আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (33 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,

সুদের ভয়াবহতা সম্পর্কে আলহাদুলিল্লাহ আমরা সবাই জানি।আমাদের দেশের যেকোনো সরকারি বা বেসরকারী চাকুরিতে সুদ একটি কমন মাধ্যম।সুদ ছাড়া এসব চলেনা।

এমতাবস্থায়, প্রাইভেট কোম্পানী গুলোতে চাকুরি করা কি জায়েজ হবে?অথচ আমরা নিশ্চিতভাবেই জানতে পারছি যে তাদের অর্থনৈতিক অবকাঠামো সুদের ওপর ভিত্তি বা ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার মাধ্যমে।

আরেকটি প্রশ্ন হল,আমরা যে দেশে থাকবো সেখানকার সরকার যদি ত্বগুত হয়।তাহলে কি আমাদের সমস্ত আয়,জীবনযাপন,খাওয়া পড়া সমস্ত কিছুই ত্বগুতের আওতাধীন বলে বিবেচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (696,600 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/398 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ব্যাংকের চাকুরি হারাম হওয়ার মূল কারণ দু’টি।যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা।
২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সব প্রকার সহায়তা হারাম নয়।বরং সে সব সহায়তাই হারাম যা সরাসরি হারাম কাজের সহিত জড়িত থাকে। যেমন, সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লিখে রাখা। সুদী টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে উসুল করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়,যে তার সাক্ষী হয়, এবং যে দলিল লিখে রাখে, তাদের সকলের উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সরাসরি সুদের সাথে সম্পর্কিত কোনো পেশা হলে সেই পেশা হারাম। আর সরাসরি সম্পর্কিত না হলে সেই পেশা হারাম হবে না।
যেকোনো সরকারি বেসরকারি কম্পানিতে আপনি যদি আপনার কাজ সুদ সম্পর্কিত না হয়, তাহলে আপনার কাজ এবং চাকুরি ও ইনকাম সবই হালাল। ঐ কম্পানির ভিত্তি সুদের উপর হলেও আপনি তো হালাল কাজের বিনিময় নিচ্ছেন।সুদ গ্রহণের জন্য তাদের অবশ্যই গোনাহ হবে।তবে আপনি যেহেতু হালাল কাজ করছেন, তাই আপনার কোনো গোনাহ হচ্ছে না।

https://www.ifatwa.info/4473 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যেহেতু আমরা এমন এক দেশে বসবাস করছি যেখানের বিচারব্যবস্থা পূর্ণ ইসলামী নয়,এমনকি সারা পৃথিবীতেও এমন রাষ্ট্র খুজে পাওয়া আজ মুশকিল।তাই বর্তমান সময়ে আমাদের জন্য করণীয় কি?

মুসলমানদের সামনে একটাই রাস্তা শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামী খেলাফত গঠনের আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। যতদিন না ইসলামি বিচার ব্যবস্থা হচ্ছে,ততদিন পর্যন্ত নিজ জান-মালকে হেফাজত করতে প্রয়োজনে প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার দ্বারস্থ হওয়া।কেননা যদি আমরা বর্তমান বিচার ব্যবস্থার দ্বারস্থ না হই,বরং ইসলামি বিচার ব্যবস্থা প্রয়োগ করি,তাহলে আমাদেরকে র্রাষ্টদ্রোহী হিসেবে পরিগণিত হতে হবে।

মোটকথাঃ
আমাদের বাংলাদেশ দারুল আমান পর্যায়ের দেশ।সুতরাং আমাদের উপর প্রথম দায়িত্ব, দেশকে দারুল ইসলাম বানানো।তবে এর পূর্ব পর্যন্ত প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার দ্বারস্থ হইতে যেহেতু আমরা মজবুর,তাই আমাদের জন্য রুখসত রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...