আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
348 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (54 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে সমাধান দিবেন নিচের বিষয় গুলোর।সে একজন ওয়াস ওয়াসার রোগী। 

১। হুজুর কোন মহিলা যদি মুখে বলে  "আমার নিজেকে **** " তাহলে নকি তার উপর তা*** পতিত হয়ে যায়।এই আলোকে আমার প্রশ্ন

.  একজন মহিলা যদি মুখে একটা শব্দ বলে ফেলার পর সন্দেহে পরে যায় যে সে আসলে কি বলেছে। সে নিজেকে তা** দেওয়ার মত কিছু বলেছিল কিনা.. তার মনে হয় সে হয়তো "" নিজেকে শব্দটা  বলে থাকতে পারে,,,,অথবা তা*** শব্দটা বলে থাকতে পারে।""" তাই   সন্দেহে সে মুখে বলে "আমার নিজেকে " এইটুকু বলে সে  দেখে যে কথাটা অপরিচিত লাগে বা প্রথমে বলা কথাটা এরকম ছিল না তার প্রবল ধারণা হয়। তারপর সে আবার মুখে বলে ...তা***.    এইবারও তার প্রবল হয় তখন সে এই শব্দটা বলেনি।

এরপর সে আবার চিন্তায় পরে যায়,কারন  সে সন্দেহ দূর করার জন্য যে প্রথমে মুখে বললো তার নিজেকে তারপর আবার বললো তা****... এই দুইটা শব্দ একসাথে বলার তার উদ্দেশ্য ছিল না,,বা সে খেয়াল করেনি শব্দ দুইটা কাছাকাছি বলা  হয়ে যাচ্ছে।  তাও ২ টা শব্দ পর পর বলার কারনে কি তার উপর *** পতিত হয়ে যাবে??তার তো নিজেকে *** দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না বা খেয়াল ছিল না। 

 

২।  কোন মহিলা যদি মুখে বলে ",,আমার নিজেকে এইটুকু বলার পর যদি সে মুখ বন্ধ রেখে জিহবা নাড়িয়ে বলে (তা*****) 

এইখানে তা*** শব্দটা ঠোঁট  বন্ধ করে বলা হয়েছিল। শুধু মুখের ভিতর জিহবা নড়েছে,, এতেই ওই মহিলার মনে হয়েছে শব্দটা স্পষ্ট। অর্থাত মুখ বন্ধ থাকলেও জিহবা নড়ার ফলে সে ওই জিহবা নাড়ানোর মধ্যে তা** শব্দটা বলেছে। এতে কি কোন সমস্যা হবে?? নাকি মুখ নাড়িয়ে শব্দ করে বলতে হবে??

 

৩।

হুজুর একজন ওয়াসওয়াসার রোগী যদি, কিছুক্ষন আগে তা*** উচ্চারণ করে,,,,  তারপর তার খেয়াল থাকে না সে তা*** বলেছিল। সে আবার বলে  "আমার নিজের উপর " এইটুকু বলার পর তার যদি তার খেয়াল হয় সে প্রথমে তা** বলেছিল। তাহলে কি সমস্যা হবে? তার তো ইচ্ছা ছিল না প্রথমে বলা তা** শব্দ টার সাথে "আমার নিজের উপর" এইটুকু বলা। 

আমার নিজের উপর,,,এইটুকু কথা বলার মাঝেই অর্থাত কথাটা শেষ করার আগেই তার খেয়াল হয় তা** বলার কথাটা আর ভয় হয়। ভয় হবার পরেও সে কথাটা বলে শেষ করে।  এতে কি তার উপর *** পতিত হবে?? 

 

৪। ৩ নাম্বার প্রশ্নে "আমার নিজের উপর "" এই কথাটা বলার সময় যে অই মহিলার মনে হয়ে গেল যে আগে সে তা*** বলেছে। এখন সে ওয়াসওয়াসায় আছে,,, "আমার নিজের উপর "" কথাটা বলার সময় আগে বলা তা*** এর কথা মনে হবার কারণে তার উপর পতিত হবে কিনা?? বা তার উদ্দেশ্য চলে এসেছিল কিনা সেটা নিয়ে সে সন্দেহ করছে। 

 

৫। হুজুর, ৩ নাম্বার প্রশ্নের বিষয় টি নিয়ে মহিলা প্রচন্ড ওয়াসওয়াসায় আছে। সে আসলে  "আমার নিজেকে" এইটুকু বলার সময় ওয়াসওয়াসায় পরে যে এর আগে সে তা*** বলেছে কিনা। কিন্তু এটি তার সন্দেহ সম্পূর্ণ।  কারন তার তখন প্রবল ধারণা হচ্ছিল সে তা*** মনে মনে বলতে পারে,,,মুখে বলেনি। মুখে বলার বিষয় টি তার সন্দেহ ছিল৷ এই সন্দেহ টা নিয়ে ভাবতে ভাবতে এটি তার বিশ্বাসে পরিনত হচ্ছে যে আসলেই সে বলেছিল কিনা। তার বলার বা কানে আসা স্মৃতি মনে নেই। এইটা সে সন্দেহ করেছে।  এখন সন্দেহ থাকার কারণে সে যদি ধরে নেয় সে তা** শব্দটা বলেনি। তাহলে কি আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন??? 

1 Answer

0 votes
by (672,120 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ


হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।


قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ


এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।

(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,


عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .


আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বুখারী-মুসলিম)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো 
ছুরতেই তালাক হবেনা।   
নিশ্চিত থাকুন। 

ওয়াসওয়াসা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করা, এ সংক্রান্ত প্রশ্ন পড়া থেকে বিরত থাকুন,নতুবা আপনি নিকটস্থ কোনো বড় মাদ্রাসার দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন। 

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...