعاء أو الثناء أو افتتاح أمر أو التعلیم ولقن کلمة کلمة حل فی الأصح۔ قال ابن عابدین: (قولہ: ولو دون آیة) أی من المرکبات لا المفردات؛ لأنہ جوز للحائض المعلمة تعلیمہ کلمة کلمة یعقوب باشا. (قولہ: ولقن کلمة کلمة) ہو المراد بقول المنیة حرفا حرفا کما فسرہ بہ فی شرحہا، والمراد مع القطع بین کل کلمتین، وہذا علی قول الکرخی، وعلی قول الطحاوی تعلم نصف آیة نہایة وغیرہا. ونظر فیہ فی البحر بأن الکرخی قائل باستواء الآیة وما دونہا فی المنع. وأجاب فی النہر بأن مرادہ بما دونہا ما بہ یسمی قارئا وبالتعلیم کلمة کلمة لا یعد قارئا اہ ویوٴیدہ ما قدمناہ عن الیعقوبیة۔( الدر المختار مع رد المحتار: ۱۷۳/۱، دار الفکر، بیروت)وإذا حاضت المعلمة فینبغی لہا أن تعلم الصبیان کلمة کلمة وتقطع بین الکلمتین۔ ( الفتاوی الہندیة: ۳۸/۱، دار الفکر، بیروت)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...