আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
709 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
edited by
একটু এডিট করলাম

শায়খ সবটা পড়ে আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন প্লিজ,,,
আমাকে আমার স্বামী একদিন বলছিল তোমাকে পরিত্যাগ করার কথা কখনো ভাবিনা তবে যদি তুমি বেদ্বীন হয়ে যাও,নামাজ না পড়ো, রোজা না রাখো,*দ্বীনের কোনো ব্যাপারে বিদ্বেষ/অস্বীকার করো,শরীয়তের*,,,,(শরীয়তের পরে কি বলেছিলো মনে নেই) তাহলে তুমি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা সরাসরি তালাক শব্দ ব্যবহার করেনি এটা নিশ্চিত। আমার সব কথা কথা মনে নেই।আর তালাকের ব্যাপারটা তো খুব সিরিয়াস।তাই আমার সব মনে না থাকায় আমি তাকে উক্ত ঘটনার পরের দিনই জিজ্ঞেস করি কিভাবে কি সেদিন বলছিলেন যতটুকু মনে আছে ততটুকুই বলেন।শর্ত জিনিস টা এমন করলেই বা মনের ভুলে করলেও পতিত হয়ে যায়।আর শরিয়তের সব বিধানতো মানতে পারিনা ভুলে লঙ্গন হতে পারে।ওজন বশত নামাজ পড়তে নাও পারি। আমি মনে করছি এগুলো তালাকের শর্ত হয়ে গেছে তাই তাকে প্রশ্ন করছি।তখন সে আমায় উত্তর দেয়-

"তুমি যদি দ্বীন থেকে দুরে সরে যাও বেদ্বীন হয়ে যাও তাহলে তোমার সাথে সম্পর্ক রাখবো না।এমনিতেই তো থাকবে না।সে বলে আমার প্রত্যেকটা কথার মূল কথা ছিলো দ্বীন থেকে বের হয়ে যাওয়ার।যেমনঃ যদি তুমি নামাজ পরিত্যাগ করো,পর্দা পরিত্যাগ করো,ইসলামের মৌলিক বিধান পরিত্যাগ করো, দ্বীনের ব্যাপারে যদি বিদ্বেষ করো।আর যদি আমি কিছু বলি তাহলে সাথে সাথে বলবা।পরে ডাউট দিবানা।আমার হুবহু মনে নাও থাকতে পারলে রেকর্ড  করে রাখবা।তখন আমি বলি আমার তো অনিচ্ছায় হয়ে যাতে পারে।তখন সে বলে নামাজ মিসটেক হতে পারে আমি তো নামাজ মিসটেক হওয়ার কথা বলিনি নামাজ অস্বীকারের কথা বলতিছি মানে যদি তুমি কোনোদিন বেদ্বীন হয়ে যাও দ্বীনকে তোমার কাছে অপছন্দনীয় লাগে।তুমি যদি অমুসলিম হয়ে যাও শিরকে পতিত হও।আমি যে কথাগুলো বলছি তার মুল কথা একটিই ছিলো তুমি যদি দ্বীন থেকে দূরে সরে যাও।কাফের মুশরিক হও।এখন আমি তখন কি বাক্য বা কি শব্দ ব্যবহার করছি তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব না।সে আবার বলে আমি শেষবারের বলছি কান খুলে শুনে নাও তুমি যদি দ্বীন থেকে সরে যাও,কাফের মুশরিক মুরতাদ হও,তুমি দ্বীনে নাই এ রকম যদি কোনো কারন হয় তাহলে তোমাকে ত্যাগ করবো।সাধারনত কোনো কবীরা গুনাহর কারনে তোমাকে ত্যাগ করতে চাইনা।তখন জিজ্ঞেস করি আাপনার কি তখন এই নিয়তই ছিলো।আপনি তখন কি বলেছিলেন আপনার কি কিছু মনে নেই।সে উত্তর দেয় আমিতো এই কথাগুলোই বলেছিলাম যে তুমি যদি নামাজ পরিত্যাগ করো।একটা হলো নামাজ কাযা করা এটা বলি নাই বলছি যদি তুমি নামাজ পরিত্যাগ করো,পর্দা পরিত্যাগ করো,দ্বীন ইসলাম থেকে বের হয়ে যাও দ্বীন ইসলামকে অপছন্দ করো এ কথা গুলোই আমি বলছি হয়তো দু একটা কতা কম আর বেশি।মানে আমার যতগুলো কথা কথা ছিলো সবগুলো কথার মেইন কথা হলো যে কাজগুলো করলে মানুষ দ্বীন থেকে বের হয়ে যায় মুশরিক হয় মুরতাদ হয়।তুমি আবার আমায় জিজ্ঞেস করো কি নিয়ত ছিলো তখন?তখনতো এই নিয়ত ছিলো।প্রত্যেকটা কথা বলার উদ্দেশ্য ছিলো এটা যদি কেউ নামাজ পরিত্যাগ করে,পর্দা পরিপূর্ণ ভাবে পরিত্যাগ করে তাহলে সে কি হয় তুমিই বলো তার মাসয়ালা কি হয়?নামাজ যদি কেউ পরিত্যাগ করে পরিত্যাগ মানে বুঝো নামাজকে যদি কেউ অস্বীকার করে। তখন তাকে জিজ্ঞেস করি নামাজ না পড়া মানে কি যদি কেউ নামাজকে কেউ পরিপূর্ণ ভাবে পরিত্যাগ করে এরকম।তখন সে বলে নামাজ যদি কেউ পরিত্যাগ করে,রোজা যদি কেউ পরিত্যাগ করে,পর্দা যদি কেউ পরিপূর্ণ ভাবে পরিত্যাগ করে,দ্বীন ইসলামের কোনো মৌলিক বিধান যদি কেউ অস্বীকার করে পরিত্যাগ করে তাহলে সে কি হয় সে কি কাফের হয় না।?

