আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
হুজুর অামি একটি পেইজে এই বক্তব্যটি দেখতে পাই

অামি নীচে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাসআলা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। এই মাসআলা জানা আমাদের সবার উপর ফরজ এবং নিজের প্রাপ্তবয়স্ক পরিবারবর্গকে শেখানোও ফরজ। অন্তত স্বামী স্ত্রীকে এবং স্ত্রীর জানা থাকলে স্বামীকে শেখানো ফরজ।
আলোচনাটি লম্বা। কাজেই আমার আলোচনা শেষ হওয়ার আগে দয়া করে কেউ কোন কমেন্ট করবেন না।
এই মাসআলাটি শরীয়তে হুরমতে মুছাহারাত নামে পরিচিত।
কোন পুরুষের নিজের মেয়ে যদি নয় বছর বয়সে পৌঁছে পিতা যেন সতর্কতা হিসেবে তাকে শরীরে স্পর্শ করে কোন আদর সোহাগ না করে।
একইভাবে মা ছেলের বয়স নয় বছর হয়ে গেলে তাকেও যেন প্রয়োজন ছাড়া শরীরে স্পর্শ করে আদর সোহাগ না করে।
কারন স্বামী বা স্ত্রী যে কোন যদি নিজের মেয়ে বা ছেলেকে স্পর্শ করতে গিয়ে তাদের যে কোন একজনের মনে শাহওয়াত চলে আসে, তবে সাথে সাথে স্বামী ও স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
একইভাবে শশুর যদি নিজের পুত্রবধুকে কিংবা শাশুড়ী যদি নিজের কন্যার স্বামীকে অথবা বিপরীত দিক থেকে কোন কারনে স্পর্শ করার সময় অন্তরে শাহওয়াত চলে আসে, তাহলে কন্যা, তার স্বামীর জন্য এবং পুত্রবধু তার ছেলের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
এই জন্য সতর্কতা হিসেবে শশুর পুত্রবধু থেকে এবং শাশুড়ী মেয়ে জামাই থেকে কখনও শারীরিক খিদমত নিবে না।
এই জন্য সতর্কতা হিসেবে শশুর পুত্রবধু থেকে এবং শাশুড়ী মেয়ে জামাই থেকে কখনও শারীরিক খিদমত নিবে না।
শশুর পুত্রবধু থেকে এবং শাশুড়ী মেয়ে জামাই থেকে নিরাপদ দূরত্ব অবলম্বন করবে।

হজরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ এবং আম্মাজান আয়েশা রাঃ পরস্পর কথা বলছিলেন।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে তাদেরকে বললেন, আমি দেখছি তোমাদের দুজনকে কুমন্ত্রণা দেয়ার জন্য শয়তান তোমাদের মাঝখানে অবস্থান করছে।

আমরা অনেক সময় নিজেকে বা নিজের স্ত্রীকে অনেক বড় মুত্তাকী মনে করি,  বা মেয়েরা নিজের স্বামীকে অনেক উঁচু স্তরের বুজুর্গ মনে করে।
অনেক সময় নিজের বাবা-মা বা শশুর-শাশুড়ীকেও অনেক বড় মুত্তাকী মনে করে বা দাবী করে।
আমি প্রশ্ন করতে চাই তারা কি হজরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ ও আম্মাজান আয়েশা রাঃ এর চেয়েও বড় মুত্তাকী?
এ জন্য জরুরী হলো মেয়েরা বড় হয়ে গেলে পিতা এবং ছেলে বড় হলে মা অনেক সতর্ক থাকবে। তাদের রুম আলাদা করে দেবে।
মেয়ের বয়স পাঁচ অতিক্রম করলে তাকে স্বামী স্ত্রী আর নিজেদের বিছানায় ঘুমাতে দেবে না।
পুত্রবধূ যত আপন হোক, সে নিজের মেয়ে হয়ে যায় না,  মেয়ে জামাই যত আপন হোক নিজের ছেলে হয়ে যায় না।
শরীয়ত বাস্তবতাকে খুব জ্ঞান করে। এ জন্য যে কোন ভয়াবহতার আশঙ্কায় সতর্কতা অবলম্বনকে ওয়াজিব করেছে।
কাজেই এ ধরনের নাজুকতার কথা চিন্তা করে শতভাগ সতর্কতা অবলম্বন জরুরী।
শত শত নফল পড়া আর নফল রোজা রাখার নাম বুজুর্গি নয়। বরং সঠিক ইলমের সাথে শরীয়তের সীমারেখার ভেতর চলার নাম আসল তাকওয়া ও বুজুর্গি।
আমরা যদি নিজের পরিবারে এই সতর্কতার লেহাজ না করি, যদি চিল্লা দিই আর নফল ইবাদত করি না কেন, আমরা দাইয়ুচ এর লিষ্ট থেকে নিজের নাম কাটাতে পারবো না।
আর দাইয়ুচ জান্নাতে তো যাবেই না, জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না। অথচ পাঁচশত বছরের দূরের পথ থেকেও জান্নাতের সুগন্ধ পাওয়া যাবে।
যদি আমরা এই মাসআলা নিজের প্রাপ্তবয়স্ক পরিবারবর্গ, নিজের স্ত্রী, নিজের স্বামীকে না শিখিয়ে থাকি, তাহলে অতিসত্বর তাদের শিখিয়ে দেয়া আমাদের উপর ফরজ।
আমি এখানে এই মাসআলা লিখে দিয়ে আমার ফরজ দায়িত্ব আদায় করলাম।
বর্তমান ফিতনা ও অশ্লীলতার জামানায় পরিপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করা আকলেরও দাবী।
অনেক সময় সমস্যা হয়ে গেলে মানুষ লজ্জায় তা প্রকাশ করতে পারে না। ফলে ঐ অবস্থায় সংসার চালিয়ে যায়।
এ কারনে মওতের সময় ঈমানহারা হয়ে মারা যায়।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।