সে উপরের সব কথা গুলো ১ম দিন বলা সে সব শর্তের মূল কথা  হিসেবে বলেছেন কারণ তার হুবহুু কথাগুলো মনে নাই।

এ ব্যাপারে আমি তাকে পরবর্তী দিনে  জিজ্ঞেস করি যে তালাকের নিয়ত ছিলো কিনা?? সে বলে  তালাকের নিয়ত নাকি তার ছিলোই না এবং শর্ত দানের উদ্দেশ্যেও বলেনি। সে নাকি জানতোই শর্ত দিয়েও তালাক দেয়া যায়।সে যে কথাগুলো বলছে(নামাজ না পরো,রোজা না রাখো,পর্দা পরিত্যাগ করো ইত্যাদি) সব কথার মূল কথা ছিলো কাফের মুশরিক মুরতাদ হয়ে যাওয়া।আমি তাকে জিজ্ঞেস করি যে তাহলে আপনি কি ভেবে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সেদিন(২য় দিন) সে উত্তর দেয় আমি মনে করছি কাফের মুশরিক ঐ কথাটা মনে হয় শর্ত হয়ে গেছে।আবার বলে মনে করছি ঐ কথাগুলো মনে হয় কাফের মুশরিক হওয়ার শর্ত হয়ে গেছে।তুমি অতিরিক্ত জিজ্ঞেস করার কারণে বলেছি এগুলো ছিল আমার কথার শর্ত(সে কোন কথাগুলোকে কোন কথার শর্ত হিসেবে বলছে সেটা স্পষ্ট করে বলেনি)।তার এ কথাগুলো শুনে ভয় পেয়ে যাই কারণ আমি সেদিনকার সব কথাগুলো শর্ত হয়ে গেছে এটা ভেবেই জিজ্ঞেস করি যে আপনি সেদিন কি কি বলেছিলেন আর সেও উত্তর দেয় ।আর একটা কথা আমি আসলে এখানে তাকে "বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা" এ কথাটার নিয়তের ব্যাপারে মনে হয়  স্পেসিফিকভাবে জিজ্ঞেস করি নি যে এ কথাটা সে তালাকের নিয়তে বলেছিলো কিনা??শুধু মনে ঐ দিনের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তালাক হয়ে যাবে এমন কোন নিয়ত ছিলো কি না সেটা জিজ্ঞেস করেছি।কিন্তু বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বলতে সে কি বুঝিয়েছে এটা কখনো জিজ্ঞেস করি নি।

#পরে একদিন আমার স্বামীকে আমি  জিজ্ঞেস করেছি আপনি সেদিন বলছিলেন এই কাজগুলো (প্রথমে আমি যেগুলো বলেছি যদি বেদ্বীন হয়ে যাও......)করলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা তখন সে বলে ওঠে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা এটাই তো স্বাভাবিক।শরীয়তের বিধান(কোন বিধান বুঝিয়েছে জানি না)অনুযায়ী সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।পরবর্তীতে তাকে আবার জিজ্ঞেস করি ঐদিন ১ম দিন/তখন(কি বলেছি মনে নেই সঠিক) আপনার পক্ষ থেকে তালাক হয়ে যাবে এমন কোনো কথা বলেননি তো উত্তরে সে বলে না না এরকম কিছু বলিনি আমি আবার জিজ্ঞেস করি এরকম কোনো নিয়ত ছিলো নাতো সে উত্তর দেয় না ছিলো না। সে বলে তার নিয়ত ছিলো ইসলামী শর্ত পূরণ করলে/ইসলামী শর্তানুযায়ী(সন্দেহ হচ্ছে কোনটা বলছে তবে ১ম টা বলার সম্ভাবনা বেশি) সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবো।(ইসলামী শর্ত বলতে কি বুঝিয়েছে জানি না এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করিনি)।এখানেও মনে হয় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা এটা উল্লেখ করে জিজ্ঞেস করা হয়নি।সে বিভিন্ন সময় আমাকে অনেকটা এভাবে বলেছে দেখ যদি ভাই বোনও কাফের মুশরিক হয়ে তাহলে কি তাদের সাথে সম্পর্ক থাকে??সে এটা বুঝাতে চেয়েছে কিনা আমি বুঝতে পারছি না।সে আমাকে কখনোই ছেড়ে দিতে চাননা।

প্রশ্নঃ-

১#এখন তার এই উত্তরের আলোকে ও তার বলা সব কথার পর্যালোচনা করার পর আমার উপরে কি উক্ত কথাগুলো(নামাজ না পরো, রোজা  না রাখো ইত্যাদি এবং পরের দিন প্রশ্ন করায় সে যে যে কথাগুলো বলছে ঐগুলোও)তালাকের শর্ত হিসেবে আরোপ হবে নাকি হবে না?
উপরের ঘটনাগুলোর বিস্তারিত উত্তর জানতে চাই।।দয়া করে বলবেন।।

২#আমার স্বামী যে বলছে,,"নিয়ত ছিলো ইসলামী শর্ত পূরণ করলে/ইসলামী শর্তানুযায়ী সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবো" এটা বলার কারণে কি "বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা" এর অর্থ তালাক ধরা হবে??যদিও তিনি স্পষ্টভাবে বলেননি ওদিন তালাকের নিয়ত ছিলো।

৩#(ক)আরো একটা বিষয় জানতে চাই-আমার স্বামী প্রথম দিন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ওখানে একটা কথা বলেছিলো যে যদি তুমি ইসলামের মৌলিক বিধান পরিত্যাগ করো।আমি তাকে জিজ্ঞেস করি ইসলামের মৌলিক বিধান বলতে কি আপনি নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত এগুলোকে বুঝিয়েছেন??সে বলে হ্যা যেগুলো কুরআন ও হাদিস দ্বারা সুস্পষ্ট ফরজ ও ওয়াজিব যেমন পর্দা যদি পর্দা অস্বীকার করো/পরিত্যাগ /পরিপূর্ণ পরিত্যাগ করো(সঠিক মনে নেই কোনটা বলছে) যদি তুমি ইসলামের মৌলিক বিধান অবজ্ঞা করো।আমার মনে সন্দেহ হয় যে তার এ কথা আবার শর্ত হয়ে গেছে কিনা?? তাই তাকে জিজ্ঞেস করি যে আপনি ইসলামের মৌলিক বিধান অবজ্ঞা করো এটা বলছেন কিনা??সে উত্তর দেয় হ্যা যদি তুমি ইসলামের মৌলিক বিধান অবজ্ঞা করো,পরিত্যাগ করো, তুচ্ছ করো, অস্বীকার করো ইত্যাদি(এরপর মনে হয় বলছে তাহলে তোমাকে পরিত্যাগ করবো)।এখন প্রশ্ন হলো আমি যেহেতু  শর্তের সন্দেহ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করছি।আর উত্তরে হ্যা বলার কারণে ১ম দুই দিন উনি যে কথাগুলো বলেছিলেন তার সাথে একথাটাও (যদি তুমি ইসলামের মৌলিক বিধান অবজ্ঞা করো) কি শর্ত হিসেবে ধর্তব্য হবে??কিন্তু উনি ১ম দিকের কথা বার্তায় এ বাক্যটা বলেননি নিশ্চিত পরে একটা বিষয় জিজ্ঞেস করায় এটা বলছে। এখন এ কথাটা কি শর্তযুক্ত তালাকের শর্তের হয়ে যাবে??

(খ) আমি যদি গাফেলতি করে কোন শরীয়তের মৌলিক বিষয় আদায় না করি বা অন্য কোনো কারণে যদি মৌলিক বিষয় পালন করতে না পারি কিন্তু মনে মনে সেগুলোর ব্যাপারে আস্থা থাকে,তুচ্ছতাছিল্য না করি তাহলেও কি অবজ্ঞা করার শামিল হবে?? আর এর দরুন তালাকের শর্ত আরোপিত হবে??