সংগৃহীত
এখন অামার প্রশ্ন হল
১ এখানে অাম্মজান অায়েশা এবং উনার  পিতাকে নিয়ে যে হাদিস বলা হয়েছে তা কি সত্য
২ হুরমত সম্পকে জানানো কি ফরজ। অার তা হলে এই বিষয়ে এত কম অালোচনা হয় কেন। অামার এক খালাতো ভাই হাফেস সেও এই মাসঅালা টি জানত না।
৩ এখানে যে মর্মে ইমান হারা হওয়ার কথাটি বলা
 হয়েছে তা কি সত্য।অার হলে কেন যদি বুঝিয়ে বলতেন
by (31 points)
অনেক সময় অামরা ইচ্চাকৃতভাবেই ছোট শিরক হবে এ রকম বাক্য বলে ফেলি 
কিন্তু মনে থাকে যে সব করার মালিক অাল্লাহ বা যখনই খেয়াল হয় তখনই অকপটে স্কীকার করি সব করার মালিক অাল্লাহ
এ বিষয়ে শরীয় বিধান কি। ইসলামে থাকব নাকি বের হয়ে যায়  

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) আবু বকর ও আয়েশা রাযি সম্বলিত যে ঘটনার কথা আপনি উল্লেখ করলেন, সেই ঘটনার রেফারেন্স কিন্তু আপনি দেননি। তাই আপনাকে বলবো, আপনি রেফারেন্স দিবেন।এমন কোনো ঘটনা সম্পর্কে আমাদের জানা নেই।

(২)
https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় আমরা হুরমতে মুসাহারাহ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি,
তথায় আমরা বলেছি যে,
দুই জন মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক পাওয়া যায় বা সমাজে চলমান রয়েছে,সেটা সাধারণত নসব তথা বংশগত কারণে হয়ে থাকে বা রেযা'আত তথা দুধ সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে কিংবা মুসাহারাহ তথা বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত থাকে।

শরীয়তে মাহরাম নন মাহরাম তথা বিয়ে-শাদীর বৈধ-অবৈধ পার্সন সাধারণত এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।হয়তো নসবের কারণে কাউকে বিয়ে করা হারাম নতুবা বৈবাহিক সম্পর্কের ইস্যুতে হারাম কিংবা দুধ সম্পর্কের কারণে হারাম ।
কুরআনে কারীমে যে চৌদ্দ জনের নমুনা পেশ করা হয়েছে,এসব মূলত এই তিনটি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।

বংশগত সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম যেমন,পিতা তার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না,ইত্যাদি।
দুধ সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম,যেমন দুধ সন্তান তার দুধ মাকে/বোনকে বিয়ে করতে পারবে না।বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম, যেমন,জামাই সে তার শাশুড়ী কে বিয়ে করতে পারবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1233

(৩)
ঈমান হারা হওয়া সম্বলিত প্রশ্নটিও আমাদের বোধগম্যর বাইরে।সুতরাং আপনি প্রশ্নটিকে ইডিট করে দিবেন।ইনশা'আল্লাহ, আমরা প্রশ্নটির জবাব প্রদাণের আপ্রাণ চেষ্টা করবো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...