৪#যদি তালাকের কোনো মাসয়ালা লেখার সময় যদি এভাবে লেখা হয়ে যায়। যেমন-কেউ লিখতে চাইলো আমি তালাকের শর্তের দিকে ইঙ্গিত করে বলিনি কিন্তু ভুলে লেখা হয়ে গেছে বলেছি কিন্তু লিখতে চেয়েছে বলিনি।এবং সাথে সাথেই বলেছি মুছে বলিনি লিখেছে।তাহলে বলেছি এই লেখাটা সঠিক ধরা হবে নাকি বলেনি লেখাটাকে সঠিক বলে ধরে নেয়া হবে??যদি সাথে সাথেই কারেকশন করে দেয়া হয়।

৫#আর আমার স্বামীকে ঐ বাক্যটা(বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা) বলার সময়কার নিয়তের কথা জিজ্ঞেস করতে পারছি না।কারন এতে সে রেগে যায়।উল্টাপাল্টা কথা বলে।আর আমাকে দিয়ে কসম কাটিয়েছে যাতে আমি তাকে এব্যাপারে প্রশ্ন না করি কথা না বলি।আমিও ভয়ে কসম কেটেছি।এখন আমার কি করা উচিত?? আমি কি গুনাহগার হবো তাকে নিয়তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস না করলে?? নাকি পূর্বে তার উত্তরে তালাকের নিয়ত ছিলো না এটা বলাটাই যথেষ্ট আর এখন না জিজ্ঞেস করলেও হবে।।

বিস্তারিত ভাবে জানতে চাই সব প্রশ্নগুলোর ব্যাপারে।।আমি এটা নিয়ে খুব পেরেশানিতে আছি।।আমার সংসারটা ভেঙে যাওয়ার মতো অবস্থা।ভালোভাবে বুঝিয়ে বলবেন যাতে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি আর আপনাদেরও এ ব্যাপারে আর প্রশ্ন করে বিরক্ত না করি।আমি এভাবে আর পারছি না।দয়া করে সাহায্য করুন আমায়,।এটাই শেষ প্রশ্ন ইনশাআল্লাহ।।
by (13 points)
শায়খ আমার উত্তর টা যদি আরেকবার একটু দিতেন তাহলে এগুলো নিয়ে আর না ভাবারই চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।। 

1 Answer

0 votes
by (714,120 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার সাথে ফোনে আলাপ হয়েছে। ফোনে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে,তখন আপনাকে বারবার বলেছি, এবং অনেকভাবে বুঝিয়ে বলেছি, আপনার স্বামীর এই সব কথার উদ্দেশ্য ছিল, আপনি দ্বীন ইসলামকে পুরোপরি পরিত্যাগ করা।দ্বীন ইসলাম থেকে সরে গিয়ে যদি আপনি নাস্তিক বা অমুসলিম হয়ে যান, (আল্লাহ না করুক) তাহলে আপনি তালাক হবেন।

সুতরাং সাধারণ নামায রোযা কাযা হলে আপনার উপর তালাক পতিত হবে না। কোনো কিছু বুঝার হলে,নতুন করে প্রশ্ন না করে বরং এখানেই কমেন্ট করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,120 points)
আপনার প্রশ্ন অনেকবার পড়েও বুঝি নাই।আবার চেষ্টা করছি
by (714,120 points)
আপনি মানষিক রোগে আক্রান্ত বলেই মনে হচ্ছে।সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি ভাল একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
by (13 points)
শায়খ আমার উত্তর টা যদি আরেকবার একটু দিতেন তাহলে এগুলো নিয়ে আর না ভাবারই চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।। 
by (13 points)
edited by
শায়খ আমি মূলত জানতে চেয়েছি  আমার স্বামী এই যে কথাগুলো বলছে (যদি তুমি বেদ্বীন হয়ে যাও,নামাজ না পড়ো, রোজা না রাখো,*দ্বীনের কোনো ব্যাপারে বিদ্বেষ/অস্বীকার করো ও ২য় দিন তাকে জিজ্ঞেস করায় যে বলছে যদি তুমি নামাজ পরিত্যাগ করো,পর্দা পরিত্যাগ করো,ইসলামের মৌলিক বিধান পরিত্যাগ করো, দ্বীনের ব্যাপারে যদি বিদ্বেষ করো) এগুলো কি তালাকের শর্ত হিসেবে পড়বে?? আর যদি শর্ত হিসেবে ধরাও হয় তাহলে কি আলাদা আলাদাভাবে ধরা হবে অর্থাৎ উল্লেখিত যে কোন একটা কাজ করলেই সমস্যা হবে নাকি উপরের সবগুলো শর্ত(নামাজ না পড়ো.....ইত্যাদি ইত্যাদি)একসাথে পাওয়া গেলেই তালাক হবে?? 
শুধু এতটুকু প্রশ্নের উত্তর দিবেন দয়া করে আর জানতে চাইবো না।ইনশাআল্লাহ 
by (13 points)
আমাদের মধ্যকার সব কথা এখানে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেছি।এর চেয়ে হয়তো ভালো বুঝিয়ে লিখতে বা বলতে আমি পরবো না।তাই শায়খ যদি এটা পড়ে একটা ফাইনাল সমাধান দিতেন তাহলে অনেক উপকৃত হতাম।আর মানসিক ভাবে নিশ্চিন্ত থাকতাম

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...